একটি শিক্ষণীয় গল্প
লিখেছেন লিখেছেন তানভীর রানা জুয়েল ০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০৮:২৮:১৪ রাত
একটি শিক্ষণীয় গল্প পড়ুন…
অবশ্যই ভালো লাগবে
একবার এক লোক পাহাড়ী অঞ্চলে বেড়াতে গেল।
ঘুরতে ঘুরতে সে একটি কাক দেখলো যারদুটি ডানাই
কাটা ছিলো। কাকটির এই অবস্থা দেখে সে ভীষন দুঃখ
পেয়ে মনে মনে ভাবলো, এটা নিশ্চয়ই কোনো দুষ্ট
ছেলের কাজ। সে ভাবলো, ‘হায় আল্লাহ এই কাকটি এখনউড়বে কিভাবে? আর যদি সে তার খাবারই
সংগ্রহ না করতে পারে তবে সে বাঁচবে কিভাবে?’
এসব যখন সে ভাবছিলো তার কিছুক্ষণ পর
সে দেখলো সেখানে এক ঈগল উড়ে এলো যার
ঠোঁটে ছিলো কিছু খাবার। খাবারগুলো সে কাকের
সামনে ফেললো এবং সেখান থেকে উড়ে চলে গেল। এই দৃশ্য দেখে সে অত্যন্ত অবাক হয়ে গেল।
সে ভাবলো যে, ‘যদি এভাবেই আল্লাহ তাঁর
সৃষ্টিকে বাঁচিয়ে রাখেন তবে আমার এত কষ্ট করে কাজ
করার দরকার কি? আমি আজ থেকে কোনো কাজ
করবো না,তিনিই আমাকে খাওয়াবেন’।
সে কাজ করা বন্ধই করে দিলো। কিন্তু দুই তিনদিন পার হয়ে গেলেও সে কোনোখান থেকে কোনো সাহায্য পেল
না। এর কারন জানতে সে একজন জ্ঞানী লোকের
কাছে গেল।
তিনি তাকে বললেন, ‘তুমি দুটি পাখি দেখেছিলে।
একটা সেই আহত কাক,আরেকটা সেই ঈগল।তুমি কেন
সেইকাকটিই হতে চাইলে? কেনতুমি সেই ঈগলটির মত হতে চাইলে না যে নিজের খাবারতো যোগাড়
করেই,সাথে যারা না খেয়ে আছে তাদের মুখে খাবার
তুলে দেয়?
গল্পের এই লোকটির মতই আমাদের চারপাশে অনেকেই
আছেন যারা অন্যের উপর
নির্ভরশীলহয়ে বেঁচে থাকতে চায়।তারা ভুলে যায় যে নিজেকে সাহায্য করে না,আল্লাহ তাকে সাহায্য
করেন না। দুটো কাজের মধ্যে সহজ কাজটি করার
জন্যে তারা নিজেরা একটা অজুহাত
বানিয়ে ফেলতে ভীষন এক্সপার্ট। যখন
আমরা নিজেরা নিজেদের বেঁচে থাকার জন্য
প্রয়োজনীয় সব কিছু নিশ্চিত করতে পারবো ঠিক সেই মুহুর্তটি থেকেই নিজেদেরঈগলটির মত ভাবতে হবে।
অন্যকে বেঁচে থাকার জন্যে সাহায্য করতে হবে।
বিশ্বাসকরুন আমি পৃথিবী যত সুখীমানুষের
কথা শুনেছি তাদের বেশির ভাগই নিজেদের
সুখেরব্যাপারে একদমই ভাবতেন না,অন্যের দুঃখ
কিভাবে কিছুটা হলেও কমানো যায় সেই কাজে নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টাটা দিতেন।
বিষয়: বিবিধ
১১৫৮ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন