আমাদের প্রত্যাশা
লিখেছেন লিখেছেন ইসমাত সুলতানা কোয়েল ২২ জুন, ২০১৪, ১১:২৩:৫২ রাত
আজ এক নারীর জিবন কাহিনী শুনলাম।সে বয়সে আমার অনেক বড় তাই তাকে খালা বলে ডেকেছি। সে এখন এক ছেলের জননী তার এক মেয়েও ছিল। খালা ধার্মিক মানুষ নিয়মিত নামাজ পরেন ইসলামিক আলোচনা গুলোতে উপস্থিত থাকেন। তার ছেলে এবং মেয়েকেও নিয়মিত ইসলামিক আলোচনা তে নিয়ে আসেন তারাও ইসলামিক মন মানসিকতার। খালা যেহেতু ধার্মিক তার আশাও ছিল তার স্বামী ধার্মিক হবে। বিয়ের সময় তিনি তার স্বামীর দাড়ি ও অন্যান্য কিছু বিষয় দেখে আশা করেছিলেন তিনি ধার্মিক মানুষ। কিন্তু বিয়ের পর তিনি আশাহত হলেন কারন তার স্বামী ততটা ধার্মিক নন। এরপর তার জিবন ওই লোকের সাথেই শুরু হল যদিও সে সুখী ছিলনা। আর তাই উনি সবসময় তার ছেলে মেয়েদের একটা ইসলামিক সুখী জিবন দিতে চেয়েছিলেন কারন তিনি জানতেন ইসলাম ছাড়া কোথায় শান্তি সত্যিকারের ভাবে পাওয়া যায়না। আর তাই মেয়ে যখন বড় হল ভাল করে দেখে এক ছেলের সাথে তাকে বিয়ে দেয়া হল ছেলের বাবা হাজি মানুষ অনেকবার হজ্জ করেছেন তার ছেলেও নাকি পাচ ওয়াক্ত নামাজ পরেন এই কথাটা তারা বার বার ছেলের মুখ থেকে শুনে নিয়েছিলেন ছেলেদের অনেক সম্পত্তি টাকা বাড়ি আর খালাও স্বামীর ও অনেক টাকা পয়সা। আর তাই ইসলাম যেহেতু নিজেদের সাথে সামাজিকতা মিলিয়ে ইসলামিক মানসিকতার মানুষের হাতে মেয়েকে পাত্রস্থ করতে বলেছেন তাই তারা আর দেরি না করে মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দিলেন কিন্তু হায়রে এখানেও খালা ঠকলেন এটা খালার সীকারক্তি যে তিনি বার ঠকলেন। বিয়ের পর মেয়ে দেখল যে ছেলে পাচ ওয়াক্ত নামাজ দূরে থাক মেয়ের হিজাব নিয়ে কথা বলতে শুরু করেছে সে এটা পছন্দ করছিল না। আস্তে আস্তে মেয়ের সাথে তার মন মালিন্য চরমে চলে গিয়েছিল মেয়েটা সিস্ফ্রেনিয়ার রোগী তে পরিণত হল। আর একদম চরম পর্যায়ে সে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হল। আমরা এ কোন সমাজে বাস করছি বলেন ত। যদি আমি ইসলামিক মানসিকতার না হতে চাই তাহলে কেন একজন ইসলামিক মানসিকতার মানুষকে বিয়ে করব তার সাথে প্রতারনা করব যদি মন থেকে অবিচল না হয়ে আমরা যেন এরকম বিয়ে না করি আর কাওকে বাধ্য না করি আত্মহতার মত জঘন্য পাপ না ক্রতে।আরও দোয়া করি যে একজন ইসলামিক মানুষ যেন একজন ইসলামিক মানুষ কেই জিবন সজ্ঞি হিসেবে পায়। আমার খুদ্র জ্ঞান থেকে এই লেখা ভুল হলে ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখবেন।
বিষয়: বিবিধ
১৬৪০ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন