মুসলিম বিশ্বসুন্দরী নির্বাচিত হয়েছেন তিউনিসিয়ার কম্পিউটার বিজ্ঞানী ফাতমা।
লিখেছেন লিখেছেন এমরুল কায়েস ভুট্টো ২৩ নভেম্বর, ২০১৪, ০৯:৪৭:১২ রাত
পশ্চিমা দেশ গুলো যখন সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম করে মেয়েদের কে উল্লঙ্গ করে উপস্থাপন করা হচ্ছে তখন তার জবাব হিসেবে গত বছর থেকে মুসলিমরা বিশ্ব মুসলিমা আয়োজন করে আসতেছে। এই আয়োজন টি মাধ্যমে তারা বুঝাতে চেয়েছেন নগ্নতা কখনো সুন্দরের অংশ হতে পারেনা। সুন্দর সেই যে মার্জিত, ধার্মীক, এবং আধুনিক শিক্ষাই শিক্ষিত। তাছাড়া এই আয়োজনের অন্য উদ্দেশ্য হল ইসলামিক সংস্কৃতি কে সারা বিশ্বে উপস্থাপন করা।
এইবার ইন্দোনেশিয়ায় মুসলিম নারীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত ‘ওয়ার্ল্ড মুসলিমাহ অ্যাওয়ার্ড’ প্রতিযোগিতায় মুসলিম বিশ্ব সুন্দরীর মুকুট জিতেছেন তিউনিসিয়ার তরুণী ফাতমা বেন গুয়েফ্রাচ। এ প্রতিযোগিতায় ১৮ জন ফাইনালিস্টের মধ্যে সবাইকে ছাড়িয়ে যান ২৫ বছর বয়সী এই কম্পিউটার বিজ্ঞানী।
উচ্ছ্বসিত তিউনিসিয়ান তরুণী ফাতমা বলেন, আল্লাহর সহায়তায় আমি এতদূর এসেছি। আমার চাওয়া হলো একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র এবং সিরিয়ার মানুষের মুক্তি। ১৮ জন চূড়ান্ত প্রতিযোগীর মধ্যে কম্পিউটার বিজ্ঞানী এবং ডাক্তারের মতো পেশাজীবী তরুণীরাও ছিলেন।
তারা কতটা নির্ভুলভাবে কোরআন থেকে তেলাওয়াত করতে পারেন সে পরীক্ষাও দিতে হয়। এ ছাড়া ইসলাম এবং আধুনিক বিশ্ব সম্পর্কে তাদের জানাশোনার পরিধিও ছিল বিচার্য বিষয়। মূলত পশ্চিমাদের মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় নারীদের বিকিনি পরিয়ে উপস্থাপন করার প্রতিবাদ হিসেবে এ প্রতিযোগিতার উদ্যোগ নেয়া হয়। আয়োজকদের একজন জামেয়াহ শেরিফ বলেন, আমরা দেখতে চেয়েছিলাম তারা ইসলামি জীবনাচার সম্পর্কে কতটা ওয়াকিবহাল। জানতে চেয়েছি তারা কী খায়, কী পরে এবং কীভাবে জীবন কাটায়।
বিষয়: বিবিধ
২৫০৩ বার পঠিত, ৩৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এটা কি নারীর সৌন্দর্য অপরকে তথা পর পুরুষকে দেখানো নয় ? এখানে জাজদের মধ্যে পুরুষরা নিশ্চয়ই ছিল।
পবিত্র ক্বুরআনে আল্লাহ তায়ালা জাহিলিয়াত যোগের ন্যায় নিজেদের প্রদর্শন করতে নিষেধ করেছেন।
ইসলাম কি সুন্দরী প্রতিযোগিতা জাতীয় এ ধরনের কিছু সমর্থন করে , তা যতই পর্দানশীন হয়ে হয়ে হোক ?
পশ্চিমারা মদ খায় বলে, আপনিও অন্য রকম একটা মদ তৈরি করে খাওয়া শুরু করবেন?
এটাকে জায়েজ মনে করলে আরও খারাপ কিছু সামনে আসবে যাকে আর অশ্লীল মনে হবে না ।
মুর্তি পূঁজার শুরু কিভাবে হয়েছিল ? নুহ (আঃ)নবীর পর তার কওমে ইয়াফেস , শুদ্দআ , ইয়াগুস নামের বেশ কিছু নেককার লোক ছিল । তারা মারা যাবার পর লোকজন তাদেরকে নিয়ে খুব চিন্তা করতো এবং কাঁদতো ।
পরে শয়তান তাদেরকে বোঝালো যে , এভাবে না কেঁদে তোমরা বরং তাদের একটা করে প্রতিকৃতি বানাও এবং সেটাকে শ্রদ্ধা করা শুরু কর ---এভাবেই শয়তান মানুষকে মূর্তি পূঁজায় উদ্ভুত করলো ।
শয়তান কখনও কাউকে দিয়ে কোন কাজ করাতে পারে না , ওয়াসওয়াসা দেয় - প্রলুব্ধ করে ।
ঠিক এমনিভাবেই বিধর্মীদের দেখাদেখি এই সুন্দরী প্রতিযোগিতার আয়োজন এটা শয়তানেরই ফুসলানো বিষয় । আর শয়তান তার ফুসলানোতে অধিকাংশ লোককেই ফাঁসাতে পারে , শুধু আল্লাহর খাস বান্দাদের ছাড়া।
শুদ্ধ ও শ্রুতিমধুরভাবে ক্বুরআন তেলাওয়াতের কি আলাদা কোন প্রতিযোগিতা দুনিয়াতে নেই যে সেটা সুন্দরী প্রতিযোগিতার একটা ইভেন্ট হতে হবে?
ক্বুরআন তেলাওয়াতকে সামনে রেখে শয়তানের চ্যালারাই এটাকে জায়েজ করার ফন্দি করেছে।
নারীদের প্রদর্শনীর এই আয়োজন ক্বুরআন হাদিসের কোথাও পাবেন না যে এর পক্ষে বলা আছে ।
তাহলে সেই প্রতিযোগিতায় কি এমন কোন নারীও অংশগ্রহণ করতে পারবে যে স্লিম হবেনা চেহারার সৌন্দর্য থাকবেনা, যার ওজন হবে ১০০ কিলোর উপ্রে?
আর মনে রাখবেন ইসলামিক সংস্কৃতি কে সারা বিশ্বে উপস্থাপন করার জন্য বিধর্মীদের কালচার থেকে নিয়ে নতুন কিছু শুরু করার কোন প্রয়োজন নেই, ইসলাম পরিপূর্ণ এক ধর্ম, সঠিকভাবে ইসলামের প্রতিটা কাজ যদি মুসলিমরা করে তাহলে পুরো দুনিয়ার বিধর্মীরা ঠিকই ইসলামের সৌন্দর্য দেখবে। @এমরুল কায়েস ভুট্টো
এই ধরনের অনুষ্ঠান যদি সব জায়গায় হত তাহলে মুসলিম মেয়েরা নগ্নতার দিকে পা না বাড়িয়ে ইসলামের পথে চলত।
আপনি এমনই একটা বিষয়কে ডিফেন্ড করতেছেন যেটার পক্ষে ক্বুরআন ও হাদিসে বলাই হয় নি বরং এর বিপরীতে বলা হয়েছে ।
খৃষ্টাররা সপ্তাহে একবার গির্জায় গিয়ে ধর্মীয় উপাসন করে , আপনি কি সেরকম কিছু চান ? বা এরকম কিছু ইসলামী শরিয়তে এপ্রুভড্?
যা হোক, বোঝানোর পর যদি না বোঝেন তাহলে আমরা আর কিই বা করতে পারি যদি আল্লাহই আপনাকে মোহর মেরে দেন ?
