কীর্তিমতী তানিয়া আমীর!!!! একটি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা এবং অনুসন্ধানে কেঁচো খুঁড়তে সাপের আগমন!!!!!!!
লিখেছেন লিখেছেন এমরুল কায়েস ভুট্টো ১৫ এপ্রিল, ২০১৪, ১১:৪২:২২ সকাল
(সম্পুর্ন লেখা না পড়ে আমাকে গালি দিবেননা প্লিজ)
আইন পেশায় বাংলাদেশে সবচেয়ে পরিচিত মুখ নারী হলেন ব্যরিস্টার আমীরুল ইসলামের কন্যা ব্যরিস্টার তানিয়া আমীর। তার সুশীলতার মাত্রার এত আধিক্য যে প্রথম নারী এটর্নি জেনারেল হিসেবে তার নাম বিবেচনাও করেছিলেন ফখরুদ্দীনের সুশীল সরকার। লেখাটির অবতারণার কারণ আরেক সুশীল ব্লগার ও শাহবাগ নেতা আরিফ জেবতিকের পুরনো একটি পোস্ট।‘কতোটুকু বেহায়া হলে বুদ্ধিজীবি হওয়া যায়?’ এই শিরোনামে জেবতিক ০৭ সালে দাবী করেছেন তানিয়া এক কোটি কালো টাকা সাদা করেছেন। বিষয়টি আমার কাছে মোটেই অবাক করার মত নয়। তার কীর্তি সম্পর্কে গতবছর প্রথম জানতে পারি।
কাকার বাসায় বসে আছি, হঠাৎ তিনি টিভিস্ক্রিনে দৃশ্যমান হলেন। কাকা বলে উঠলেন, ‘ফাউল বেডি!’ আমি উৎসুক হলাম, কাহিনী কি? কাকার সাথে বনমন্ত্রী (গতবছর মনে হয় প্রতিমন্ত্রি ছিলেন) হাসান মাহমুদের খাতির ভালো। ফলে উনি দেখা করতে গেলে তানিয়াসহ অন্যদের অপেক্ষায় রেখেই হাসান মাহমুদ সাহেব তাঁকে চেম্বারে নিয়ে যান। তার ভাষায়, হাসান ভাই আ’লীগার হলেও ভালো লোক। আমাকে দেখে বললেন, আর বোলেননা ভাই এদের জ্বালায় বিরক্ত হয়ে গেলাম। বড় অংকের ক্লাইমেট ফান্ড আসবে সামনে, সেটা মেরে খাওয়ার জন্যে এ সবগুলা মিলে উঠে পড়ে লেগেছে। কি করি বলেন তো? আমি রুম থেকে বের হতেই এ বেডি তাড়াতাড়ি করে আসলো। এসেই প্রস্তাব দিছে, ওর দুইশো কোটি টাকার কি যেন একটা ফান্ডের জন্য আমি যেন হাসান ভাইকে বলি। তাইলে আমারেও দিবে কিছু।’
আমি শুনে হোচট খেলাম। এই তাহলে দুর্নীতি বিরোধী সুশীলদের অবস্থা? এ মহিলা তো আরেক কাঠি উপরে। উনি নিয়মিত দুর্নীতি প্রতিরোধ নিয়ে ডয়েচে ভ্যালিকে সাক্ষাৎকার দেন। আজ তার ব্যপারে খোজ নিতে গিয়ে আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেলাম। ২০০৮ সালে আমেরিকান ক্রনিকালে একটা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল যার শিরোনাম Fraud lawyer from Bangladesh।
এছাড়াও তার প্রতারণা নিয়ে Money sucker female `lawyer` in Bangladesh এবং এবং Defence.pk তেও এ নিউজ এসেছে।
