একজন প্রধানমন্ত্রী ও একজন সাবেক রাষ্ট্রপতি
লিখেছেন লিখেছেন নিষিদ্ধ ০৮ মার্চ, ২০১৪, ০৬:০২:৪৬ সন্ধ্যা
একজন প্রধানমন্ত্রী তার ভাষার মাধুর্য কতখানি হওয়া উচিত। একজন সাবেক রাষ্ট্রপ্রতি ও একজন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী তাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য জনসভায় কতটুকু শোভা পায়। উনি হয়তো ভুলে গেছেন তিনি একজন প্রধানমন্ত্রী এবং তার বাবা ও রাষ্ট্রপতি ছিলেন। যদি তিনি একজন রাষ্ট্রপতিকে ও প্রধানমন্ত্রীকে সম্মান দিতে না পারেন তাহলে তিনি কিভাবে সম্মান পাবেন। এই উক্তিটি যদি ওনাকে করা হয় তাহলে তার কপালে কারাগার বা ক্রসফায়ারে পরতে হবে। আমরা অনেকেই মুক্তিযোদ্ধা মতিয়ুর রহমান রেন্টুর লেখা আমার ফাসি চাই বইটি পরেছি তাতে দেখেছি মতিয়ুর রহমান রেন্ট অনেক লেখা লিখেছিলেন। তাতে একটা লেখা ছিল কোন কিছু না বুঝেই বলা। এখন দেখছি তার বইয়ের লেখার সাথে অনেক কর্মকাণ্ড প্রধানমন্ত্রীর সাথে মিলে যাচ্ছে । এতে করে আমরা ধরে নিতে পারি আমার ফাসি চাই বইটি সম্পূর্ন ভাবে বাস্তব লেখা ছিল।
শুক্রবার এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “বিএনপি নেতা তাড়িয়ে দেয়া লোকদের সঙ্গে ধরনা দিয়ে বেড়াচ্ছেন। ছবিতে দেখলাম লাল শাড়ি পরে বদু কাকার সঙ্গে কথা বলছেন। জানি না তিনি রজনীগন্ধা নিয়ে গিয়েছিলেন কি না। একসময় তো এমন তাড়া খেয়েছিলেন যে রেললাইনের তলা দিয়ে পালাতে হয়েছিল। তখন তিনি বলেছিলেন, আমি একগুচ্ছ রজনীগন্ধা নিয়ে চলে গেলাম। আজ দেখি দুজনে বসে কূজনে কী কথা বলে।’’
প্রধানমন্ত্রীর এ ধরণের বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে বিবৃতিতে বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, “আমি বদরুদ্দোজা চৌধুরী একজন সাবেক রাষ্ট্রপতি। একজন সাবেক রাষ্ট্রপতিকে ‘বদু কাকা’ সম্বোধন করে প্রকাশ্য জনসভায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মতো ব্যক্তির পক্ষে ‘কৌতুক-উক্তি’ করা অরুচিকর। এই উক্তি আওয়ামী লীগের নেতা হিসেবে জনগণ আশা করে, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বা বঙ্গবন্ধুর কন্যা হিসেবে উক্তিটি অনভিপ্রেত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আসনটি সার্বভৌম বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত সম্মানীয়। তার আসনটির মর্যাদসুলভ বক্তব্যই শোভনীয়।”
বিষয়: বিবিধ
১৩২২ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এরপরেও কিন্তু তিনি বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশী সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা প্রধানমন্ত্রী । উনি যে প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় ইম্পিচমেন্ট খাওয়া ডাঃ বদরুদ্দোজাকে কাকা বলেছেন এতে তো ডাঃ সাহেবের খুশি হবার কথা ।
উনি ইম্পিচমেন্ট খেয়েছিলেন সম্ভবত প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে পজিটিভ কিছু করার কারণে । উনাকে তো বাদ দেওয়ার পরে নতুন দল গঠন করায় বিএনপি ধাওয়া দিয়েছিল । রেল লাইন ধরে উনার দৌড় বাংলাদেশের ইতিহাসে বিশেষ স্থান অধিকার করে রেখেছে । যার/যাদের জন্য কিছু বলতে গিয়ে তিনি গলাধাক্কা খেয়েছিলেন এখন তারাই তাকে নিয়ে টটকারী মারছে । মারবেই তো , কারণ যাদের কাছে তিনি গলাধাক্কা খেয়েছেন এখন তাদের সাথেই আবার মিশতে গেছেন ।
স্বভাবতঃই প্রধানমন্ত্রীর আচার আচরনে ও কথা বার্তায় উন্মাদ ভাব প্রকাশ পেতে পারে - এটাই মনোবৈকল্যে নিমজ্জিত একজন মানুষের স্বাভাবিকত্ব।
এজন্য আমি মনে করিনা সাবেক প্রেসিডেন্ট - প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে যে বিবৃতি দিয়েছেন, তা যথার্থ হয়েছে।
আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি - সাবেক প্রেসিডেন্ট এর উচিত ছিল জনগনকে এ্যাড্রেস করে প্রেস রিলিজ দেওয়া এবং জনগনকে এই মর্মে আহ্বান জানানো যে, তারা যেন প্রধানমন্ত্রীর এধরনের ইমব্যালেন্সকে স্বাভাবিক ভাবে নেন এবং ওনাকে বিশ্রামের সুযোগ দেন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন