প্রথম আলোর নতুন আবিষ্কারঃ তাজউদ্দীন কন্যা শারমিন একজন মর্ডারেট মুসলিম!!!
লিখেছেন লিখেছেন এমরুল কায়েস ভুট্টো ১০ মে, ২০১৪, ০২:২২:০২ দুপুর
তাজউদ্দীনের বড় কন্যা শারমিন 'তাজউদ্দীন আহমেদ নেতা ও পিতা' নামক একটি বই লিখেছে।
ঐ বইতে তিনি লিখেছেন যে তার বাবার শত অনুরোধ সত্ত্বেও 'মুজিব কাকু' স্বাধীনতান ঘোষণায় স্বাক্ষর দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। শেখ মুজিবকে ২৫শে মার্চে একটি ঘোষণা দিয়ে যাওয়ার জন্যে তাজউদ্দীনের শেষ মুহুর্তের আকুতি, আন্ডারগ্রাউন্ডে গিয়ে থাকার জন্যে একটি বাড়ি ঠিকঠাক করে রাখা , বেগম মুজিবের ব্যাগ গুছানো, পায়জামার ফিতা লাগানো, পাকিস্তানী সেনাদের হাতে স্বেচ্ছায় গ্রেফতার বরন করার কাকুর এই প্রস্তুতি সত্ত্বেও বাবার হাল ছেড়ে না দেয়া, ২৭শে মার্চ কাকুর হরতাল ডাকা , বাসায় গিয়ে বাবাকে নাক ঢেকে ঘুমানোর পরামর্শ, বাসায় ফিরে হতাশ হয়ে লেখিকার মাকে সব খুলে বলা।
এই ধরনের কথা লিখেছেন। নিঃসন্দেহে এই কথা গুলো আওয়ামীলীগের জন্য অপমান জনক।
কিছু দিন আগেও তারেক জিয়া লন্ডনে একটি বক্তিতায় বলেছিলেন "মুজিব নয়, জিয়াই প্রথম রাষ্ট্রপতি"। তার এই বক্তব্যের জন্য কঠোর ভাষায় এর জোরালো প্রতিবাদ জানিয়েছেন আওয়ামীলীগ। এমন কি আওয়ামীলীগের অনেক নেতা জিয়াকে রাজাকার এবং জিয়ার পরিবার সম্পর্কে অনেক অশ্লীল কথাবার্তাও বলেছে।
শারমিনের এই লেখার জন্যও আওয়ামীলীগ জোরালো ভাষায় প্রতিবাদ জানাবে এটা স্বাভাবিক। কিন্তু বিপত্তি লেগে তাজউদ্দীন আরেক কন্যা শারমিনের ছোট বোন রিমি বর্তমানে আওয়ামীলীগের সংসদ সদস্য। বিগত আওয়ামীলীগ সরকারে তাজউদ্দীন পুত্র সোহেলও তাজ ছিল একজন প্রতি মন্ত্রী। যার কারণে জিয়ার মত তাজউদ্দীন কে সরাসরি রাজাকার উপাদি দিতেও পারতেছেনা আওয়ামীলীগ। অন্যদিকে শারমিনের ব্যাক্তি গত কোন দোষও পাচ্ছে না যে দেখানোর জন্য। তার উপর রিমি এবং সোহেলও শারমিনের ব্যাপারে অনেকটা নিরব ভূমিকায় আছে। এক কথায় খুবই মশকিলে পড়ে গেল আওয়ামীলীগ।
কিন্তু আমাদের "মিড়িয়া" নামক সন্ত্রাসীরা আওয়ামীলীগের এই বিপদ থেকে রক্ষা করেছেন শারমিন কে মর্ডরেট মুসলিম টেগ দিয়ে। প্রথম আলোতে প্রকাশিত "শারমিন একজন মর্ডরেট মুসলিম" শিরনামটি দেখে খুবই আগ্রহ সহকারে পড়লাম। সেখানে বলা হয়েছে শারমিন একজন মর্ডরেট মুসলিম। সে আমিরিকায় মুসলিমদের অগ্রগতির জন্য বিভিন্ন সংগঠনের সাথে সম্পিক্ত। দীর্ঘদিন ধরে তিনি মুসলিমদের অগ্রগতির জন্য বিভিন্ন সংগঠনের হয়ে