তরুনী/কিশোরীদের ধর্ষনের হাত থেকে বাচাঁতে আসুন কিছু টয়লেট নির্মান করে দিয়ে আসি।
লিখেছেন লিখেছেন এমরুল কায়েস ভুট্টো ২৯ আগস্ট, ২০১৪, ১২:০৯:৪৩ রাত
প্রথমে আমার নিজের চুখে দেখা একটা ঘটনা বলি।২০০৬ সালের ঘটনা। আমাদের SSC দিতে হয় উপজেলাতে (নাইক্ষ্যংছড়ি) গিয়ে। দুরত্ব বেশি না হলেও যাতায়াতের সমস্যার কারণে বাড়ি থেকে গিয়ে পরীক্ষা সম্ভব হত না। তাই সবাই এক মাসের জন্য নাইক্ষ্যংছড়িতে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতে হত।
আমি এবং আমার ফ্রেন্ড বিধান ধর মিলে একটা বাসা ভাড়া নিই। আমাদের বাসাটার পাশ দিয়ে বয়ে গেছে একটা ছোট ঝিরি(ছোট খাল)। অপর পড়ে ছিল মগপাড়া (উপজাতি পাড়া)। ঝিরির পাড়ে বসে একটু সময় কাটাতে গেলে দেখা যায় এতো সুন্দর পরিবেশটা নষ্ট করে এখানে অনেকে প্রকৃতিক কাজ সেরেছে।
কিন্তু প্রতিদিন এই কাজটা কে করে আমরা বুঝতে পারি না। মুসিলাম রা তো করবেই না। অপরদিকে উপজাতিরাও অনেক শিক্ষিত এবং বাঙ্গালি সংস্কৃতির সাথে অনেকটা মিক্স হয়ে গেছে। তারাও যে এই কাজ করবে না এটা ১০০% সিউর। কিন্তু করে কে??
একদিন খুব সকালে ঘুমথেকে উঠে আমি আর আমার ফ্রেন্ড বিধান ঝিরির দিকে মুখ করে উঠানে দাড়িয়ে দাত ব্রাশ করছিলাম। হঠাৎ বিধান আবিষ্কার করল ঝিরির ওপারে একটা তরুনী বসে আছে। তখনই বুঝতে আর বাকি রইলানা যে সে ঝিরির পড়ে বসে বসে কি করতেছে।
মেয়েটা যে উপজাতি হবে এটা সিউর হলাম কিন্তু মেয়েটার মুখ অন্যদিকে হওয়াতে আমরা ঠিক দেখতে পারছিলাম না তাকে। অন্যদিকে মেয়েটাও বসা থেকে উঠতে পারতেছেনা আমরা দেখে ফেলার ভয়ে। এর মধ্যেই আমাদের সাথে যোগ হল বাড়িওয়ালার মেঝ মেয়েও। আমরা তিন জনই সিন্ধান্ত নিলাম উপজাতি মেয়েটাকে একটা উপযুক্ত শিক্ষা দেব বলে। এর মধ্যে ভোররাতের অন্ধকার কেটে প্রায় সূর্য ওঠার সময় হয়ে গেছে। পরে অবশ্য আন্টি(বিধানের মা) আমাদের কে ডাকার কারণে সেদিন উপজাতি মেয়েটা রক্ষা পেল আমাদের হাত থেকে।
কিন্ত আমার মনে প্রশ্ন উদয় হল এত শিক্ষিত হওয়ার পরও কেন তার খোলা জায়গার পায়খানা করে কেন??
উত্তর পেলাম বাড়িওয়ালার মেয়ে থেকে। অনেকের ঘরে বাথরোম থাকা সত্তেও খোলা জায়গায় পায়খানা করা উপজাতিদের নাকি দীর্ঘদিনে অভ্যাস 8->
এবার আসি মূল কাহিনীতেধর্ষনে বিশ্ব রেংঙ্কিং এ এক নাম্বারে থাকার কারনে ধর্ষনের আড়ত উপাদি পাওয়া ভারতে এতো ধর্ষন কেন হয় তার কারণ খুজতে অনেক জরিপ করা হয়েছে।
টয়লেট না থাকার কারণে এতো ধর্ষনের ঘটনা ঘটে বলে জরিপের রিপোর্টে বলা হয়েছে। (সূত্রঃ বিবিসি, আনন্দবাজার পত্রিকা, নয়াদিগন্ত) http://insaf24.com/archives/6448 —
জরিপের রিপোর্টে আরো বলা হয়েছেঃ
মানুষের প্রাকৃতিক প্রয়োজন সারবার জন্য পর্যাপ্ত টয়লেটের অভাবে ভারতজুড়ে বাড়ছে ধর্ষণ-হত্যা ও যৌন হয়রানির মতো জঘন্য ঘটনা। ক্রমে বেড়ে চলা এসব ঘটনায় বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন নারীরা। নারীর মর্যাদা হচ্ছে ভূলুণ্ঠিত।
পরিসংখ্যানে দেখা দেছে, ভারতের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি নাগরিকের কোনো শৌচাগার বা টয়লেট নেই। আর বাড়িতে টয়লেট না থাকায় অনেক বাড়ির গৃহবধূরা স্বামীর বাড়ি ছেড়ে চলে যাচ্ছেন বাবার বাড়িতে।
টয়লেটের অভাবে রাতের অন্ধকারে বাইরে বেরিয়ে বারবার ধর্ষণ, হত্যা ও যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছেন বালিকা-কিশোরী-তরুণীরা। কিন্তু রাত নামলে বিপদের আশঙ্কা জেনেও ঘরের বাইরে বেরোতে হয় তাদের।
বিবিসি জানায়, ভারতের ১২০ কোটি জনসংখ্যার অর্ধেকের অর্থাৎ ৬০ কোটি লোকের বাড়িতে কোনো টয়লেট সুবিধা নেই।
আর উত্তরপ্রদেশের সাম্প্রতিক খবর, টয়লেট না থাকায় নববিবাহিত ছয় নারী স্বামীর বাড়ি ছেড়ে বাবার বাড়ি চলে যাবার ঘটনাও ঘটেছে।
এর পরিপেক্ষিতে মুদি ক্ষমতায় আসার পর মন্দিরের আগ টয়লেট তৈরির আহবান জানান। লিংক Click this link
পরিশেষে আমার একটা কথাঃ বাংলাদেশের অনেক জায়গায় উপজাতিরা খোলা জায়গায় পায়খানা করলেও ধর্ষনের ঘটনা ঘটেনা। তার একমাত্র কারণ বাংলাদেশিরা জাতে ভদ্র। অন্যদিকে ভারতিয়রা লুইচ্ছা প্রজাতির বলে তারা মেয়েরা খোলা জায়গায় পায়খানারত মেয়েদের ধর্ষন করে।
বিষয়: বিবিধ
৩৩৫৪ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ভারতের তুলনায় আমাদের দেশে টয়লেট ব্যবস্থা অনেক উন্নত। সরকারি উদ্যোগে সাস্থসম্মত টয়লেট প্রায় ২০-২৫ বছর আগেই গ্রামাঞ্চলে প্রচলিত হয়েছে। বর্তমানে এর সাথে বায়োগ্যাস প্লান্ট ও যুক্ত হচ্ছে। কিন্তু ভারতে মোবাইল সেট এর সংখ্যা টয়লেট এর থেকে বেশি!! আমাদের দেশে এই সমস্যা শহরতলি ও মফস্বল অঞ্চলে বেশি। বড় শহরে ও গ্রামে কম। এর আরেকটা কারন কিন্তু আমাদের দেশে অনেক মসজিদ আছে এবং প্রায় সকল মসজিদ সংলগ্ন টয়লেট আছে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন