আসুন জেনে নেই মীর কাসেম আলী (Mir Quasem Ali) এর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগসমূহের অসঙ্গতিঃ
লিখেছেন লিখেছেন আলোকিত পথ ৩১ অক্টোবর, ২০১৪, ০২:৪৬:০২ রাত
মীর কাসেম আলী এর বিরুদ্ধে অভিযোগের অসঙ্গতিঃ জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদের সদস্য মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো: নূরুল ইসলাম বলেছেন এটা সত্য যে, ১৯৭১ সালের এবং ১৯৭২-৭৫ সালের গোয়েন্দা রিপোর্টে মীর কাশেম আলীকে আল-বদর হিসেবে উল্লেখ করা হয়নি।
চট্টগ্রামের ডালিম হোটেল কেন্দ্রিক অপহরন, নির্যাতন ও হত্যার অভিযোগ নভেম্বর ও ডিসেম্বর এ সংঘটিত বলে উপস্থাপন করা হয়।
কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষের দাখিলকৃত ১৯৭১ সালের বেশ কিছু পেপার কাটিং ও ডকুমেন্টে দেখা যায় যে তিনি ঐ সময়ে ঢাকাতে ছিলেন চট্টগ্রামে নয়।
সিদ্ধান্তঃ বানোয়াট জিনিসে এমন অসঙ্গতিই লক্ষ্য করা যায়।
মীর কাসেম আলী চট্টগ্রাম আল বদর কমান্ডার ছিলেন না।
রাষ্ট্রপক্ষ মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে যেসব ডকুমেন্ট জমা দিয়েছে তার কোথাও তিনি আল বদর কমান্ডার ছিলেন এ মর্মে উল্লেখ নেই। বরং অপর ৩ থেকে ৪ ব্যক্তিকে এসব বইয়ে আল বদর কমান্ডার হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। মাহবুবুল আলমের লেখা “বাঙ্গালীর মুক্তিযুদ্ধের ইতিবৃত্ত” বইয়ে ফেনির নাসির চট্টগ্রামের আল বদর কমান্ডার ছিল বলে উল্লেখ আছে। সেক্রেটারি ছিল সন্দ্বীপের ফয়জুল্লাহ। এছাড়া চট্টগ্রাম আলবদর নেতা হিসেবে জাকির হোসেন এবং মনসুর এর নাম উল্লেখ আছে।
আসুন একটা ভিডিও ও দেখে আসি
মীর কাসেম আলীর মামলার তদন্ত কর্মকর্তার অসততা:
তদন্ত কর্মকর্তা ডালিম হোটলে তদন্ত বিষয়ে অসত্য তথ্য দিয়েছেন। তিনি বলেছেন তিনি তদন্ত করতে গিয়ে ওই বাড়ির কারো সাথে কথা বলেননি। আসলে তিনি তদন্ত করেছেন ঠিকই কিন্তু তদন্তে যখন মীর কাসেম আলী বিষয়ে কোনো তথ্য পাননি তখন তিনি তদন্ত বিষয়ে অস্বীকার করেন। তিনি আসল তথ্য গোপন করেছেন। ওই বাড়ির একজনকে সাক্ষী করা হয়; কিন্তু তাকে আনা হয়নি। তদন্ত কর্মকর্তা জেরায় স্বীকার করেছেন ডালিম হোটেলের মালিক মইত্যা গুণ্ডার বিরুদ্ধে ১৯৭২ সালে যে মামলা করা হয়েছিল সে বিষয়ে কোনো তদন্ত করেননি।
মীর কাসেম আলী এর বিরুদ্ধে ১ নং অভিযোগঃ মীর কাসেম আলীর নেতৃত্বে ১৯৭১ সালের ৮ নভেম্বর ওমওুল ইসলাম চৌধুরীকে চাকতাই ঘাট থেকে অপহরণ করা হয়।এরপর তাকে কয়েক দফায় চট্টগ্রামের আন্দর কিল্লাস্থ ডালিম হোটেল, পাঁচলাইশ থানার সালমা মঞ্জিল এবং একটি চামড়ার গুদামে নিয়ে নির্যাতন করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষ এই অভিযোগের পক্ষে কোন সাক্ষীই হাজির করতে পারে নাই। এজন্য এটিকে যুক্তি তর্কের বাইরে রাখাই শ্রেয়।
মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে ২ নং অভিযোগঃ লুৎফর রহমানকে অপহরণ করে ডালিম হোটেলে নির্যাতন।
লুৎফর রহমান বলেছেন, নির্যাতনের ফলে তার সন্তান উৎপাদনের ক্ষমতা নষ্ট হয়ে গেছে। কিন্তু তিনি এ ঘটনার পরে বিয়ে করেছেন।
যে প্রশ্নগুলো রয়েই যাচ্ছেঃ
তিনি যদি পুরুষত্বহীন হবেন তাহলে বিয়ে করলেন কেন? তাহলে কি তার উপর নির্যাতনের ঘটনা মিথ্যা?
মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে ৩ নং অভিযোগঃ
২২ অথবা ২৩ নভেম্বর আসামীর নেতৃত্বে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে তার কদমতলা বাসা থেকে ধরে নিয়ে ডালিম হোটেলে নির্যাতন করা হয়।
জাহাঙ্গীর আলম দাবি করেছেন ২২ অথবা ২৩ নভেম্বর তাকে ধরে নিয়ে আসা হয়। অপর দিকে শফিউল আলম তার আনন্দ বেদনার সেই সে সময় বইয়ে লিখেছেন ২৭ নভেম্বর তাকে (শফিউল আলম) ধরে নিয়ে যায়। কাজেই জাহাঙ্গীর আলমের বক্তব্য বা শফিউল আলম এর লেখা অসত্য।
আসুন এ পর্যায়ে একটা আয়াত ও হাদীস সম্পর্কে অবগত হইঃ
মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে ৪ নং অভিযোগঃ ডাবলমুরিং থানায় সাইফুদ্দিন খানকে তার নিজ বাসা থেকে ধরে নিয়ে ডালিম হোটেলে নির্যাতন করা হয়।
সাইফুদ্দিনের বোন নুরজাহান এই ঘটনা দেখেছেন মর্মে উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিযোগের ব্যাপারে যে প্রশ্নটি রয়েই যায়ঃ
কেন নুরজাহান কে সাক্ষী হিসেবে আনা হয়নি? তাহলে কি সব কল্পকাহিনী ফাঁস হয়ে যেত?
মীর কাসেম আলী এর বিরুদ্ধে অভিযোগ নং ৫
আনোয়ারা থানার আব্দুল জব্বারকে ২৫ নভেম্বর তার নিজ বাসা থেকে ধরে নিয়ে ডালিম হোটেলে মীর কাসেম আলীর সামনে হাজির করা হয়। এরপর তাকে নির্যাতন করে ছেড়ে দেয়া হয়।
রাষ্ট্রপক্ষ এই অভিযোগের পক্ষে কোন সাক্ষীই হাজির করতে পারে নাই। এজন্য এটি পুরাপুরি বানোয়াট মর্মে প্রতীয়মান হয়।
মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে ৬ নং অভিযোগঃ
চট্টগ্রাম শহরের একটি চায়ের দোকান থেকে হারুনুর রশিদ নামে একজনকে ধরে নিয়ে ডালিম হোটেল এবং সালমা মঞ্জিলে নির্যাতন করা।
হারুনুর রশিদের স্ত্রী এ ঘটনায় সাক্ষ্য দিয়েছে। অভিযোগ বিষয়ে তার বক্তব্যই বেশি গ্রহণযোগ্য হবার কথা। কিন্তু তিনি যে সাক্ষ্য দিয়েছেন তার বিপরীত তথ্য রয়েছে তার স্বামীর কথায়। তার স্বামী হারুনুর রশিদের উদ্ধৃতি দিয়ে মাহবুবুল আলম তার বইয়ে লিখেছেন, আল বদর কমান্ডারদের তিনি চিনতেন না।কার কথা সঠিক? স্বামীর নাকি স্ত্রীর? নাকি ২ জনই সাজানো?
৭ নং অভিযোগ: মীর কাসেম আলীর নেতৃত্বে সাত-আটজন যুবক ডাবলমুরিং থানা থেকে সানাউল্লাহ চৌধুরী, হাবিবুর রহমান, ইলিয়াসকে ধরে নিয়ে ডালিম হোটেলে নির্যাতন করা হয়।
# সাক্ষী সানাউল্লাহ বলেছে তার চোখ বাঁধা ছিল। কাজেই তাকে ডালিম হোটেলের সামনে না অন্য কোথায় আনা হলো তা তার পক্ষে জানা সম্ভব নয়।
# সে ডিসি অফিসে চাকরি করত; কিন্তু ডিসি অফিস লুট হওয়ার খবরও সে জানে না। একজন মানুষের পক্ষে স্বাভাবিকভাবে যা জানার কথা তাও সে জানে না বলেছে। সত্য এড়িয়ে গেছে। যে লোক স্বাভাবিক জানা কথা সঠিকভাবে বলে না তার বাকি কথা কতটা বিশ্বাসযোগ্য?
মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে ৮ নং অভিযোগঃ নুরুল কুদ্দুস, মো : নাসির, নুরুল হোসেনসহ চারজনকে অপহরণ করে ডালিম হোটেলে নিয়ে নির্যাতন।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ৩ জন জীবিত আছে। তাদের জবানবন্দীও রেকর্ড করা হয়েছে এবং সাক্ষী হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু তাদের কাউকে সাক্ষী হিসেবে আনা হয়নি। কি কারণে আনা যায়নি তারও কোনো ব্যাখ্যা রাষ্ট্রপক্ষ দেয়নি।
মীর কাসেম আলী এর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ ৯ এর অসঙ্গতিঃ সাক্ষীদের সাক্ষ্যে বৈপরিত্য
অভিযোগঃ সৈয়দ মোঃ এমরান হোসেন, কামাল উদ্দিন, জামাল উদ্দিন, সরওয়ার উদ্দিন, গোলাম কিবরিয়া, গোলাম রহমানকে অপহরন ও নির্যাতন।
জামাল উদ্দিন বলেছেন আটককারীরা মুখোশধারী হওয়ায় তাদেরকে চিনতে পারেননি। অন্যদিকে একই ঘর থেকে একই সময়ে আটক হওয়া সরওয়ার উদ্দিন দুজন আর্মি ও মীর কাসেম আলীকে চিনতে পেরেছিলেন! মুখোশ পরিহিত হলে তাকে চেনা সম্ভব হতো?
আসল কথা হলো, দুজনের মিথ্যা, বানোয়াট কথা মিলে যাবে এটাই তো অস্বাভাবিক
আজব সাক্ষী সৈয়দ মোঃ এমরান হোসেনঃ
মীর কাসেম আলী এর বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষী
+ তিনি যুদ্ধ করেছেন কিন্তু কোন এলাকায় করেছেন তা বলতে পারেননি
+ আর্মি ক্যাম্প কোথায় ছিলো তা বলতে পারেননি
+ আলবদর ক্যাম্প কোথায় ছিলো তাও বলতে পারেননি
১০ নং অভিযোগ: মীর কাসেম আলীর নির্দেশে মো: জাকারিয়াসহ চারজনকে অপহরণ ও নির্যাতন।
দেখুন সাজানো সাক্ষীদের কোয়ালিটি!!!
⃝ সাক্ষী জাকারিয়া বলেছেন আটকের সময় পাকিস্তান আর্মি ছিল। শান্তি কমিটি বিষয়ে তার কোনো ধারণা নেই। এলাকায় রাজাকার ক্যাম্প দেখেনি সে। মীর কাসেম আলী ছাড়া অপর কাউকে তিনি চেনেন না!!!
