গডম্যান কর্তৃক মেয়েদের ধর্ষনের ইতিহাস। (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন লিখেছেন এমরুল কায়েস ভুট্টো ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০২:৫৫:০৯ দুপুর

বর্তমানে একটি সম্প্রদায়ের অনেক সুবিধাভোগি মানুষ আছে যারা নিজেদের গডম্যান বা ভগবান বা ভগবানের প্রতিনিধি দাবী করে বসে। তাদের নামে তৈরি হয় অনেক বড় বড় মন্দির এবং আশ্রম। তাদের ভক্ত কুলের সংখ্যাও কম নয়। রাষ্ট্রিয় ভাবেও ভগবাদের কে অালাদা সম্মান দেওয়া হয়।

লাখ লাখ innocence নারী পুরুষ তাদের কে ভগবান বলে মেনে নেয়। মন্দিরে আরো থাকে সেবা দাসী। সেবা দাসীদের কাজ হল মন্দির প্রর্থনা করা এবং ভগবান ও ভগবানের সাঙ্গ-পাঙ্গদের যৌন সেবা দেওয়া। সেবা দাসীদের যৌন সেবায়ও সন্তষ্ট হয় না। ভক্তরা তাদের প্রতি অন্ধ বিশ্বাসী বলে এই সুযোগটা্ কাজে লাগায় ভগবানরা। প্রর্থনা করতে আসা নারী ভক্তদের ধর্ষন করে তাদের তৃপ্তি মিটায়। সামাজিক এবং চক্ষু লজ্জার ভয়ে নারীরা ভগবান কতৃক ধর্ষনের কথা মুখ ফুঠে বলতে সাহস পায়না। এই সুযোগটার কারণে মূলত ভগবানরা যৌন সম্রাট হতে পেরেছে। যা মিড়িয়াতে The Sex Lives of Godmen শিরোনামে এসেছে। নিউজ লিংক The Sex Lives of Godmen

কয়েক বছর আগে স্কুল/কলেজ ও উঠতি বয়সি মড়ল এবং বিমান বালাদের দিয়ে দিল্লিতে এক ভগবান পতিতালয় গড়ে তুলঠিল। যা আর্ন্তজার্তিক মিড়িয়া গুলোতে নিন্দার ঝড় উঠেছিল। সেটা তো আপনার সবাই জানেন। গুগলে godmen sex দিয়ে চার্চ দিলে ইন্ডিয়ান ভগবানদের হাজারো যৌন কাহিনী দেখতে পাবেন।

এবার কিছু এইরকম গডম্যান/ভগবানের কাহিনী তুলে ধরি।

ঘটনা ০১

দাবী করে কোন মেয়েকে ধর্ষন করার পর যদি লোকটি দাবি করে তার যৌন সামর্থ্য নেই , কথাটা কতটাই হাস্যকর হবে??

হ্যা.. এমনটাই দাবী করেছে নিত্যানন্দন (৩৬) নামে ভারতের আধ্যাত্মিক গুরু। হাজার হাজার লোক তাকে ঈশ্বরের প্রতিনিধি মনে করে। অনেক মেয়েকে ধর্ষন করার পর সে এখন বলতেছে, আমি ছোট ছেলের মতো, তার কোনো যৌন সামর্থ্য নেই। তারপর আদালত তার যৌন চহিদা আছে কিনা তা জানার জন্য বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা করার আদেশ দেন।

ছবিঃ নিত্যানন্দন

যুক্তরাষ্ট্রের এক নারী অভিযোগ করেছেন, তিনি নিত্যানন্দনের হাতে দৈহিকভাবে নির্যাতিত হয়েছেন। এরপর আরো কয়েক শিষ্যা দাবি করেন, তাদেরকেও তার এবং তার সহযোগীদের সাথে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করতে বলা হয়েছিল।

তারপর চার বছর আগে স্থানীয় একটি টেলিভিশন চ্যানেলে এক অভিনেত্রীর সাথে তাকে ঘনিষ্ঠভাবে দেখা যাওয়ার পর তিনি ‘লাপাত্তা’ হয়ে যান।

ছবিঃ অন্তরঙ্গ মুহুত্বে অভিনেত্রীর সাথেঃ

নিউজ হেডলাইন আধ্যাত্মিক গুরুর দৈহিক সামর্থ্য পরীক্ষার নির্দেশ

দুই মাস খোঁজখুঁজির পর হিমাচল প্রদেশ থেকে তাকে আটক করা হয়। লিংক

ঘটনা ০২

ইন্ডিয়াতে গডম্যান বা ভগবান দ্বারা মেয়েদের ধর্ষন এখানে শেষ নয়। এর আগে আশুরাম বাপু নামে আরেক আরেক ভগবান অনেক অনেক মহিলা এবং ধর্ষন করার পর এক নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষন করে ফেঁসে যায়। এই ভগবানও নিজেকে যৌন ক্ষমতায় অক্ষম দাবী করেছিল।

ছবিঃ আশরামে সংঙ্গে নাবালিকার...

ঘটনা ০৩

মন্দিরের এক পুরোহিত কয়েক বছর ধরে এক নারীকে যৌন হয়রানী (ধর্ষন) করে আসতেছে। বিষয়টি থানা অভিযোগ করায় উল্টো মহিলার মা-বাবা কে গ্রেফতার করা হয়েছে পুলিশ!!!!

তাহলে কি ইন্ডিয়াতে মন্দিরের পুরোহিত দ্বারা মহিলাদের ধর্ষন আইনত বৈধ??

নিউজ লিংকঃ পুজারির বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে মামলা

এই ছবিটি দেখেই বুঝতে পারবেন এইসব লম্পটারা সরকারের কত ঘনিষ্ট!! প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মুদির সাথে সেই লম্পট।

ধর্ষক এবং ধর্ষিতার ছবিঃ

ঘটনা ০৪

নিউজ লিংক [url

হিন্দু ধর্মগুরু রামপাল ও তার ছেলের পছন্দের শয্যাসঙ্গিনী ছিলেন ববিতা!!! এবং সুন্দরি নারী ভক্তদের দুগ্ধ-স্নানে শুদ্ধ হতেন ধর্মগুরু

আরো একবার প্রকাশিত হলো ভারতের স্বঘোষিত ধর্মগুরু রামপালের যৌন কাহিনী। পুলিশের সামনে রামপালের যৌনজীবনের কথা ফাঁস করে দিলেন তাঁর একদা বিশ্বস্ত সাধ্বী।

জানা গেছে, আশ্রমের সেবিকাদের সাধিকা বলে সম্বোধন করত রামপাল। সেই সাধিকাদের একেবারে নিজস্ব আস্তানায় নিয়ে যেতে পছন্দ করত সে। তাঁদের মধ্যে হাতেগুণে কয়েকজনকে ঘরে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হতো ৷যাঁরা ছিলেন রামপালের শয্যাসঙ্গিনী। তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পছন্দের ছিলেন বছর ২৭-এর ববিতা কুমারী ওরফে বেবি। ঘণ্টার পর ঘণ্টা রামপালের সঙ্গে বন্ধ ঘরে কাটাতেন তিনি। সেই সময় ঘরে কাউকে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হতো না। রামপালের ওই ঘর থেকেই প্রেগন্যান্সি টেস্ট কিট উদ্ধার করে পুলিশ।

ছবিঃ

সুন্দরি নারী ভক্তদের দুগ্ধ-স্নানে শুদ্ধ হতেন ধর্মগুরু

href="http://mzamin.com/details.php?mzamin=NTMyOTU%3D&s=MQ%3D%3D" target="_blank"]সৎকার করা ‘পাপ’ তাই ‘গডম্যানে’র মৃতদেহ ফ্রিজিং: আশ্রমকে ঘিরে চলত যৌনতা[/url]

মন্দিরের ভগবানদের সান্নিদ্ধে সেবাদাসী এবং নারী ভক্তদের

পূন্য স্নানে ভগবানের সঙ্গি হওয়া এক ভক্তঃ

আর্থিক সুবিধা পেয়ে অনেক উঠতি নায়িকা/মড়েলরাও ভগবানদের সাথে ভগবানদের সাথে যৌন সম্পর্ক করে।



ভগবানের লিংঙ্গের আর্শিবাদ ঃ



দেখুন এই সব ভগবানরা ধর্ম সেবার নামে মেয়েদের চরম ভাবে অমর্যাদা করে।

সেবাদাসীর ছবিঃ (সাধা এবং হলুদ শাড়ী পড়া)

এসব দেখে আপনার কি মনে হয়ে ২০১৪ সালে এসে এই রকম ধর্মের কোন প্রয়োজন আছে??

বিষয়: বিবিধ

১১৮৪৩ বার পঠিত, ৩২ টি মন্তব্য