Gunday (গুন্ডে) !
লিখেছেন লিখেছেন ইলেক্ট্রিক্যাল মন 'ইমন' ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ১২:১০:৩১ দুপুর
Gunday (গুন্ডে) নামক ভারতীয় মুভিতে যা যশরাজ ফিল্মসের ব্যানারে গত ১৪ ফেব্রুয়ারী মুক্তি পায় , এতে বলা হয়েছে " ১৯৭১ সালে ভারত পাকিস্তানের মধ্যকার যুদ্ধে পাকিস্তান পরাজিত হয় এবং এতে জন্ম নেয় বাংলাদেশ ! "
এটা নিয়েই মুভির কাহিনী ।
মানে তারা বুঝাতে চেয়েছে তাদের কাছে বাংলাদেশ তাদেরই একটি অঙ্গরাজ্য !
তাদের সেন্সর বোর্ড এই ইতিহাস বিকৃতি দেখেও তা কেটে রাখেনি । কারন ভারত সরকার ও মনে করে বাংলাদেশ নামক এই দেশটি তাদের অঙ্গরাজ্য , আলাদা কিছু নয় ।
অবশ্য তা তাদের আচরনের মধ্য দিয়ে অনেকদিন ধরেই তা বুজিয়ে দিচ্ছে ।
আর দুঃখের বিষয় , ফেসবুকে - ব্লগে ,টকশোতে এটানিয়ে প্রচুর সমালোচনা সত্বেও সরকার এখনো কোন মন্তব্য করেনি ! এর কোন প্রতিবাদ জানায়নি ! তারাও কী মনে করেন বাংলাদেশ ভারতের একটি অঙ্গরাজ্য ??
হয়তবা তাই , নইলে কিছুদিন আগে পাকিস্তান একটি রায় নিয়ে মন্তব্য করেছিল যা কিনা এই মুক্তিযুদ্ধের সাথে সম্পর্কিত তা নিয়ে সরকার আধাজল খেয়ে নেমেছিল মাঠে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কথা বলতে ! তারা নাকি আমাদের স্বাধীনতা , মুক্তিযুদ্ধ কে অপমান করেছিল !!
আর আজ যখন ভারত প্রকাশ্যে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করে তা সারা দেশে প্রচার করছে , বাংলাদেশকে তাদের অঙ্গরাজ্য হিসেবে ব্যাখ্যা করছে তখন কী তা স্বাধীনতার জন্য , মুক্তিযুদ্ধের জন্য , ৩০ লক্ষ শহীদদের জন্য , ১৭ কোটি মানুষের জন্য অপমান নয় ???
নাকি আওয়ামীলীগের বন্ধুরাষ্ট্র বলে তা তাদের সেই অধিকার আছে ??
-- http://facebook.com/electrical.mon
বিষয়: বিবিধ
১০১৮ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এটাই তো সেই ঐতিহাসিক ছবি , তাই না ?
তো এখানে বসা দুজনের কোন জন বাংলাদেশের ?
ভারতের সিনেমাতে যে বাংলাদেশের নাম নেওয়া হয়েছে এতে তো বাংলাদেশের গর্ব হওয়া উচিত ।
এটা নিয়ে এত হাউ কাউ লাগানোর কি আছে ? না কি নির্মম সত্যটা হজম করতে কষ্ট হয় ?
এখানে বাংলাদেশের কেউ না থাকার পেছনের কারনটি স্বাধীনতার পর জেনারেল এম এ জি ওসমানী তার এক ভাষনে ব্যাখ্যা করেছিলেন ।
১২ ডিসেম্বর ওসমানী কলকাতা থেকে আগরতলা হয়ে মুক্তাঞ্চল সিলেটে যান।
১৮ ডিসেম্বর সদর দপ্তরে ফিরে তাকে নিয়ে এসব
গুজব শুনে ভীষণ ক্ষুব্ধ হন ওসমানী। তার বক্তব্য নীচে:
"দেখুন আমরা স্বাধীনতা অর্জন করতে যাচ্ছি। কিন্তু দুঃখ হলো স্বাধীন জাতি হিসেবে আমাদের
মধ্যে আত্মমর্যাদাবোধ সম্পর্কে কোনো চেতনা এখনও জন্ম হয়নি। আমাকে নিয়ে রিউমার ছড়ানোর সুযোগটা কোথায়?
কোনো সুযোগ নেই। তার অনেক কারণ রয়েছে।
নাম্বার ওয়ান-
পাকিস্তানী সেনাবাহিনী কবে আত্মসমর্পণ
করবে আমি জানতাম না। আমি কলকাতা ছেড়ে চলে যাওয়ার পর তাদের আত্মসমর্পণের প্রস্তাব এসেছে।
নাম্বার টু- ঢাকায় আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে আমার
যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। কারণ এই সশস্ত্র যুদ্ধ ভারত- বাংলাদেশের যৌথ কমান্ডের অধীনে হলেও যুদ্ধের অপারেটিং পার্টের পুরো কমান্ডে ছিলেন ভারতীয় সেনাপ্রধান লেফট্যানেন্ট জেনারেল স্যাম মানেকশ। সত্যি কথা হচ্ছে আমি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত কোনো নিয়মিত সেনাবাহিনীর সেনাপ্রধানও নই। আন্তর্জাতিক
রীতিনীতি অনুযায়ী পাকিস্তান সেনাবাহিনী আমার কাছে আত্মসমর্পণ করতে পারে না। কারণ বাংলাদেশ জেনেভা কনভেনশনে স্বাক্ষরকারী কোনো দেশ নয়। আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে জেনারেল মানেকশকে রিপ্রেজেন্ট করবেন লে.জে অরোরা।
জেনারেল মানেকশ গেলে তার সঙ্গে যাওয়ার প্রশ্ন
উঠতো। সার্বভৌম সমতার ভিত্তিতে আমার অবস্থান জেনারেল মানেকশর সমান। সেখানে তার অধীনস্থ আঞ্চলিক বাহিনীর প্রধান জেনারেল অরোরার সফরসঙ্গী আমি হতে পারি না। এটা দেমাগের কথা নয়। এটা প্রটোকলের ব্যাপার।
আমি দুঃখিত, আমাকে অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। আমাদের মধ্যে আত্মমর্যাদাবোধের বড় অভাব।
ঢাকায় ভারতীয় বাহিনী আমার কমান্ডে নয়।
জেনারেল মানেকশর পক্ষে জেনারেল অরোরার
কমান্ডের অধীন।
পাকিস্তানী সেনাবাহিনী আত্মসমর্পণ করবে যৌথ
কমান্ডের ভারতীয় বাহিনীর কাছে।
আমি সেখানে (ঢাকায়) যাবো কি জেনারেল
অরোরার পাশে দাড়িয়ে তামাশা দেখার জন্য? হাও ক্যান আই!
আত্মসমর্পণের দলিলে স্বাক্ষর করবেন জেনারেল
মানেকশর পক্ষে জেনারেল জগজিৎ
সিং অরোরা আর পাকিস্তানী বাহিনীর
পক্ষে জেনারেল নিয়াজী। এখানে আমার
ভূমিকা কি? খামোখা আমাকে নিয়ে টানা হ্যাচড়া করা হচ্ছে। "
তথ্যসূত্র : একাত্তরের রণাঙ্গন অকথিত কিছু কথা
লেখক: নজরুল ইসলাম, অনুপম প্রকাশনী ১৯৯৯
মন্তব্য করতে লগইন করুন