আর কত রক্ত ঝড়লে শান্ত হবে ইসরাইল?
লিখেছেন লিখেছেন সজল আহমেদ ১৪ জুলাই, ২০১৪, ১০:৪৩:৫৫ সকাল
কাণ্ডারি বল পুড়িছে মানুষ সন্তান মরে মোর মা'র
খবরের পাতা উল্টোলেই টপ শিরোনাম যেটা উঠে আসে সেটা হল ''ফিলিস্তিন/প্যালেস্টাইন"।
বহুদিন যাবত্ ইহুদিবাদী ইসরাইলের সাথে এই জিহাদিরা আপোষ হচ্ছেনা।
তাই মিসাইল,রকেট ,অ্যাটম বোমা,বারুদের গন্ধ এদের নিত্য দিনের সঙ্গী।আমরা যখন চরম বিনোদনের সহিত ফুটবল উন্মোদনায় মাতি আর তখন প্যালেস্টাইনে আমার স্বজাতী আশঙ্কায় থাকে এই বুঝি ছাদের উপর রকেট পরল।
চরম উগ্রপন্থি ইহুদিবাদী রাষ্ট্রের প্রধান 'নেতানিয়াহু' প্রতিনিয়ত ক্ষেপনাস্ত্র ছুড়ছে গাজা উপত্যকায়।
এছাড়া ইসরাইলি ইহুদি সৈন্যরা নির্বিচারে গুলি করছে ফিলিস্তিনের জনগনের উপর।খুন,ধর্ষন,রাহাজানি ,লুটপাট তো আছেই।
সাথে আছে জঘণ্যতম কাজ ,শিশু গুম করা,শিশু হত্যা,শিশুদের প্রহার করা।বিশ্বের প্রায় ২তৃতিয়াংশ লোক এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।নেদারল্যান্ড ,লন্ডন,যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন রাষ্ট্রে ইসরাইলের উপর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
কাল দেখলাম মৃতের সংখ্যা প্রায় ১০৬জন ছাড়িয়েছে আহত প্রায় ৬০০জন।
শিশু,কিশোর গুম হয়েছে প্রায় হাজার খানেকের বেশি!
আহত এবং নিহত বেশির ভাগই শিশু।
বোমা ছুড়ে ফেলা হয় ঘরের উপর বিমান হামলা চালানো হয় তাদের উপর।গতকাল একটা বার্তা পেলাম যেখানে এক ফিলিস্তিনির ব্যাপারে লিখেছেন, অ্যাটাক করা হয়েছে আমার কোয়ার্টারে।আমার কোয়ার্টারে ফেলা হয়েছে বোমা।আমার পরিবারের যারা সদস্য ছিল সবাই নিহত হয়েছেন শুধুমাত্র আমি বেঁচে আছি।
আরেকটা বার্তায় পেলাম,আমার শিশু সন্তানটি ঘরেই ছিল আর আমার ঘরের উপর বোমা ফেলা হয়েছে যা কিনা আমর শিশু সন্তানটিকে খন্ড খন্ড করে দিয়েছে।
আমরা এখন প্রতিদিন ছয়বার নামাজ আদায় করি ,ফজর,জোহর,আসর ,মাগরিব ,এশা আর জানাজা।
এমতাবস্থায় আমার বার বার মনে পরছে জাতিসংঘের কথা যারা কিনা বিশ্ব কন্ট্রোল করে।এরপর আমার মনে পরছে বিশ্বের মুসলিম কান্ট্রিগুলোর কথা ,সৌদী আরব,কুয়েত,কাতার,মালয়েশিয়া,বাংলাদেশ,মিশর,জাকার্তা,ব্রুনাই আরো অনেক যারা কিনা এই ফিলিস্তিনের স্বজাতী।
আমি স্পষ্ট বুঝতে পেরেছি জাতীসংঘ সহ এই মুসলিম রাষ্ট্রগুলো ইহুদীবাদী ইসরাইল কে ভয় পায়।আর না হয় ফিলিস্তিনিদের পাশে গিয়ে দাঁড়াত।
জাতীসংঘের মহাসচীব বানকিমুন নেতানিয়াহু কে বলেছিল যুদ্ধ বন্ধ করতে কিন্তু নেতানিয়াহু শ্রেফ জানিয়ে দিয়েছে যে যুদ্ধ বন্ধ করা এখন সম্ভব না এটা তাহলে রুলের বাইরে পরে যায়।আর তখনই বানকিমুন তখনই চুপ!
