রেশমার ছোট ভাই রাসেল
লিখেছেন লিখেছেন এমরুল কায়েস ভুট্টো ০৯ আগস্ট, ২০১৪, ১১:২২:২২ সকাল
রেশমা এবং রাসেল। দুজনেই ভাই বোন। তাদের মা বাবা নামও রেখেছে নামের অক্ষর মিলিয়ে। অথ্যাৎ দুজনের ই নামের প্রথম অক্ষর র দিয়ে শুরু। এই ভাই বোন "হাইড অব ট্রোজেটি" নাটকে অভিনয় করে।
রানা প্লাজাতে চাকরী না করেও রেশমা কে ১৭দিন পযন্ত রানা প্লাজার ধংসস্তুপের নিচে বসবাস করার পর জিবিত উদ্ধার করে। অপর দিকে মাওয়া ঘাটে দূর্ঘটনায় পতিত পিনাক-৬ নামক লঞ্চে না থেকেও ৫ দিন পর জিবিত উদ্ধার হয়!!!
যদিও লঞ্চটির কোন সন্ধান এখনো জানেনা কতৃপক্ষ। খুজে না পাওয়া লঞ্চ থেকে জলজান্ত মানুষ উদ্ধার হয়!!!!
৫ দিন পর "জিবিত উদ্ধার" হওয়ার রাসেল।
নাটকের পেক্ষাপট মাওয়া ঘাটের লঞ্চ ডুবি।
এই হল সেই [b]"রেশমার ছোট ভাই রাসেল"[/b] যে লঞ্চ ডুবির ৫দিন পর "জিবিত" উদ্ধার করেছিল "কতৃপক্ষ"।
কিন্তু তাদের বাজেট মাত্র ২০,০০০ টাকা হওয়ায় ধরা পড়ে যায়।
এত ছোট বাজেট নিয়ে কি নাটক বানানো যায়???
বাজেট কম হওয়াতে এই নাটক টি সুপার ফ্লপ হয়।
তবে এর আগের নাটক যেখানে তার বড় বোন রেশমার অভিনিত নাটক টি বিভিন্ন মহল এবং মিডিয়ার প্রমোট পেয়ে কিছুটা "হালাল" করে ফেলে।
১৭ দিন পর "জিবিত উদ্ধার" হওয়ার রেশমা।
নাটকের পেক্ষাপট রানা প্লাজা।
মোরালঃ বাংলাদেশে যখন বড় ধরনের কোন দূর্ঘটনা ঘটে, তখন আরো দুইটি ঘটনা ঘটানো হয়।
যথাঃ-
## একটা হল লাশ গুম করে মৃত্যুর সংখ্যা কম দেখানো হয়।
## অপরটা হল মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে ফেরানো জন্য কোন নাটক সাজানো হয়।
হ্যা ...রানা প্লাজা ট্রাজেটি তে যেমন "রেশমা" নাটক সাজিয়ে মানুষের দৃষ্টি অন্য দিকে নিয়ে গেছিল, ঠিক তেমনি এখন মাওয়া ঘাটে লঞ্চ ডুবিতে একই স্টাইলে "সরওয়ার" নাটক সাজাতে গিয়ে ধরা খেয়েছে।
মানুষের "ট্রাজিক মৃত্যু" কে ধামাচাপা দিতে যারা এসব কান্ড ঘটায় তারা কি কখনো মানুষ হতে পারে???
বিষয়: বিবিধ
১৬৩৩ বার পঠিত, ২৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কি ভাবে ধরা খেল.
এর বাড়ী আসলে কোথায়.
আসল নাম বুঝলাম রাসেল.
নাটক সাঝাতাছিল কারা. প্রশাসন না লঞ্চ মালিক.
এদিকে টেলিভিশনসহ গণমাধ্যমগুলোতে ‘জীবিত উদ্ধার’ সংবাদ প্রচার হলে সারাদেশে এ নিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। কিন্তু হায়, বিয়টি স¤পূর্ন গুজব।
টাকার লোভে জীবিত উদ্ধারের নাটক করছেন সরোয়ার। যার আসল নাম রাসেল। এ নাটকিয় বিয়টি পুলিশ ও গণমাধ্যম কর্মীরা বুঝতে পারার পর শুক্রবার বিকেলে মাওয়া ঘাটে স্থাপিত পুলিশ কন্ট্রোল রুম থেকে শ্রীনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মজিবর রহমান মাইকে ঘোষণা দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মজিবর রহমান বলেন, এর আগে তিনি নিজের নাম ‘সরোয়ার’ বললেও তার আসল নাম রাসেল সর্দার (২০)। তার বাবার নাম আলাউদ্দিন সর্দার। তার বাড়ি মাদারীপুরের কুকরাইল এলাকায়।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে রাসেল জানান, এক ক্যামেরাম্যান তাকে বলেছিলেন পাঁচ দিন পর জীবিত উদ্ধার দাবি করলে ২০ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্য পাওয়া যাবে। তাই ২০ হাজার টাকার লোভে তিনি এ নাটক সাজিয়েছেন।
ঠিক ঠাক মত অভিনয় করতে পারলে রেশমার মত তারও ওয়েস্টিনে চাকরি হয়ে যেত।
মন্তব্য করতে লগইন করুন