লতিফ সিদ্দিকী এখন মানবতাবাদীদের দখলে।
লিখেছেন লিখেছেন এমরুল কায়েস ভুট্টো ১৪ অক্টোবর, ২০১৪, ০৯:০৩:৫৩ সকাল
আমাদের একটা কথা মনে রাখা উচিৎ যে, সকল ধর্মকে সম্মান করাই হল মানব ধর্ম। এর বাইরে আলাদা ভাবে মানব ধর্মের কোন অস্তিত্ব নাই।
তসলিমা নাসরিন দাবী করে সে মানব ধর্মে অর্থাৎ ধর্মনিরপেক্ষতাই বিশ্বাসী। তাই যদি হয় মুসলমানদের অনুভুতিতে আঘাত দেবার জন্য লতিফ কে ধন্যবাদ দিয়ে সাহসী বলার কারণ কি? এতে বুঝা যায় তসলিমার মধ্যে ইসলাম বিরোধী মনমানসীকতায় আছন্ন। যা কখনোই মানব ধর্মে বা ধর্মনিরপেক্ষতাই বিশ্বাসী হতে পারেনা।
তার ধর্মনিরপেক্ষতা প্রমান করতে গিয়ে সে "লজ্জা" নামক বইটি লেখেন। যে বই গুজরাটি ভাষায় অনুবাদিত হবার পর হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা এবং ২০০০ এর অধিক মুসলিমকে নৃশংস ভাবে হত্যা।
লতিফ সিদ্দিকীর বক্তব্যর পর অনেক মুক্তমনাই তার বক্তব্য কে নিন্দা না জানিয়ে ঘুরিয়ে পেচিয়ে বৈধতা দেবার চেষ্ট করতেছে। তারা ইনিয়ে বিনিয়ে বলতে চাচ্ছে এটা লতিফ সিদ্দিকীর স্পিস ফ্রিডম অর্থাৎ বাক স্বাধীনতা!!!
আরেক মুক্তমনা প্লাস মানবতাবাদী কর্মী দেশ টিভির প্রধান বার্তা সম্পাদক জায়েদুল আহসান পিন্টুর বিডি নিউজ২৪ এ মতামত বিশ্লেষন পর্বে প্রকাশিত বাঙালি মুসলমানের ধর্মীয় অনুভূতি
শিরনামে প্রকাশিত কলামে উল্টো মুসলিমদের কেই দোষারোপ করা হচ্ছে। তার কথায়, কেন মুসলিমরা এতো প্রতিক্রিয়া দেখাতে গেল? মুসলিমরা এতো মৌলবাদী কেন?
তার ক্ষোভের কারণ মুসলিমরা লতিফ সিদ্দিকীর উপযোক্ত বিচার চেয়েছে। এমন কি তারা আওয়ামীলীগ কেও খুব গালি দিচ্ছে, কেন আওয়ামীলীগ লতিফকে জনগনের চাপে পড়ে দলথেকে বহিষ্কার করে শাস্তি দিল??
এর জবাব দিয়ে আমি একটি মন্তব্য করেছিল। কিন্তু আমার মন্তব্যটি আঘা ঘন্টা মতই ছিল মাত্র। এর পর ডিলেট করে দেয়!!!