খুবই আশ্চর্য্য হলাম কিছু মুসলমান নামধারী মানুষের কান্ড দেখে।
• একেবারে সরু তথা আঁটশাট বোরকা পরে।
• আকর্ষণীয় স্কার্ফ মাথায় জড়িয়ে।
• ডিজাইন করা লেহেঙ্গার সঙ্গে পাতলা ফিনফিনে স্কার্ফ মাথায় জড়িয়ে।
• উন্মুক্ত বাহুদ্বয় এবং অনাবৃত পদযুগলের কারণে।
• অলংকার শোভিত নিমন্ত্রণমূলক পদবিক্ষেপের পরিণামে।
• মোহনীয় দৃষ্টি, সুরেলা কণ্ঠ এবং কাঁচভাঙ্গা হাসি দিয়ে।
• সুরভিত ঘ্রাণ, সুউচ্চ হিল এবং অনুরণিত শব্দ দিয়ে।
• চেহারায় সৌন্দর্য ও মনোমুগ্ধকর বর্ণের সুদীপ্ত আভা ছড়িয়ে।
কারণ, হিজাব কোনো প্রতীক নয়। ফ্যাশনের উপকরণ কিংবা সৌন্দর্য বর্ধনের সামগ্রীও নয়। এ এক অবশ্য পালনীয় বিধান। আল্লাহ এ হিজাব ফরয করেছেন মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উম্মতের প্রতিটি প্রাপ্ত বয়স্ক নারীর ওপর। এর প্রবর্তক আমরা কেউ নই; খোদ পুরুষ-নারীর স্রষ্টা মাবুদ আল্লাহ। অতএব এ বিষয়ে আমরা ভিন্ন মত দিতে পারি না। পারি না নতুন কিছু আবিষ্কার করতে। পারি না এর কোনো বিকল্প উদ্ভাবন করতে। আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন,
‘আর আল্লাহ ও তাঁর রাসূল কোনো নির্দেশ দিলে কোনো মুমিন পুরুষ ও নারীর জন্য নিজদের ব্যাপারে অন্য কিছু এখতিয়ার করার অধিকার থাকে না; আর যে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে অমান্য করল সে স্পষ্টই পথভ্রষ্ট হবে’। {সূরা আল-আহযাব, আয়াত : ৩৬}
আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন,
‘আর আল্লাহ ও তাঁর রাসূল কোনো নির্দেশ দিলে কোনো মুমিন পুরুষ ও নারীর জন্য নিজদের ব্যাপারে অন্য কিছু এখতিয়ার করার অধিকার থাকে না; আর যে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে অমান্য করল সে স্পষ্টই পথভ্রষ্ট হবে’। {সূরা আল-আহযাব, আয়াত : ৩৬}
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 10348
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 917
"> মুক্তিযুদ্ধের কন্যা লিখেছেন : অনেক মমিনা হিজাব দিয়ে তাদের মাথা ও চুল পেঁচিয়ে বেঁধে পৃথিবী থেকে গোপন করে রাখে। নইলে নাকি আশেপাশের মুমিন পুরুষরা তাদের দেখে কামার্ত হয়ে পড়বে, রেপ করতে চাইবে বা করেও ফেলবে। যেজন্য নবী মোহাম্মদ এই নিয়ম চালু করেন। কিন্তু ওরা ওদের ঠোঁট কেন লুকিয়ে রাখে না? ঠোঁট দেখলে কি পুরুষদের তাতে চুমু খেতে মন চাইবে না? মুমিন পুরুষ'দের কি শুধু মমিনাদের চুল আর মাথা ধর্ষণ করতে ইচ্ছে হয়?আমাদের এখানে কিছু মুসলিম আছে হালাহ মুরগী পাওয়া সত্বেও হারাম মুরগী কিনে বল্লে বলে খাওয়ার সময় বিসমিল্লাহ বলে খাই ।
এটা কি হালাল হবে ?
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 10348
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 764
মুক্তযুদ্ধের কন্যা চায় চেতনার লড়াই!!
যুদ্ধের সময়কার পাকিদের নাপাকি লড়াইয়ে মন ভরে নি তোমার......???
শাহবাগে যাও!জমির চাচারা আছে তোমার জন্যে!!
ভাই আপনার কাছে প্রশ্ন, মাসুদা ভাট্টি, রোকিয়া প্রাচীরা বিভিন্ন টকশোতে গিয়ে যখন নারী স্বাধীনতার কথা বলে হিজাব/বোরকাকে নারী স্বাধীনতার অন্তরাই বলে ঘোষনা করে তখন কি কোন ইসলাম পন্থি বোন পেরেছে তাদের যুক্তি খন্ডন করে তাদের বিরোদ্ধে কথা বলতে? পারেনি। কেন পারেনি সেটা জানেন? কারণ আমরা তাদের কে জবাব দেবার মত উপযোগি করে গড়ে তুলতে পারিনি। কিন্তু আমরা কি পারতাম না শালীন ভাবে হিজাব পড়া মেয়েদের কে দিয়ে ভাট্টি, রোকিয়ার দাত ভাঙ্গা জবাব দিতে। কেন পারলাম না। যদি মেয়েরা এর প্রতি বাদ করতে পরত তাহরে ভাট্টি, রোকিয়ারা কোখনো এমন কথা মুখে আনতে সাহস পেত না। কিন্তু আজ ভাট্টি, রোকিয়া এই রকম প্রচারণার ফলে কমলমতি মুসলিম বোনেরা মাসুদা ভাট্টি, রোকিয়া প্রাচীদের কথা শুনে তাদের পথেই পা বাড়ায়। ঠিক তেমনি ইসলামিক সংস্কৃতি প্রচারের অভাবের সুযোগ নিয়ে ভুরি ভুরি নগ্ন সংস্কৃতি আমাদের সমাজে প্রবেশ করেছে। যা আমাদের সমাজে প্রভাব পড়েছে। কয়জন মুসলিম মেয়ে হিজাব পড়ে? এই অনুষ্টানে অংশ গ্রহন কারী সব মেয়ে তো শালীন ভাবে হিজাব পড়েছে। তাছাড়া এই অনুষ্টানে অপর উদ্দেশ্য হল তরুনীদেরকে কৌশলে ধর্মের দিকে ধাবিত করা। কারণ এই অনুষ্টানে অংশ গ্রহন করতে হলে নির্ভুলভাবে কোরআন থেকে তেলাওয়াত করতে পারেন সে পরীক্ষাও দিতে হয়। এ ছাড়া ইসলাম সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান থাকতে হয়।
এই ধরনের অনুষ্ঠান যদি সব জায়গায় হত তাহলে মুসলিম মেয়েরা নগ্নতার দিকে পা না বাড়িয়ে।
এই সব মডারেট মুসলিমদের কাজে সময় না ব্যায় করে, সত্যিকার ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করা উচিত। আর আমরা তাই করছি। একটা উদাকহরণ দিই, একটা কাটাদার বাগান আছে, একদল বলছে কিভাবে এই কাটাদার বাগানে চলাফেরা করা যায়, তার প্রশিক্ষন নেওয়া উচিত। নাহলে তো কাটা ফুড়বে। আর একদল বলছে, অযথা প্রশিক্ষন নিয়ে সময় নষ্ট না করে কাটাদার বাগান সাফ করে দেওয়া উচিত। তাই আমরা কাটাদার বৃক্ষ সাফ করার চেষ্টা করতেছি। আর আপনারা বসে বসে থিউরি আবিস্কার করেন। কিভাবে কাটাদার বাগানে চলা যায়?
তাহলে মুসলিমদের অবস্থাা এই করম হচ্ছে কেন? কয়জন মুসলিম মেয়ে আজ বোরকা পড়ে? আমরা কি কখনো বোরকা হিজাব পড়ার জন্য প্রচারনা চালাতে পেরেছি?
তাছাড়া পশ্চিমা দেশগুলোতে এতো গুলো খ্রিষ্টান ইসলাম গ্রহনের পেছনে সম্পুর্ন অবদান কিন্তু মডারেড মুসলিমদের। সেটাও অশ্বীকার করতে পারবেন না।
মন্তব্য করতে লগইন করুন