শান্তিপ্রতিষ্ঠায় নোবেল বিজয়ী বারাক হোসেন ওবামা ও নেতানিয়াহুকে বলেছিল যুদ্ধ বন্ধ করতে কিন্তু নেতানিয়াহুর ঐ রুলে বারাক ওবামাও সাইলেন্ট।
বাকি থাকে মুসলিম রাষ্ট্রগুলো যারা কিনা ভেজা বিড়াল হয়ে আছে!
একমাত্র মিশর ফিলিস্তিনিদের চিকিত্সার সুবিধার জন্য তার বর্ডার খুলে দিয়েছে,কিন্তু চিকিত্সা করবে কাদের মৃত শিশুদের?
আচ্ছা এই শিশু হত্যা কি মানবাধিকার লঙ্ঘন না?
জাতিসংঘের সেইফ দ্য চিলড্রেন কি তাহলে শিশু হত্যা আর গুমের জন্য তৈরী হয়েছে?
ফিলিস্তিনে যখন আমার ভাইকে বিনা
মৃত পিতার পাশে গড়িয়ে গড়িয়ে যখন শিশুটি কাঁদে তখন কি মুসলমানের মনে হয়না ওটা তাদের ভাইয়ের ছেলে কাঁদছে তার মৃত ভাইটার পাশে শুয়ে?
যখন সেভ দ্য চিলড্রেন Humanity এর কথা বলে তখন আমার শঙ্কা হয় এরা কি আরো শিশু গুম করার ফন্দি এঁটেছে?
যখন জাতীসংঘ Humanity এর কথা বলে তখন আমার শঙ্কা হয় এরা কি ইসরাইলকে অস্ত্র দিয়ে হেল্প করে Humanity জাহির করছে?
যখন নোবেল বিজেতা বারাক ওবামা বলে,Stop This Ware তখন আমার সন্দেহ হয় নতুন কোন ফন্দি।
আমি গভীর ভাবে উপলব্দি করছি হিটলারকে।
স্যার হিটলার আপনি আবার ফিরে আসবেন কি?
এবার আর ৬০লক্ষ নয় আপনাকে বুঝে নিতে হবে কয়েক কোটিকে।
আর ঘৃণায় মুখ ফিরিয়ে নিতে ইচ্ছে করে সকল মুসলিম রাষ্ট্র গুলোর প্রধানদের দিক থেকে।
কাণ্ডারি পুড়ছে মানুষ,সন্তান মরে মোর মা'র
কিয়ামতের দিন যদি ঐ সকল শহীদ শিশু আমাদের দিক আঙ্গুল তুলে বলে,
আল্লাহ্!ওরা ছিল আমার স্বজাতী,ওদের গা থেকে পারুদের গন্ধ আসে।আমার মাথা উড়ে গিয়েছিল ওরা সহানুভূতি দেখায়নি।আমার আব্বার মাথা উড়ে গিয়েছিল ওরা এগিয়ে আসেনি!আমার মা ধর্ষিত হয়েছিল ওরা প্রতিবাদ করেনি!
তখন আমরা শুধু অসহায়ের মত চেয়ে থাকব ঐ ছেলেটির দিকে।
আমাদের তো হায়া নেই তাই বেহায়ার মত চেয়ে থাকা ছাড়া আর কোন উপায়ই থাকবেনা।
ইহুদির মত একটা নিকৃষ্ট অভিশপ্ত ,কুকুরের ন্যায় হিংস্র জাতী যারা কোন কালেই আল্লাহ্র শুকুর গুজার করেনি (সুরা ইয়াসিন আয়াত নং ১৩-২৬ এ পাবেন ইহুদিরা হল অভিশপ্ত) তাদের কাছে আজ মুসলিম রাষ্ট্রগুলো মাথানিচু করে আছে,Humanrights মাথা নিচু করে আছে ,Save The Children মাথা নিচু করে আছে!
আফসুস এই যে পৃথিবীতে এখন Humanity বলতে কিছু নেই সব মিসাইলে পুড়ে গেছে।
আর লজ্জা শরম ও উড়ে গেছে মুসলিম কান্ট্রি থেকে।
স্বজাতীর প্রতি ভালবাসাও হয় পুড়ে গেছে মিসাইলে।
শুধু রয়ে গেছে হায়াহীন খোসা মানুষ যারা না পারে করতে প্রতিবাদ,না পারে স্বজাতীকে রক্ষা করতে।একটা জঙ্গলের পশু ও কিন্তু স্বজাতীর বিপদ আপদে দৌড়ে আসে তাকে রক্ষা করতে যেটা আমরা পারিনা।
কেন পারিনা?
No Answer!
নিজেকে নিজে লজ্জা দিতে চাইনা আমি।
তাইতো ঐ প্রশ্নটা এড়িয়ে গেলাম।
শুধু আমার ফিলিস্তিন ,গাজার নাগরিকদের বলি,ভাই তোমরা আমাদের ক্ষমা কর আজ আমাদের হাতে শৃঙ্খল পরানো আর হৃদয়ে পাথর তাইতো স্বজাতীর মৃত্যু খবর শুনে একটুও বুক কাঁপেনা।জাগেনা কোন ব্যাথার অনুভুতি।
আমরা কি করব
বিষয়: আন্তর্জাতিক
১৫৮০ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এই বনীইসরাইলকে এরখম করা উচিত..
O ye who believe!
take not the Jews and
the Christians
for your friends and
protectors: they are
but friends and protectors
to each other.
And he amongst you that
turns to them
(for friendship) is
of them. Verily Allah
guideth not a
people unjust. (51)
কিন্তু আপনি যদি কোরানের অন্যান্য আয়াতকে আমলে নেন, হাদীসকে আমলে নেন - তখন দেখবেন মুসলিমদের কোথাও বলা হয়নি ইন্ডিভিজ্যুয়াল ইয়াহুদি কিংবা ইন্ডিভিজ্যুয়াল খৃষ্টানদের বন্ধু না করতে, তাদের সাথে সম্পর্ক না করতে। বরং বলা হয়েছে শেষ জামানায় আমরা রূম / বাইজাইন্টাইন (রোম নয়) এর সাথে মৈত্রীর সম্পর্ক তৈরী করবো। তাদের জয়ে আনন্দিত হব।
অথচ উপরের আয়াতটিকে যদি যথার্থ অনুবাদ করা হয় - তখন দেখা যাবে আল্লাহ বলছেন তোমরা ঐ খৃষ্টান ও ইয়াহুদীর সাথে বন্ধুত্ব করোনা - যারা পরস্পর পরস্পরের বন্ধু, তাদেরকাছে এ্যাসিস্টেন্স কিংবা প্রটেকশান চেয়ো না - তাহলে তোমরা তাদের অন্তর্ভুক্ত হবে।
আমরা সৌদী, কাতার, কুয়েত, দুবাই, জর্ডান, মিশর সহ সব মুসলিম দেশকে এখন পাই ঐ খৃষ্টান ইয়াহুদীর বন্ধু ও তাদের প্রটেকটোরেট রাষ্ট্র হিসাবে।
সো ঐ মুসলিমরা যেহেতু তাদর পার্ট আপনি তাদের কাছ হতে কিভাবে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ আশা করতে পারেন?
ধন্যবাদ অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।
হয়তো মুসলিম উম্মাহ এক না হওয়া পর্যন্ত অথবা আল্লাহ্পাক কোন পরিকল্পনা রেখেছেন, "আল্লাহ সবকিছুর জন্যে একটি পরিমাণ স্থির করে রেখেছেন। " (আল-কুরআন, সূরা-৬৫, আয়াত-৩)
মন্তব্য করতে লগইন করুন