আসুন মানুষ নয় ব্লগার ওয়াশিকুরকে জানি
লিখেছেন লিখেছেন সজল আহমেদ ০২ এপ্রিল, ২০১৫, ০৮:১২:১৯ রাত
ওয়াশিকুর বাবুর মৃত্যুতে গভীর শোকাহত(প্রকৃত নয় সুযোগের পাগল) নাস্তিক কূল ব্যাপক হারে ইসলাম,মুসলিমদের বিপক্ষে বিদ্বেষাগার ছড়াচ্ছে ফেসবুক আর ব্লগে।একে তো নাচুনে বুড়ি আরো পেল ঢোলে বারি বোঝেনই তো কি হয় অবস্থা !
কেউ কেউ আবার মুসলিমদের কে কুত্তার বাচ্চা(!)খেতাবে ভূষিত করেছেন যদিও তাঁর পিতা কিংবা পিতামহ কুত্তার বাচ্চা কিনা সেটা ক্লিয়ার করেননি(অধিকাংশ নাস্তিক নিজেদের মুসলিম বংশদ্ভুত দাবী করে কিনা)
ওয়াশিকুর বাবুর মৃত্যুর পর আমি মুসলিম বাংলা ব্লগ ও ইস্টিশন ব্লগে ওয়াশিকুর এর হত্যা ঠিক হয়েছে কিনা সে বিষয়ে একটি লেখা পোস্ট করেছিলাম ।লেখাটিতে আমি ওয়াশিকুরের হত্যাকারীদের সন্ত্রাসী বলেছি,অথচ বাকসন্ত্রাসী নাস্তিকদের ব্যাপারে কিছুই বলিনি।লেখাটি যে কেউ পড়লে আমাকে নাস্তিকদের পক্ষই ধরে নেবে।
আমার উচিত্ ছিল লেখাটিতে বাক সন্ত্রাসী ওয়াশিকুরের সাইবার জনিত অপরাধ গুলো ও তুলে ধরা কিন্তু তা করিনি যেহেতু তাঁর পরিবার ও নাস্তিকরা তাঁকে হারিয়ে গভীর শোকাহত হয়েছিল।
কিন্তু এখন যেভাবে এই হত্যাকে ইস্যু করে পাতি নাস্তিকরা ইসলাম ,মুসলিমদের প্রতি বিদ্বেষাগার ছড়াচ্ছে তাতে চুপ থাকা যাবেনা।
ওয়াশিকুর শুধু বাক সন্ত্রাসীই ছিলনা ছিল নির্দিষ্ট একটা সম্প্রদায়ের বিশ্বাসের উপর আঘাতকারী সাইবার সন্ত্রাসী।তাঁর লেখাগুলো সাধারণ মুসলিমরা পড়লে নিশ্চিত সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধতে পারত কেননা সাধারণ মুসলিমদের ধারনা শুধুমাত্র হিন্দুত্ববাদীরাই ইসলাম ও মুসলিমদের প্রতি অনলাইনে বিদ্বেষাগার ছড়ায়।নাস্তিকদের দাঁত ভাঙ্গা জবাব নামক স্যাটেয়ারে মহান আল্লাহ্ কে,ইসলামের নবীকে,ধর্মীয় বিশ্বাস কে বিভিন্ন ভাবে আঘাত করা , হেয় প্রতিপন্ন করাই ওয়াশিকুরের দৈনন্দিন কাজ ছিল।
তাঁর লেখাগুলো ভদ্র নাস্তিকদের জন্য ও কাল হয়ে দাঁড়াতে পারত।আসুন তাঁর লেখার কিছু নমুন দেখি:
(ছবিগুলো সদালাপের সৌজন্যে দেয়া হল)
যিনি মুসলিমদের বিপক্ষে জেহাদ করেছেন তিনি জেহাদে শহীদ হয়েছেন এটা তো ব্যাপক গর্বের ব্যাপার স্যাপার!
ওয়াশিকুর বাবুর(নাস্তিকদের ভাষ্য অনুযায়ী মানুষ নয় মৃত ব্লগার) একটা লেখায় দেখলাম তিনি ইসলামের ধ্বংস চাচ্ছে ।আরেকটি ছবিও নজরে আসল (ছবিটি মূলত শার্লী হেব্দোর ওয়েব পেজ থেকে তিনি চুরি করে কপিরাইট লঙ্ঘন করে নিজের নামে চালিয়ে দিয়েছ ফটো ক্রেডিট দেয়নি)কার্টুন ছবিটিতে ইসলামের নবী মোহাম্মাদ(সাঃ) এর কাল্পনিক চিত্র আঁকা ।যেখানে দেখা যাচ্ছে কার্টুনের ব্যাক্তিটি হাতে হ্যান্ড গ্রেনেড নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে আর উপরে ইংরেজীতে বড় করে লেখা
DIT(It) MUHAMMAD.এই হল তাঁর মুক্তমন আর এই হল বিশেষ কপিবাজ ব্লগার যার স্যাটেয়ার গুলোর অধিকাংশই ছিল বিভিন্ন ইসলাম বিদ্বেষী ওয়েব পেজ থেকে কপিপেস্ট করা ।(তথ্যসূত্র দিলে তাঁকে কপিবাজ বলতাম না)।যাইহোক ,তিনি সারাটা জীবন ইসলামকে পঁচানোর চেষ্টা করেছেন তাঁকে কিনা শেষমেষ ঐ ইসলামিক নিয়মেই দাফন কাফন করা হোল?এখন চল্লিশা হবে,মৃতের কবর আযাব মওকুফের জন্য তাঁদের সেই চির প্রতিদ্বন্দী আল্লাহ্ পাকের কাছে কান্নাকাটি করতে হবে।
চল্লিশায় আবার তাঁর সহ নাস্তিকরা দাওয়াত খেতে যাবে,মোনাজাত ধরে আল্লাহ্ পাকের কাছে কান্নাকাটি ও হয়ত বা করবে আহা কি কষ্টের তাইনা?
কি লজ্জার কথা নাস্তিক্যবাদী গেয়ো ভূত গুলোর জন্য !
ওয়াশিকুরের শ্রদ্ধেও পিতার উচিত্ ছিল দেহটা পীর সাহেব শার্লীজিত্(অভিজিত্ রায় কে দেয়া রায়হান ভাইয়ের নাম শার্লীজিত্) বাবার(যেহেতু জন্ম পরিচয় সনাতন ,সনাতন গুরুদের বাবা ডাকা হয়)মত বিশ্ববিদ্যালয়ে দান করে দেয়া আর না হয় নাস্তিকদের একটা মিউজিয়াম করা উচিত্ যেখানে তাঁদের মতালম্বী জেহাদিদের(যেহেতু তিনি ইসলাম ও মুসলিমদের বিপক্ষে জেহাদ করেছেন) দেহ রেখে দেয়া হবে যুগের পর যুগ ।নাস্তিকদের বাচ্চারা বড় হলে হাত দিয়ে দেখিয়ে দিবেন ,বাবা এটা কে জানো তো ?
ঐ যে ২০১৫সালের জেহাদে যিনি শহীদ হয়েছেন ।বাচ্চারা মমির সামনে লুটিয়ে পরে সম্মান দেখাবে জয়তু বাবা ওয়াশিক।
বিষয়: বিবিধ
১৯৯৯ বার পঠিত, ২৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনার জন্য অনিঃশেষ দোয়া , শুভেচ্ছা এবং শুভকামনা রইলো।
আপনি কিন্তু সবার চেয়ে আলাদা লেখা উপহার দিয়ে থাকেন আপনার অনুপুস্থিতি আমাদের আহত করে......!!!
আজকের লেখাও ভালো লেগেছে, ধন্যবাদ।
সহমত।ইসলামের বিপক্ষে বিদ্বেষ ছড়াইলে যেহেতু ইউরোপ আমেরিকায় পলিটিকাল এসাইলাম পাওয়া যায় তাই বিনা টেকায় বিদেশ ভ্রমনের সুযোগ এই বিদ্বেষাগার ছড়াইয়া লয় ।ওরা বাক স্বাধীনতার আড়ালে বাক সন্ত্রাসী ।
ভাই বলির পাঠা হইলেও বা কি না হইলেও বা কি ?
বাপ দাদার পালন করা ধর্ম বেইচা যদি বিনা টেকায় যদি আম্রিকা যাওয়া যায় ,বিদেশী Sex House এ যদি একটা নিশি পার করা যায় তাইলে বলীর পাঠা হইয়াও তো বেপুক সুখ !
অনলাইন কবি তাই বলিয়াছেন
আমরা বলিব সাম্য শান্তি এক আল্লাহ জিন্দাবাদ
মন্তব্য করতে লগইন করুন