⃝ সাক্ষী হাসিনা বেগম বলেছেন তিনি ১৯৭২ সালে সম্পাদক ছিলেন। ন্যাপ নেতা ছিলেন, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বই লিখেছেন । ১৯৭২ সালে দালাল আইনে ট্রাইব্যুনাল গঠন বিষয়ে জানা নেই। শান্তি কমিটি ও রাজাকার বিষয়েও বলতে পারেননি। তার একথা কি বিশ্বাসযোগ্য? কারণ তিনি কোনো সাধারণ গৃহিণী নন, সচেতন মহিলা।
মীর কাসেম আলী এর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ ১১ (জসিম হত্যা) এর অসঙ্গতিঃ সাক্ষীদের সাক্ষ্যে বৈপরিত্য
# সাক্ষী জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন তিনি ২৪ নভেম্বর ডালিম হোটেলে জসিমের লাশ দেখেছেন।
# সাক্ষী সানাউল্লাহ বলেছেন তিনি ২৮ নভেম্বর ডালিম হোটেলে জসিমের লাশ দেখেছেন!
আরে ভাই! বানানো জিনিস কি এত সহজে মেলানো যায়?
মীর কাসেম আলী এর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ ১২ (জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, টন্টু সেন ও রঞ্জিত দাসকে অপহরণ করে নির্যাতন; টন্টু, রঞ্জিত দাসকে হত্যা) এর অসঙ্গতিঃ জন্মের আগে থেকেই সাক্ষী!!!
অপহরণ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে সাক্ষ্য দিয়েছেন টন্টু সেনের ভাগ্নে প্রদীপ তালুকদার বলেনঃ ১৯৭১ সালে তার বয়স ছিল ছয় বছর। কিন্তু ভোটার লিস্ট অনুযায়ী তার জন্ম সাল ১৯৭৭; অর্থাৎ জন্মের আগে থেকেই তিনি সাক্ষী!
দেখুন দুজন সাক্ষীর কথা!!!
● সাক্ষী সানাউল্লাহ বলেছেন তিনি ২৭ নভেম্বর ডালিম হোটেলে টন্টু সেন ও রঞ্জিতের সাথে কথা বলেছেন। ২৮ তারিখ তাদের হত্যা করা হয়।
● সাক্ষী শফিউল আনন্দ বেদনা বইয়ে উল্লেখ করেছেন ২৮ নভেম্বর টন্টু মারা যাবার তিন দিন আগে থেকে অজ্ঞান ছিল। অজ্ঞান লোকের সাথে সাক্ষী সানাউল্লাহ কথা বললেন কি করে?
কল্পকাহিনীতে সবই সম্ভব!!!
মীর কাসেম আলী এর বিরুদ্ধে আনিত ১২ নং অভিযোগ: হাজারি লেনে আড়াইশ’ থেকে তিন শ’ বাড়িঘরে আগুন দেয়া এবং এক শ’রও বেশি পরিবারকে জোর করে ভারতে পাঠানো।
শুনুন আজব কাহিনী!!!
এ অভিযোগের বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষ কোনো সাক্ষী হাজির করেনি! ২৫০-৩০০ লোকের কেউ বেঁচে নাই? তাদের পরিবারের কেউও না?
মীর কাসেম আলী এর বিরুদ্ধে ১৩ নং অভিযোগ (সুনীল কান্তি বর্ধনকে অপহরণ ও নির্যাতন) এর অসঙ্গতি
সুনীল কান্তি বর্ধন এর অস্বাভাবিক বক্তব্য:
= সে একবার বলছে শহরে টিকতে না পেরে গ্রামে গেছে।
আবার বলছে গ্রামে টিকতে না পেরে শহরে এসেছে।
= সে কোনো রাজাকার আলবদরও চিনত না।
= সে মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়ে বলেছে; জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর
বাড়ি পোড়ানো হয়নি। অথচ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর
বাড়ি পোড়ানো হয়েছিল
মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে ১৪ নং অভিযোগ : নাসির উদ্দিন চৌধুরীকে অপহরণ ও নির্যাতন।
যে বিষয়গুলো ভেবে দেখা দরকারঃ
⌂ নাসির উদ্দিন চৌধুরী একজন মুক্তিযোদ্ধা। চট্টগ্রাম শহরে সার্কিট হাউজ ছাড়া অন্য কোথাও আর্মি ক্যাম্প ছিল কি না তা নাসির উদ্দিন চৌধুরীর জানা নেই!
⌂ তাদের এলাকা হাজারি লেন বারবার পুড়িয়ে দেয়া হলো, বারবার লুট হয়েছে তার এলাকায়, তার এলাকার পাশেই ডালিম হোটেল, আর সেখানেই এসে সে আশ্রয় নিলো! এ যেন ইচ্ছা করেই বাঘের মুখে পড়া!!! এটা কি করে সত্য হতে পারে?
ভিকটিম (নাসিরউদ্দিন) নিজেই বলেছেন অপহরনের সময় মীর কাসেম আলী ছিলেন না। সুতরাং অপহরনের অভিযোগ প্রমানিত নয়।
মীর কাসেম আলী এর মামলায় ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ এর যুক্তি খন্ডন :
মীর কাসেম আলী বাঙ্গাল খান নামে পরিচিত ছিলেন বলে ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ যুক্তি উপস্থাপনের সময় বলেছেন। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষীদের সাক্ষেই দেখা যায় বাঙ্গাল খান নামে আরেক ব্যক্তি ছিলেন, মীর কাসেম আলী নয়।
# রাষ্ট্রপক্ষের ৮ নং সাক্ষী এস্কান্দার আলম বলেছেন, তিনি শুনেছেন মীর কাসেম আলী বলছেন খান সাহেব কোথায়? তখন খান সাহেব বলছেন, মীর কাসেম আমি আসছি।
# রাষ্ট্রপক্ষের ১৯ নং সাক্ষী বলছেন, চোখ খুলে মীর কাসেম আলীর সাথে আরো একজনকে দেখি। উনি খান সাহেব হতে পারে।
এ থেকে স্পষ্ট যে, মীর কাসেম আলী খান সাহেব ছিলেন না। খান সাহেব নামে আরেকজন আলাদা ব্যক্তি ছিলেন।
সাক্ষের অসঙ্গতি
রাষ্ট্রপক্ষের ১ নং সাক্ষী সৈয়দ এমরান বলেছেন মীর কাসেম আলী তার স্কুলের সহপাঠী ছিলেন। তিনি ১৯৬৮ সালে এমএনসি স্কুল থেকে এসএসসি পাশ করেন।
অথচ মীর কাসেম আলী এসএসসি পাশ করেন ১৯৬৭ সালে।
সহপাঠী হতে হলে একই ক্লাসে পড়তে হয়। কিন্তু দেখা যাচ্ছে মীর কাসেম আলী তার এক বছর আগে এসএসসি পাশ করেন। কাজেই সাক্ষী অসত্য তথ্য দিয়েছে।
সবশেষে একটু মাথা খাটানোর অনুরোধ করবো। একটু ভাবে দেখুন বিষয়টাঃ
আরো জানতে লাইক করুনঃ Free Jamaat Leaders
বিষয়: বিবিধ
১৩২৭৭ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
পুরা বিষয়টাই তো সাজানো পরিকল্পিত!
মিথ্যার অবয়বে ঢাকা! সেখানে সংগতিপুর্ণ সাক্ষ্য কী ভাবে আশা করা যায়!
# সাক্ষী জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন তিনি ২৪ নভেম্বর ডালিম হোটেলে জসিমের লাশ দেখেছেন।
# সাক্ষী সানাউল্লাহ বলেছেন তিনি ২৪ নভেম্বর ডালিম হোটেলে জসিমের লাশ দেখেছেন
এখানে বৈপরীত্য কোথায়?
ভুল করে ৪, ৮ এর গন্ডগোল লেগে গেছে। ধরিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ। এডিট করছি।
ভাইজান সবাই নির্দোষ হলে দোষী কারা >>>?
মন্তব্য করতে লগইন করুন