তাড়াহুড়োই কি সব ভাল কাজের চাবিকাঠি
লিখেছেন লিখেছেন ইসমাত সুলতানা কোয়েল ০৩ আগস্ট, ২০১৪, ০১:২৫:০১ রাত
প্রতিদিন সকালে বাংলাদেশের ঘরে ঘরে একটা দৃশ্য দেখা যায় সেটা কি গৄহিনীদের তাড়াহুড়ো, তাড়াতাড়ি রেডি হও স্কুল অফিস এর দেরি হয়ে যাচ্ছে। আবার অফিসে বসের বকা খেতে হয় কেন তাড়াতাড়ি কাজ শেষ করছেন না অথচ সে জানে এর আগের কাজ তাড়াতাড়ি শেষ করা হয়েছে কিন্তু একটা কাজ দেরি হলেই ব্যস ঝাড়ি। বাবা মায়ের টেনশন কেন তাড়াতাড়ি ভাল রেজাল্ট করছ না এখানেও তাড়াতাড়ি পড়াশুনা গলাধঃকরণে চেষ্টা। এত তাড়াতাড়ির কারণে আমরা উপহার হিসেবে কি পাচ্ছি হাইপার টেনশন নামক এক রোগ সাথে ডায়াবেটিস ইত্যাদি। এখন আবার বিয়ের আগেও মেয়ে পক্ষকে অনেক তাড়ার উপর রাখে ছেলে পক্ষ টাকা পয়সা মেনেজ করে তাড়াতাড়ি বিয়ে সারতে হবে। এমনকি ইসলাম প্রচারেও আমরা কেউ কেউ (সবাইকে বলছি না) চাই একলাফে পৄথিবীতে ইসলাম ছড়াব সবাই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করবে এরকম আমরা কারও কারও মধ্যে দেখে থাকি অথচ ভাবেন ত আমাদের নবীরা কত কষ্ট আর ত্যাগ তিতিক্ষার পর ইসলাম কে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছে।
এত তাড়া এত তাড়া কিন্তু এতে আমরা কিছু রোগ উপহার ছাড়াও আর কি কিছু পাচ্ছি হ্যাঁ সেটা হল আমরা আমাদের কাজের মান হারাচ্ছি যেমন কাউকে ইসলাম ধর্ম ভাল করে বুঝাতে গিয়ে প্রথমেই তাকে শুরু করি জিহাদ দিয়ে হ্যাঁ এটা আমাদের একটা কর্তব্য কিন্তু আগে ত তাকে ঈমান ঠিক করে শিখাই তারপর না হয় জিহাদ।১/২ বছরে তাকে আমরা একবারে পণ্ডিত বানিয়ে ফেলার চিন্তা করছি মিনিমাম ত ৩/৪ বছর সময় ত তাকে দিব অর্থাৎ আমাদের এই তাড়াহুড়োর ফলাফল কে যদি উপসংহার হিসেবে টানতে চাই তাহলে বলতে হয়,
১। আমরা কিছু রোগ পাচ্ছি
২। আমরা কাজের মান হারাচ্ছি
৩। আমরা কিছু ভাল কর্মী হারাচ্ছি
৪। আমরা অনেকে নিজেকে খোদা ভাবতে শুরু করেছি, আল্লাহ মাফ কর। এতটা অহংকারি হয়ে যাচ্ছি যে অন্ধভাবে কাউকে বলে ফেলি আপনি কখনও সত্যি কারের মুসলিম হতে পারবেন না। আমরা কি কেউ জানি আমরা কে আসলে সত্যি কারের মুসলিম জানিনা এটা জানেন একমাত্র আল্লাহ।
সবশেষে একটি কোরআনের আয়াত উল্লেখ্য করে ইতি টানছি
আমরা সুরা ইউনুস এ ১১ নং আয়াতে পাই ,
﴿وَلَوْ يُعَجِّلُ اللَّهُ لِلنَّاسِ الشَّرَّ اسْتِعْجَالَهُم بِالْخَيْرِ لَقُضِيَ إِلَيْهِمْ أَجَلُهُمْ ۖ فَنَذَرُ الَّذِينَ
لَا يَرْجُونَ لِقَاءَنَا فِي طُغْيَانِهِمْ يَعْمَهُونَ﴾
১১) আল্লাহ যদি লোকদের সাথে খারাপ ব্যবহার করার ব্যাপারে অতটাই তাড়াহুড়া করতেন যতটা দুনিয়ার ভালো চাওয়ার ব্যাপারে তারা তাড়াহুড়া করে থাকে, তাহলে তাদের কাজ করার অবকাশ কবেই খতম করে দেয়া হতো (কিন্তু আমার নিয়ম এটা নয়) তাই যারা আমার সাথে সাক্ষাৎ করার আশা পোষণ করে না তাদেরকে আমি তাদের অবাধ্যতার মধ্যে দিশেহারা হয়ে ঘুরে বেড়াবার জন্য ছেড়ে দেই৷
বিষয়: বিবিধ
১৩২২ বার পঠিত, ১১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এ-বিষয়ে আপনার উপলব্ধি আমারও সঠিক মনে হয়।
যাই হোক, আপনার চিন্তাধারা আমাদের সাথে ভাগাভাগি করায়, ধন্যবাদ।
অনেক ধন্যবাদ সুন্দর পোষ্টটির জন্য।
আপনার লেখাটাও তাড়াহুড়ো করে লিখেছেন।
লিখার পর ভুলত্রুটি চেক করেননি। বলেছেন হাদিসের কথা উল্লেখ করেছেন কোরআনের আয়াত ও তার অর্থ। লিখার পর পুনরায় চেক করেননি।
আর আপনার জিহাদ সন্মন্ধে কথাটি মানতে পারলাম না। জিহাদের প্রচলিত অর্থ যদি যুদ্ধ করা কে বুঝিয়ে থাকেন তবে তা ভুল। জিহাদ শব্দের অর্থ প্রচেষ্টা করা। আমি সব কাজ ধীরে সুস্থে করব তাড়াহুড়ো করবনা এই নিয়তে বাধা ডিঙ্গিয়ে ধীরে সুস্থে করার চেষ্টাকেই জিহাদ বলব। "নিজের সাথে নিজে জিহাদ করাই সর্বোত্তম জিহাদ।" এটি হাদিসের কথা।
তবে আপনার সাথে একমত তাড়াহুড়ো করে নিজের রোগ অশান্তি ডেকে আনা ছাড়া কোন লাভ হচ্ছে না।
আর আমার মনে হয় ডাক্তাররা যেমন বলেন যে ধূমপান করলে আয়ু অর্ধেক হয়ে যায় তেমনি তাড়াহুড়ো জীবনটাকে অর্ধেক করে ফেলে।
তীর চিহ্নিত বাটনে ক্লিক করে কিছু লিখলে লিখাটা জার উদ্দেশে লিখছেন তার একাউন্তে গিয়ে পৌঁছুবে। আর অভ্র এর লেটেস্ত ভার্শন ব্যাবহার করুন স্পেল চেকার দিয়ে সঠিক স্পেল লিখুন। সব শব্দের পাবেন এমনটি সব শব্দে হবে না।
মন্তব্য করতে লগইন করুন