প্রসঙ্গঃবিলবোর্ড/মডেল/ সুন্দরী প্রতিযোগীতার আপুরা বহুজনের চোখের স্বাদ মিটিয়েই তো আপনি খুশি !
লিখেছেন লিখেছেন তানভীর রানা জুয়েল ৩১ মার্চ, ২০১৪, ০৫:২৪:১১ বিকাল
** আশা করি পোস্টটি একটু ধৈর্য সহকারে পড়বেন!
প্রসঙ্গঃবিলবোর্ড/মডেল/
সুন্দরী প্রতিযোগীতার আপুরা বহুজনের চোখের
স্বাদ মিটিয়েই তো আপনি খুশি !
ফিরে আসুন ঐ
আগুনের পথ থেকে!
শাড়ির অ্যাড, জুয়েলারির অ্যাড, সাবানের
অ্যাড, ফার্নিচারের অ্যাড, খাবারের অ্যাড-
সবকিছুর সাথে থাকবে একজন সুন্দরী রমণী।
পণ্যকে আরো আকর্ষণীয়
করে দেখিয়ে জনসাধারণের মগজ কেনার জন্য
এখানে একজন নারীর সৌন্দর্য্য, শরীর আর ভঙ্গিমাকে ব্যবহার করা হচ্ছে।
বিজ্ঞাপনের এই প্রোডাক্টগুলোর তো মূল্য আছে।
কিন্তু
বিজ্ঞাপনের মেয়েটির সে মূল্যটিও নেই।
সে একটা পণ্যকে মানুষের কাছে উপস্থাপন
করতে যেয়ে অদ্ভুত বিচিত্র সব অঙ্গভঙ্গী আর
অভিব্যক্তি দিতে থাকে,
যা কেবল স্বামীর সাথে আপন গৃহেই শোভা পায়।
অথচ সে ধনাঢ্য কতিপয় ব্যক্তিবর্গের ব্যবসায়ের
সুবিধার্থে নিজের সম্ভ্রম-লজ্জা ছেড়ে আপন
সৌন্দর্য্য আর মহামূল্যবান
দেহটিকে পুরো পৃথিবীর
সামনে সস্তাভাবে বিকিয়ে দেয়।
তাকে বুঝানো হয়, “মেয়ে এতেই তোমার
স্মার্টনেস”,
আহা! সে যে বুঝে না- ব্যবসায়ের
লাভের আশায় তাকে সিঁড়ি হিসেবে নিয়োগ
দেয়া হয়েছে।
তার শরীরটার উপর
জুতো দিয়ে পিষে পিষে মানুষ চলে যাচ্ছে, আর
তাকে বলা হচ্ছে এটাই তো সুখ, এতেই তো তৃপ্তি!
অলিতে-গলিতে ফকির, রিকশাওয়ালা, রাস্তার
কামুক লোকেরা লালসার দৃষ্টিতে তার শরীরের
বিভিন্ন অঙ্গের দিকে তাকায়, বাহ!
বিজ্ঞাপনের উদ্দেশ্য সফল।
মানুষগুলোর মাথা-
খাওয়া গেলো। চেইন-রিঅ্যাকশনে র মতো এর প্রভাব সমাজের সবার ওপর পড়ে।
ঘরে ঘরে মেয়েরা সেটাই চায়,
যা তাদেরকে বিজ্ঞাপনে দেখানো হয়,
তাদেরকেও তো মডেলদের মতো হবে তাইনা?
ব্যাস! বিক্রি বেশি, লাভ বেশি, ব্যবসায়
উন্নতি, তারপর আরো বিজ্ঞাপন, আরো ব্যবসা!!
কেউ হয়তো বলবে, “আমি নিজের ইচ্ছায় এসব
করি, মানুষের নজর খারাপ, তো আমি কি করবো?”
হ্যাঁ রে বোন হ্যাঁ, আপনার আর কিছুই করার নেই।
আপনার মস্তিষ্কেও বিষের প্রতিক্রিয়া শুরু
হয়ে গেছে, তাই আপনি ভাবছেন এ সবই যেন
আপনারই ইচ্ছা!
আপনি ধুরন্ধর কিছু ব্যবসায়ীর পরিকল্পনার
অংশে পরিণত হয়েছেন – এটা বোঝার
বোধশক্তিও হারিয়ে গেছে।
তাইতো দুঃখ পাই ...
দশ জনের বিছানায় শুয়ে পতিতাবৃত্তি করা যায়,
আর মেইন রাস্তার বিলবোর্ডে পোজ দিয়ে লক্ষ
লোকের ভোগের পণ্য হওয়া যায়।
আপনি “স্বেচ্ছায়” ভোগ্যপণ্য হতে চান?
বহুজনের
চোখের স্বাদ মিটিয়েই তো আপনি খুশি!
আর মৃত্যুর পর শরীরটা আগুনে পুড়ে এবড়ো-
থেবড়ো মাংসপিণ্ডে রূপান্তরিত হবে...
সেদিন আপনার স্মার্টনেসের ঠাঁই কোথায়
যেয়ে হবে বলতে পারছি না ...!!!
বিষয়: বিবিধ
১৪০১ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কিন্তু এই নারীরা পন্য হয়ে উঠাকেই মনে করছে তার সাফল্য।
মন্তব্য করতে লগইন করুন