দেওয়ানবাগী কে কাফির বলতে দ্বিধা হয়না কিন্তু মনসূরের বেলায় দ্বিধা কেন মুসলমান ?

লিখেছেন লিখেছেন মোঃ সুজন হাওলাদার ০৩ মে, ২০১৫, ০৫:৫৪:৪২ বিকাল

(কপিপেস্ট)

মূল: ইসলামিক পিডিয়া

আমাদের সমাজে পীর প্রথাকে টিকিয়ে রাখতে মনসূর হাল্লাজ নামক একটি লোকের গালগপ্প আর তাঁর কুফরী আক্বিদাহ্’র বেশ প্রশংসা করা হয় জোড়ে সোড়েই ।শ্রোতাদের মুখে খই ফোটে !সুবাহানআল্লাহ্ আলহামদুলিল্লাহ্ বলে সাড়া প্যান্ডেল মুখরিত করে ফেলা হয়অথচ একটি বার ও ভেবে দেখেন না ,আমি যাঁর জন্য এত এত সুবাহান আল্লাহ্ বলে চিত্কার করতেছি তিনি আসলেই আল্লাহ্’র ওলী নাকি সহীহ্ শয়তানের ওলী।যাঁরা এই মনসুরের প্রশংসা করে সারা ময়দান বয়ানে দাপিয়ে বেড়ান তাঁরা কি শিরক কুফরী আক্বিদাহ্ চিনেন না ?

নাকি ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে এই গল্পটা চালু রেখেছেন ?(আল্লাহ্ তাদের হেদায়েত্ দান করুন)

মনসুর হাল্লাজ এর জীবনী তাজকিরাতুল আউলিয়া পড়লে জানা যাবে তাঁর আসল চেহারা বের হয়ে আসবে। এরকম জঘণ্য কথা ও জঘণ্য আক্বীদার লোকের জীবনী আপনি সারজীবনেও পাবেননা। এরা নাকি সূফী সম্রাট ? আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করুন।

বইটি থেকে তার আক্বীদা ও কর্মের চুম্বক অংশ।

– স্রষ্টা ও সৃষ্টির মধ্যে কোন পার্থ্যক্য দেখতে পেতেন না।

– তিনি দিনে রাতে চারশো রাকআত নফল নামায পড়তেন।কিন্তু নিজের জন্য ঐ নফলকে ফরজ করে নেন।

– বিশ বছর ধরে একই পোশাকে উপাসনা ( ইবাদাত নয়) করতেন -আপনার দেয়া দানের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে অক্ষম। তাই আমার অনুরোধ আপনিই ( আল্লাহ) আমার বদলে আপনার নিয়ামত সমূহের শোকর আদায় করুন। ( আল্লাহর কাছে এই বলে দোআ করছেন)

– তিনি নিজেকে ” আনাল হক্ব” বা আমি খোদা দাবী করেছে।

– কারাগারে থাকাকালীন দৈনিক এক হাজার রাকায়াত নফল নামায পড়তেন।

– তার সাথে আল্লাহর দেখা করেন।

-ফেরআউন সম্পর্কে তার বক্তব্য: সেও খাঁটি ছিলো । কেননা আল্লাহ খাস ও আম ( বিশেষ ও সাধারণ ) দু-শ্রেণীর মানুষ সৃষ্টি করছেন। উভয় শ্রেণীই নিজ নিজে পথে চলে। আর উভয় শ্রেণীর পথ-প্রদর্শক হলেন আল্লাহ।

এরকম আরো অনেক কথা। বইটির ২০৭ থেকে ২১৪ পৃষ্ঠার মধ্যে এগুলো রয়েছে।এই হুসাইন বিন মানসুর হাল্লাজই প্রথম হুলুল তথা অবতরনবাদ প্রচার করেন।অর্থান আল্লাহ্‌ নাকি বিভিন্ন কামেল মানুষের উপর অবতরণ করেন এবং চিনি ও পানির মত মিশে যান(নাউজুবিল্লাহ)। যা আমাদের দেশে ফানা ফিল্লাহ নামে পরিচিত।

দেওয়ানবাগি আর তাঁর মাঝে মিল

আগে ভিডিওটি দেখে নিই এখানে

http://goo.gl/Vfajdn

-দুজনেই কাট্টা কুফরী আক্বিদার ,কাফির বল্লেও ভূল হবে না।

-দুজনেই খোদা দাবীদার(নাউজুবিল্লাহ্) অতএব ,ফেরাউন পন্থি এবং নমরুদের চেয়েও জঘণ্য ।

-দুজনেই শিরককারী ।

-দুজনেই মুশরিক ,ইসলামের ভূল ব্যাখাদান কারী ।

এখন দেখা যাক এই ভন্ড কাফির এবং যাঁরা এনাদের গুণগ্রাহী তাঁদের প্রতি আল্লাহ্ সুবহানাহুওয়া তাআলা কি বলেন ।

প্রথমে তাঁদের গুণগ্রাহীদের সম্বন্ধে আল্লাহ্ সুবহানাহুওয়া তাআলা কি বলেন দেখি ,

“মানুষের মধ্যে এমন একদল লোক আছে যারা আল্লাহ ছাড়া অন্যদেরকে শরীক বানিয়েছে এবং তাদেরকে এমনভাবে ভালবাসে যেমন আল্লাহকে ভালোবাসা উচিত, আর যারা ঈমান এনেছে তারা আল্লাহকেই সর্বাধিক ভালবাসে”। (সূরা আল বাকারা: ১৬৫)

এ থেকে বোঝা যায় যে এদের ভক্তদের আল্লাহ্ ভালবাসেননা (কাফিরদের বেলায় ও এই আয়াত পেশ করা যায়)।

এখন দেখা যাক শিরক কুফরীকারীদের ব্যাপারে মহান আল্লাহ্ সুবহানাহুওয়া তাআলা কি বলেন ,

“নিশ্চয়ইশিরকএকটি মস্ত বড় অন্যায়”(সুরা লোকমান: ১৩)

আল্লাহ তা’আলা শিরকের গুনাহ তওবা ছাড়া ক্ষমা করবেন না।

আল্লাহ বলেন-

“নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’আলা তার সাথেশিরককরার অপরাধ ক্ষমা

করবেন না। এ ছাড়া অন্য সকল গুনাহ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করে

দিবেন”(সুরা নিসা: ৪৮)

আল্লাহ তা’আলা মুশরিকদের জন্যে জান্নাত হারাম বলে ঘোষণা করেছেন:

“নিশ্চয় যে আল্লাহ’র সাথেশিরককরবে আল্লাহ তার উপর জান্নাত হারাম করে দেবেন এবং তার ঠিকানা হবে জাহান্নাম। জালিমদের কোন সাহায্যকারী নেই।”

(সূরা মায়িদাহ: ৭২)

শিরকসমস্ত আমলকে বিনষ্ট করে দেয়। আল্লাহ বলেন,

“আর যদি তারাশিরককরে তাহলে তাদের সকল আমল বিনষ্ট হয়ে যাবে।”(সুরা আনআম: ৮৮)

এবার রাসুলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শিরক সম্বন্ধে কি বলেছেন দেখা যাক ।

শিরকই হল সবচেয়ে বড় গুনাহ। নবী করিম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন,

“আমি কি তোমাদেরকে সবচেয়ে বড় গুনাহ সম্পর্কে অবহিত করব না? আর তা হল, আল্লাহর সাথে কাউকে শরিক করা।”

(বুখারি-মুসলিম)

আশাকরি মনসুর হাল্লাজের ব্যাপারটা ক্লিয়ার হয়েছে ।আমাদের কতিপয় আলেম সমাজ দেওয়ানবাগী কাফের কে কাফের বল্লেও মনসূর হাল্লাজের ব্যাপারে শ্রদ্ধা পোষন করে থাকেন অর্থাত্ তাঁরা শিরকেরপ্রতি সম্মান প্রদর্শণ করেন ।আমাদের উচিত্ সকল প্রকার শিরক কুফরী ত্যাগ করে মুসলমান হওয়া ।যারা হোসাইন বিন মনসূর হাল্লাজের আক্বিদায় বিশ্বাসী তাঁরা পড়ে নিন ,লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্ ।আল্লাহ্ আমাদের সকল প্রকার শিরক ,কুফরী বিদাআত এবং সকল পাপকর্ম থেকে রক্ষা করুন ।আমীন

বিষয়: বিবিধ

৩৩৬৮ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

317913
০৩ মে ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:২৬
হতভাগা লিখেছেন : ঐ বেটার মুখোশ উন্মোচন করে তার গায়ের চামড়া ছিলে লবন লাগিয়ে দেন
317926
০৩ মে ২০১৫ রাত ০৮:০৪
আবু জান্নাত লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ ভাইয়া, মানসূর হাল্লাজ হোক ঈমানদার বা মুশরিক, তাতে আমার আপনার কি আসে যায়, সে তো তার কৃতকর্মের কাছে পৌছে গেছে।
দেওয়ারবাগি রাজারবাগি সহ অন্যান্য ভন্ডদের ব্যাপারে মানুষকে সতর্ক করতে পারেন, মানুষ যাতে ঈমানহারা না হয়,

মানসূর হাল্লাজ কে তো আমরা কেউ দেখিনি, তার কথাও আমরা শুনিনি। শুধু শুধু কিছু মানুষের বই পড়ে বা বক্তব্য শুনে তাকে মুশরিক বলাও যাবে না, আল্লাহর ওলি ও বলা যাবে না, তার ব্যাপারটা আল্লাহর উপর ছেড়ে দিন, যেহেতু তিনি গত হয়ে গেছেন শত শত বছর আগে।

আসুন না সব ভাই মিলে ভন্ড ও নাস্তিকদের মোকাবিলা করি।
জাযাকাল্লাহ খাইর

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File