এখানে যা বলা হয়েছে তার সারসংক্ষেপ হল উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা NAMNAM তাদের মধ্যপাড়া প্রোজেক্ট এর জন্য ব্যারিস্টার তানিয়া আমীরের শরণাপন্ন হয়। তানিয়া তাদের নিকট ১৭ লক্ষ টাকা ফিস দাবী করেন। কোন রিসিট প্রদান করা ছাড়াই তিনি তাদের কাছ থেকে ১৫০০০ ইউরো অগ্রীম নেন যা বাংলাদেশে আইন-পরিপন্থী। প্রতিবেদনে ভিসা পাইয়ে দিতে সহযোগীতার জন্য তিনি বিভিন্ন জায়গায় ঘুষ নেন বলে দাবী করা হয়। এরপর মাসের পর মাস চলে গেলেও কাজের কোন কিনারা না করে তিনি ক্লায়েন্টকে ঘুরাতে থাকেন। উ.কোরিয়া দূতাবাসের লোকেরা বাংলা মোটরের কনকর্ড টাওয়ারে তার অফিসে গেলে তিনি প্রতিনিধিদের লাঞ্ছিত করেন এবং তাদের হুমকি দেন যে সেনাবাহিনীতে তার ‘অন্তরঙ্গ’ বন্ধু আছে (তখন সেনা শাসন চলছিল) এবং তার কাজিন হল নারায়ণগঞ্জের পীরে কামেল মানুষ শামীম ওসমান। পরে দূতাবাসের প্রতিনিধিরা পুলিশের নিকট অভিযোগ দাখিল করেন যা পরবর্তীতে আলোর মুখ দেখেনি।’
তবে এর পক্ষে শক্ত প্রমাণ থাকলেও এখানে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যেটা তা হল ‘Fraud Lawyer’ হিসেবে এর সর্বাত্মক প্রচার করেছেন যিনি তিনিও একজন ‘Fraud Journalist’. তার নাম মোসাদ এজেন্ট সালাহউদ্দীন শোয়েব চৌধুরী। তিনি ইসরাইলের এজেন্ট হয়ে আরেক ইসরাইলপ্রেমীর বিরুদ্ধে লাগলেন কেন তা চিন্তার বিষয়। যারা ভুলে গেছেন তাদের মনে করিয়ে দিই তানিয়া আমীরই টকশো একুশের রাতে বলেছিলেন, বাংলাদেশের ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেয়া উচিৎ।
মাঝখানে কিছুদিন নীরব থাকলেও বর্তমানে যে লাইম লাইটে আসার চেষ্টা করে যাচ্ছেন তার প্রমাণ হল আল্লামা শফীর বিরুদ্ধে ‘আল্লাহর শানে অবমাননা’ মামলার বাদীপক্ষের হয়ে মাঠে নামা। অবশ্য তার ইসলাম প্রীতি নতুন কিছু নয়। ১৬ মার্চ তিনি আশিক্কীনে আউলিয়ার অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বক্তৃতা করেন। তার আগে বক্তব্য দেন বর্তমান দুনিয়ার সবচেয়ে বড় ইসলামবিশারদ শাহরিয়ার কবীর। তবে তার মত এত সুশীল কমই পাওয়া যাবে,সর্ব বিষয়ে পন্ডিত। এর আগে হুমায়ুন আযাদের মামলার আইনজীবিও তিনিই ছিলেন। তার যুক্তি ছিল যেহেতু মানুষ স্বেচ্ছায় পড়ে ধর্মানুভূতিতে আঘাত পেয়েছে, তাই সেটি তার ব্যক্তিগত। এর জন্য লেখককে দায়ী করা যাবেনা। আবার ফতোয়া নিষিদ্ধকরণ মামলায় তার মত ছিল, ফতোয়া অগ্রহণযোগ্য।
এছাড়া ০৮ সালে প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক ভোজসভায় তিনি বাইতুল মোকাররমকে জঙ্গীর আখড়া বলে মন্তব্য করে আলেম সমাজের তোপের মুখে পড়েন। এ নিয়ে ১২ আগস্ট আমার দেশে যে নিউজ করা হয়েছিল তা তুলে ধরছিঃ
“জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমকে সন্ত্রাসী এবং জঙ্গিদের আখড়া বলে মন্তব্য করে তোপের মুখে পড়েছেন ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে একজন বিদেশী অতিথির সম্মানে আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর আলোচনায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশকে মৌলবাদী রাষ্ট্র হিসেবে চিহ্নিত করে বলেন, ইসলামি জঙ্গিরা এখানে বিশেষভাবে তৎপর। একের পর এক বোমা হামলা চালাচ্ছে ইসলামি জঙ্গিরা। বায়তুল মোকাররম মসজিদ সন্ত্রাসী এবং জঙ্গিদের সবচেয়ে বড় আখড়া। অতীতে চারদলীয় জোট সরকার এটাকে মদদ দিয়েছে। বর্তমান সরকারও এই জঙ্গিদের রক্ষা করছে। একজন বিদেশী অতিথির সামনে তানিয়া আমীরের এই বাংলাদেশবিরোধী অপপ্রচারের প্রতিবাদ জানান উপস্থিত কয়েকজন। তার বক্তব্যে রীতিমতো বিব্রত হন বিদেশী অতিথি ইসলামি বিশ্বের নেতা ড. মাহাথির কন্যা মেরিনা মাহাথির।”
তার ইসলামপ্রেমের শিকড় কোথায় যে প্রোথিত তা সহজেই অনুমেয়।
তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে ঘাটাঘাটি না করাই ভালো। যদিও আমি জানতে খুব উৎসুক ছিলাম এতো সুশীল, বুদ্ধিমতী, চমৎকার নারীর ভাগ্যবান জীবনসঙ্গী কে? গুগলসহ সবাই এর উত্তর দিতে ব্যর্থ হয়েছে। যদিও অনেকরকম কানাঘুষাই শুনি, তবে এতে কান না দেয়ায় উত্তম। আর কিছু ছাগুগোষ্ঠী ফেবুতে দেখলাম তার ট্রান্সপারেন্সি নিয়ে খুব ব্যস্ত; যদিও কাজের নয়,কাপড়ের। তাদের দশা দেখলে দুঃখ হয়, তবে ব্লগার লালসালুর একটা লেখার স্ক্রিনশট দিলাম। আগ্রহীরা জুম করে পড়ে নিতে পারেন। এতে কারো মানহানি হইলে তা লালসালুর দোষ। আমাকে ধরতে পারবেননা বলে দিলাম।
বিষয়: বিবিধ
২৮৩১ বার পঠিত, ৪২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বেত্তমিজ কুত্তাডা এমন কেন করে তার উত্তর অহনো পেলাম না।
বেত্তমিজ কুত্তাডা এমন কেন করে তার উত্তর অহনো পেলাম না।
বলেন কি ভুট্টো সাহেব!! এই কুত্তাডা তো তার জাত মারছে!! কুত্তাডা তার জাতের অপমান করছে! ভুট্টো সাহেব পরামর্শ দেন কুত্তাডারে কি শাস্তি দেওন যায়? কুত্তাডা এমন কুকাম করলো বুঝলাম। কিন্তু এতো নিম্ন নেমে গেলো কোন দোষে?
দুর্নীতিবাজদের চেহারা সব দেশে প্রায় এক-ই রকম হয় । আশির দশকের শেষ দিকে যখন প্রথম যুক্তরাষ্ট্রে পরিবেশ সংরক্ষণ বিষয়ক সরকারী ফান্ড বিতরণ করা হতো, তখন ওখানকার আইনজীবীরা পরিবেশ সংরক্ষণ বিষয়ক আইনী ধারা-উপধারা লিখে ফান্ডের প্রায় ৭০% অর্থ গিলেছে ! বাকী অর্থ খরচ হয়েছে প্রকৃত প্রজেক্টে ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন