প্রতারক মুসা বাংলাদেশের ইজ্জত মাইরালাইছে...!!!
লিখেছেন লিখেছেন এমরুল কায়েস ভুট্টো ৩০ মার্চ, ২০১৪, ১২:৫২:৫১ দুপুর
নাম তার মুসা ইব্রাহিম। মুসা এবং ইব্রাহিম এই দু-জন নবীর নাম একত্রে করে রাখা হয়েছে। সে কিনা এভারেস্ট জয় না করেও প্রথম বাংলাদেশি এভারেস্ট জয়ী ঘোষনা করেছে নিজেকে!!!
এখন প্রতারনাই ধরা খেয়ে "নেপাল মাউন্টেইনিয়ারিং অ্যাসোসিয়েশন" থেকে তার নাম বাদ দেওয়া হয়েছে এবং তার নামে প্রতারণা মামলাও হয়েছে।
জাতির সাথে এতবড় প্রতারণা করতে পারল!!!! x_
লিংক
http://bangla.bdnews24.
বিষয়: বিবিধ
১৫২১ বার পঠিত, ২২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সে সময় সামুতে এ নিয়া অনেক পোস্ট ও আলোচনা মানে ক্যাচাল দেখেছি। বিরোধীদের যুক্তিগুলো একটু বেশী জোরালো ছিল মনে হতো।
তবে কথা হলো, যে যা বলে তাই শুনি।
খবরটি কি ভোয়া নাকি?
"এভারেস্টজয়ীদের নিয়ে প্রকাশিত নেপালের পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং নেপাল মাউন্টেইনিয়ারিং অ্যাসোসিয়েশনের প্রকাশনা ‘নেপাল পর্বত’ এ নাম নেই মুসা ইব্রাহিমের।
এভারেস্টজয়ী প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে মুসা ইব্রাহীম দাবি করলেও তার এই দাবির সঙ্গে বাংলাদেশের অনেকেই ভিন্নমত পোষণ করে আসছেন।
এই বিষয়টি নিয়ে আদালতে একটি মামলা চলার মধ্যেই শনিবার বেসরকারি টেলিভিশন একাত্তরের এক প্রতিবেদনে ‘নেপাল পর্বত’ এর তালিকায় মুসার নাম না থাকার বিষয়টি প্রকাশিত হয়।
ওই তালিকায় এভারেস্টজয়ী প্রথম বাংলাদেশি নারী-পুরুষ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে এম এ মুহিত ও নিশাত মজুমদারকে।
২০১০ সালে হিমালয় চূড়ায় ওঠার সপক্ষে মুসা যে ছবি ও প্রমাণাদি দেখিয়েছিলেন, তা নিয়ে সন্দেহ পোষণ করে আসছেন মুহিত; যিনি তার এক বছর পর ওঠেন এভারেস্টে।
নেপাল মাউন্টেইনিয়ারিং অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি জিম্বা জাংবু শেরপা একাত্তরকে বলেন, এভারেস্ট জয় করা নিয়ে মুসা যে ছবিটি দেখিয়েছে, সেটি চূড়ার নয়। কারণ চূড়ার ছবি এমন হয় না। এটি সাত হাজার ফুট নিচে তোলা ছবি।
এভারেস্টজয়ী আরেকজন থেম্বু শেরপাও এ ছবিটির সত্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
একাত্তরের প্রতিবেদনে বলা হয়, এভারেস্ট জয় নিয়ে মুসা যে স্মরণিকাটি প্রকাশ করেন তাতে তার (মুসা) সঙ্গে আর যাদের কথা বলা হয়েছে, তাদের কারো নামই ‘নেপাল পর্বত’ এ নেই।
মুহিত একাত্তর টেলিভিশনকে বলেন, “দৈনিক প্রথম আলোতে এভারেস্ট জয় করা নিয়ে মুসা ধারাবাহিকভাবে যে গল্পটি বলেছেন, তাতে বেস ক্যাম্প ১ থেকে চূড়া পর্যন্ত অনেক কিছুরই বর্ণনা নেই।”
মুসার ওয়েবসাইটে এভারেস্ট জয় করা নিয়ে তোলা ছবিটি ‘বিশ্লেষণ’ করে মুহিত দাবি করেছেন, এটি বেস ক্যাম্প -১ এ তোলা।
“মুসার কাছে বেস ক্যাম্প ১ এর পর বেস ক্যাম্প ২,৩ ও স্টেপ ১,২,৩ সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানের কোনো ছবি নেই। মুসার যে প্রকাশনা তাতেও ছবিটি গ্রাফিক্স করে বসানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন অনেকে।”
দেশের প্রথম নারী এভারেস্টজয়ী নিশাত বলেন, “নেপাল মাউন্টেইনিয়ারিং অ্যাসোসিয়েশন হয়ত মুসার মিথ্যাচারের প্রতিবাদ জানাতেই নাম বাদ দিয়েছে।”
তবে এ বিষয়ে মুসা ইব্রাহিম একাত্তরকে বলেন, এটা তার বিরুদ্ধে ‘ষড়যন্ত্র’।
ঈর্ষান্বিত হয়ে বাংলাদেশের কেউ হয়ত নেপাল মাউন্টেইনিয়ারিং অ্যাসোসিয়েশনকে প্রভাবিত করেছেন বলে দাবি করেন তিনি।
শনিবার রাতে একাত্তরে প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর এ বিষয়ে কথা বলার জন্য মুসা ইব্রাহিমের সঙ্গে বেশ কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
সম্প্রতি চন্দ্রাবতী একাডেমী প্রকাশিত ‘সকাল বেলার পাখি’ সঙ্কলন গ্রন্থে বাংলা মাউন্টেইনিয়ারিং অ্যান্ড ট্র্যাকিং ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ইনাম আল হক এক নিবন্ধে মুহিতকে বাংলাদেশি প্রথম এভারেস্টজয়ী হিসেবে উল্লেখ করেন।
এরপর তা চ্যালেঞ্জ করে আদালতে যান মুসা। এনিয়ে তার মামলাটি ঢাকার আদালতে চলছে।"
মন্তব্য করতে লগইন করুন