এবার চিন্তা করে দেখুন এতবড় সাংবাদিক হয়েও আমার মন্তব্যের জবাব না দিয়ে উল্টু ডিলিট করে দিয়েছে।
তার মতে, লতিফ সিদ্দিকীর অপরাধের তুলনাই শাস্তি নাকি বেশি হয়ে গেছে। যদিও শুধু মাত্র আওয়ামীলীগ থেকে বহিষ্কার ছাড়া লতিফের কোন শাস্তিই এখনো হয় নি।
শুধু তাই নয় মুক্তমনারা বাংলাদেশের সংবিধানকেও খুব গালি দিচ্ছে। বাংলাদেশের সংবিধান নাকি অসাম্প্রদায়িক নয়। আর সংবিধান অসাম্প্রদায়িক না হওয়াতেই বাংলাদেশীরা সাম্প্রদায়িক হয়েছে। আসল কথা হল সংবিধানের মধ্যে অসাম্প্রদায়িকাতা নাকি সাম্প্রদায়িকতা আছে সেটা বড় কথা নয়। বড় কথা হল মানুষেরর মনমানসিকতা। যেমন ইন্ডিয়া একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র। সংবিধানও ধর্ম নিরপেক্ষ। কিন্তু বাস্তবতা দিয়ে বিবেচনা করলে দেখা যাবে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি সাম্প্রদায়িক হামলা হয় ঐ ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র ইন্ডিয়াতে। শুধু মাত্র সাম্প্রদায়িক হামলায় ইন্ডিয়াতে যত মানুষকে হত্যা করা হয়েছে আর কোন দেশে যুদ্ধ ব্যাতিত এতো লোক কে হত্যা করা হয়নি। তাহলে কোন কাজে এসেছে সেই তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধানের?
লতিফ কাহীনি লিখতে গিয়ে সে ৩বছর আগের সংগঠিত হওয়া রামুর বোদ্ধ বিহারের ঘটনাটিও ফুঁলিয়ে ফাপিয়ে রচনা করেছে। কিন্তু ঘটনাটি ঘটার পেছনে মূলহোতা উত্তম বডুয়ার ব্যাপারে কিছুই বলেনি!!! আমার মনে হয় মুক্তমনারা যুক্তি বিদ্যার সেই "কারন ছাড়া কোন কার্য সংগঠিত হয় না" এই সূত্রটি সম্পর্কে তারা পুরোপুরি অজ্ঞ। নয়ত তারা কেন স্বীকার করেনা যে সেইদিন যদি উত্তম বড়ুয়া কতৃক পবিত্র কোরআনকে অবমাননা করা না হত তাহলে অনাকাক্ষিত ঘটনাটি ঘটত না। তার মানে এই নয় যে আমি সেইদিনের ঘটনাকে সমর্থন দিচ্ছি। শুধু বলতেছি যে মুলহোতা উত্তম বড়ুয়াকেও আইনের আওতায় আনা হওক। যাতে করে কেউ ধর্মীয় উচকানি দিতে সাহস না পায়।
আসল বাস্তবতা হল, উত্তম বড়ুয়া যা করেছে এবং একটি দেশের মন্ত্রীহয়ে লতিফ সিদ্দিকী যা বলেছে সেটা বাংলাদেশ না হয়ে অন্য যেই দেশ হওক না কেন সমান প্রতিক্রিয়া দেখাবে।
দেশের ধর্মপ্রান মানুষকে উত্তেজিত করার মাধ্যমে জঙ্গি তত্ব প্রচার করতে একটি মহল পরিকল্পিত ভাবেই এসব করাচ্ছে। যা উত্তম বড়ুয়া্র ক্ষেত্রে সফল হলেও লতিফ সিদ্দিকীকে দিয়ে সফল হয়নি। তাদের উদ্দেশ্য সফল হয়নি কারণ দেশের মানুষ শান্তি পূর্ন ভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছে।
এখন তারা সুর পাল্টিয়ে মানবাতার দরদ দেখিয়ে ঘুরিয়ে পেছিয়ে লতিফ সিদ্দিকীকে সমর্থন জানাচ্ছে। এগুলো বিডিনিউজ২৪ সহ বিভিন্ন মিডিয়াতে নিয়মিত ভাবে প্রচার করা হচ্ছে। তারা এখন বলতেছে লতিফ সিদ্দিকীর অপরাধের তুলনাই শাস্তি নাকি বেশি হয়ে গেছে। যদিও শুধু মাত্র আওয়ামীলীগ থেকে বহিষ্কার ছাড়া লতিফের কোন শাস্তিই হয় নি।
বিষয়: বিবিধ
১২৫৮ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বুঝতে পারছি ওটা আপনি ত্যাচ্ছল্যর সূরে লিখেছেন তবুও।
মন্তব্য করতে লগইন করুন