দায়িত্ব পালন করে আসতেছে। সাথে সাথে বাম ঘরনার অনেকে শারমিন কে জামাত/শিবির টেগ দিয়ে বিভিন্ন ব্লগ এবং ফেইচ বুকের ফেন পেইজে খুব আজে বাজে কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যারা এসব আজে বাজে কথা বলতেছে তাদের অধিকাংশ নামই মুসলিমের নাম। আর মিড়িয়াতে কাজ করা সাংবাদিক নামক সন্ত্রসীদেরও অনেকই মুসলিমের ঘরে জম্ম নেওয়া এবং মুসলিম নাম ধরন করা।
মন্তব্যঃ এখন দেখা যাচ্ছে মুসলিমদের অগ্রগতির জন্য কোন কাজ করা বা মুসলিম হওয়াও বড় ধরণের আপরাধ আমাদের মিড়িয়ার চুখে। আর শুধু রাজনীতির জন্য ধর্ম ভুলতে বসা কিছু মানুষ প্রথম আলোর এই প্রতিবেদন নিয়ে খুবই উল্লাস করতে দেখা যাচ্ছে। যদিও তারাও মুসলিম। সলিমের ঘরে জম্ম নেওয়া এবং মুসলিম নাম ধরন করা কিছু মানুষের ইসলাম/মুসলিম সম্পর্কে এতো এলার্জি কেন?
বিষয়: বিবিধ
১৯২৯ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
তাহলে কি হত?
অবশ্যই মুজিব কাকু পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতেন! তাকেও পাকিস্তানে স্বেচ্ছা গমন করতে হতনা, ত্রিশ লাখ শহীদের কাহিনী বলে হাস্যকর হওয়া লাগত না।
কথা হল শারমিন যেটা বলেছেন এটা সাধারণ মানুষ একটু চিন্তা করলেই বুঝতে পারবো ।
৭ই মার্চ স্বাধীনতার সংগ্রামের ঘোষনা দেবার পরও যখন ৮-২৫ মার্চ ইয়াহইয়া- ভূট্টোর সাথে ঢাকা লাহোর প্রধানমন্ত্রীর পদ নিয়ে দর কষাকাষি করে তখন বোঝাই যায় যে ঐ দিন তো বটেই , ২৫ মার্চও কোন ঘোষনা আসার কথা না ।
আর ঘোষনা যদি ২৫ শে মার্চ সত্যিই আসতো তাহলে জিয়ার দরকার পড়তো না কাহিনী বানানোর । মুজিবকে তো চুপি চুপি এত বড় ইভেন্ট ঘোষনা করার মত নেতা বলে ভাবতে মন চাচ্ছে না ।
আর ঘোষনা আসলে তো মাঝারি ও হালকা সাইজের নেতাদেরও একটা দায় এসে যেত দেশে থেকে যাবার , যুদ্ধে লিড দেবার ।
ঐতিহাসিক নাম। আমার লেখা এসব নেতা নিয়ে নয়।
প্রথম আলোসহ আরো বেশ কিছু মিড়িয়া নাম কলম সন্ত্রসীরা শারমিনের সমালোচনা করতে গিয়ে "মর্ডরেট মুসলিম" প্রতিবেদন করা হয়েছে। তাদের এই প্রতিবেদন পড়ে মনে হয়েছে "মুসলিম" শব্দটি কোন অপরাধের নাম।
তারেক যে যাদু দেখিয়েছে তাতে আওয়ামীরা তেলে বেগুনে জলে উঠেছেন বিশেষ করে তোফায়েল সাবে কিন্তু এখন শারমিন আপা যে কাকুকে উলঙ্গ করে দিল সে ব্যাপারে কেন আওয়ামীরা নিরব ?
হয়ত মহাসত্য বেরয়ি আসবে তাই আওয়ামী চুচিল ও বাচাল রা এখন কথা লে না কৌশলে এদিক ওদিক কিছু বলছে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন