জেএমবি ছিনতাইয়ের চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রদান: দেশে মাত্র ৩০ জন সদস্য সক্রিয়
লিখেছেন লিখেছেন নিষিদ্ধ ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ১১:৩৩:৩২ সকাল
ছিনতাইয়ের মূল পরিকল্পনা শুরু করে ২০১৩ সালের জুলাই থেকে।
জেএমবির আমির কারাবন্দি মাওলানা সাইদুরের 'নরম নীতি'তে সে বিশ্বাসী নয়। জামিনে বের হওয়ার পর থেকেই দেশের বিভিন্ন এলাকায় 'মুজাহিদদের' আবারও একত্র করে ফারুক। ২০ ফেব্রুয়ারি একটি মামলায় হাফেজ মাহমুদ ওরফে রাকিব হাসানকে আদালতে হাজির করা হয়।
সেখানেই একটি সিমসহ নতুন মোবাইল সেট পেঁৗছে দেয় জেএমবির এহসার সদস্য মানিক। এর পর সেটি গোপনাঙ্গে বেঁধে কারাগারে নিয়ে যায় রাকিব। ১৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বনানী বাজারে জঙ্গিরা মিলিত হয়ে অপারেশন ত্রিশালে কার কী দায়িত্ব, তা বণ্টন করে দেয়। এ বৈঠকের মূল পরিকল্পনা তুলে ধরে জেএমবির এহসার সদস্য শফিক।
জাকারিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য টাঙ্গাইল থেকে সোমবার ঢাকায় আনা হয়। গোয়েন্দা পুলিশের একটি উচ্চ পর্যায়ের দল তাকে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদের সঙ্গে যুক্ত দায়িত্বশীল এক পুলিশ কর্মকর্তা সমকালকে জানান, তিন জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়ার মাত্র তিন দিন আগে ২০ ফেব্রুয়ারি জেএমবির একটি দল ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে মহড়া দেয়। অপারেশন ত্রিশালে যারা অংশ নেয়, তাদের মধ্যে রয়েছে ফারুক, শফিক, মিলন, জাকারিয়া, সবুজ, সাজেদুর, মানিক, মাজিদসহ ১২ জন।
ফারুক এক বছর ধরে অর্ধকোটি টাকার বেশি সংগ্রহ করেছে। কিছু টাকা জাকারিয়ার অ্যাকাউন্টেও রাখা হয়। এরই মধ্যে জাকারিয়ার একাধিক হিসাব নম্বরের খোঁজ পেয়েছেন গোয়েন্দারা।
কারাগারে বসেই শীর্ষ তিন জঙ্গি তিনটি মোবাইল ফোনে প্রায় নিয়মিত বাইরে সহযোগীদের সঙ্গে কথা বলত। তাদের মধ্যে মেসেজও আদান-প্রদান হতো। ঘটনার দিন সকাল ৮টা ৪৭ মিনিটে কারাগারে থেকে জেএমবি নেতা রাকিব নিজ মোবাইল থেকে ফারুককে ক্ষুদে বার্তা পাঠায়।
ওই বার্তায় জানানো হয়, তারা কারাগার থেকে ময়মনসিংহের উদ্দেশে রওনা হয়েছে। মূলত জঙ্গি ছিনতাইয়ের মূল পরিকল্পনাকারী ফারুক ও কারাগারে তিন শীর্ষ জঙ্গির মধ্যে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের অনেক তথ্য তদন্তে উঠে এসেছে।
তবে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক আবদুর রাজ্জাক বলেন, কারাগারে বসে জঙ্গিদের মোবাইল ফোন ব্যবহারের সুযোগ নেই। কারাগারে একাধিক জ্যামার রয়েছে। আদালতে হাজিরা শেষে আসামিকে কারাগারে প্রবেশের সময় অত্যাধুনিক যন্ত্রে শরীর পরীক্ষা করা হয়।
জাকারিয়া গোয়েন্দাদের জানায়, ঘটনার দিন মিনিট দশেকের মধ্যে তিন জঙ্গিকে ছিনিয়ে নিয়ে মাইক্রোবাসে তোলা হয়। মাইক্রোবাসের মধ্যে ছিনিয়ে নেওয়া তিন জঙ্গির ডাণ্ডাবেড়ি কাটা হয়। ডাণ্ডাবেড়ি কাটার সময় রাকিব তার হাতে বেশ আঘাতও পায়। জাকারিয়াকে আটকের পর তার বাসায় অভিযান চালিয়ে সারাদেশের বিভিন্ন এলাকায় থাকা জঙ্গিদের একটি তালিকা পাওয়া গেছে।
জাকারিয়ার তথ্যমতে, কারাগারের বাইরে বর্তমানে সারাদেশে সর্বোচ্চ ৩০ জেএমবি সদস্য সক্রিয় রয়েছে। তিন জঙ্গিকে ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা তারা জেএমবির বর্তমান ঘোষিত আমির মাওলানা সাইদুরকে উপেক্ষা করেই নিয়েছে। ফারুক চেয়েছিল, সাইদুরের বলয় থেকে জেএমবিকে বের করে নতুনভাবে চাঙ্গা করতে।
এ লক্ষ্যে 'সুধীদের' কাছ থেকে অর্থ নিয়ে বেশ বড় ফান্ড তৈরি করা হয়। 'সুধী' বলতে জেএমবি সদস্যরা তাদের মতাদর্শে বিশ্বাসী হয়ে যারা অর্থায়ন করত, তাদের বোঝায়। 'অপারেশন ত্রিশাল' সফল হওয়ার পর রাকিবের কাছে নগদ ২০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। একইভাবে মাইক্রোবাসে থাকা সব জঙ্গির কাছেই ১৫-২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছিল।
সূত্র: Click this link
বিষয়: বিবিধ
১২৩৬ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
''এর পর সেটি গোপনাঙ্গে বেঁধে কারাগারে নিয়ে যায় রাকিব। ''
০ বডি সার্চ যেখানে যেখানে করা হয় সেখানে পুরুষদের বডি সার্চ করতে গেলে গোপনাঙ্গে সার্চ করা হয় Invariably . কারাগারে তো এটা আরও বেশী হবার কথা ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন