আর নয় ভ্রুন হত্যা!একটি ভ্রুনই হতে পারে আপনার বৃদ্ধ বয়সের লাঠি।

লিখেছেন লিখেছেন সজল আহমেদ ০৬ জুন, ২০১৪, ১১:২৮:০৫ রাত

(সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরনঃ-এখানে একটা ছবি এবং একটি ঘটনা উল্লেখ করা আছে যা দুর্বলচিত্তের পাঠকরা না দেখলেই ভাল হয়,বিশেষ করে যাদের হার্টের রোগ আছে।এর পরও যদি পাঠক এই লেখাটা পড়তে উদ্যত হয় তবে তিনি তার নিজ দ্বায়িত্বে পড়তে পারেন।এর জন্য টুডে ব্লগ কতৃপক্ষ এবং লেখক কোন ভাবেই দায়ী থাকবেনা।)

যুগ যত ডিজিটাল হচ্ছে ততই তারা এগুচ্ছে মানুষ ও হচ্ছে ডিজিটাল!

নারী পুরুষের অবাধ মেলামেশাও বাড়ছে তত।ভূয়া প্রেমের জালে ফেঁসে হয়ে অবৈধ যৌনাচারে লিপ্ত হচ্ছে পুরুষ নারী ,ফলে নারীর গর্ভে পয়দা হচ্ছে অবৈধ সন্তান!নারী ঘুরে বেড়ায় পেটে পিতৃপরিচয়হীন অবৈধ বাচ্চা নিয়ে।কিভাবে সমাজে মুখ দেখাবে তারা মগ্ন হয়ে পরে সেই চিন্তায়।এক সময় লিপ্ত হয় ভ্রুন হত্যার মত পৈশাচিক কাজে!

একটা ভ্রুনকে যে কিভাবে হত্যা হয় তা জানালে পাঠকদের হৃদয় দুঃখে ঘৃণায় ভরে উঠবে ভ্রুন হত্যাকারী ডাক্তার এবং ঐ অবৈধ সম্পর্ক স্থাপনকারী নারী পুরুষের উপর!

ভ্রুন যে শুধু অবৈধ সম্পর্ক স্থাপনকারী নারীই হত্যা করে তা নয় বৈবাহিক সম্পর্কে লিপ্ত অর্থাত্‍ দম্পতিরাও হত্যা করে।হয়তবা তিনি যেসময় বাচ্চা নিতে প্রস্তুত নও সেই সময় স্বামী স্ত্রীর অসাবধনতার ফলে সময় ছাড়াই গর্ভ হয়ে যায়।ফলে তারাও লিপ্ত হয় ভ্রুন হত্যায়।

একটি ভ্রুন যেভাবে হত্যা করা হয়ঃ-

আমার পরিচিত এক ডাক্তার বন্ধু যেভাবে বর্ণনা দিয়েছে পাঠকদের সামনে ঠিক সেইভাবেই তুলে ধরলাম।

প্রথমে ঐ অবৈধ সম্পর্ক স্থাপনকারী অথবা নারীকে অচেতন করা হয়,এরপর তার গর্ভ থেকে একটা উপায় অবলম্বন করে(উপায়টা লিখতে অসস্তিবোধ করছি।)বাচ্চাটার মাথা বের করা হয় এরপর বাচ্চাটার ঘাড়ের রগ ধারালো কাঁচি দিয়ে কেঁটে দেয়া হয়!(কি নির্মম!)।ঐ বাচ্চাটাকে পুরোপুরি গর্ভ থেকে বের করতে নিষ্পাপ শিশুটির হাত পা কাঁটা হয় ঠিক যেভাবে আমরা মুরগীর বাচ্চার পা কাঁটি!(কি নির্মম!)

এরপর ঐ নিষ্পাপ শিশুটির খন্ডিত দেহ ফেলে দেয়া হয় কোন ডাস্টবিনে এবং ঐ মৃত শিশুর দেহটি তৈরী হয় শেয়াল কুকুরের খাবার হিসেবে!ছিঃছিঃছিঃ কত নির্মম কাজ মানুষ করতে পারে!

একটা জিনিস জানলে আশ্চর্য না হয়ে পারবেননা,এই রকম ভ্রুন আবার খাদ্য হিসেবেও ব্যবহৃত হয় চীনে!

চীনের কিছু মানুষ শিশুদেরকে খেয়ে ফেলে। কেন জানেন? নিজেদের যৌন শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য।মৃত শিশু ও নির্দিষ্ট সময়ের আগেই গর্ভপাত ঘটানো অপূর্ণাঙ্গ ভ্রুন বা ফিটাসের স্যুপ তৈরি করা হচ্ছে মানুষের খাওয়ার জন্য!

ফিটাস স্যুপ

সেখানকার পুরুষরা তাদের শারীরিক স্বাস্থ্য ও যৌন শক্তি বৃদ্ধির জন্য ভেষজ শিশু স্যুপ (herbal baby soup) খেয়ে থাকে!একজন মহিলা একটি ছুরি দিয়ে ছেলে শিশু ভ্রূণ কেটে কুচি কুচি করছেন ও সেটি দিয়ে স্যুপ তৈরি করছেন। আর আশেপাশে মানুষকে এই বলে আশ্বস্ত করছেন যে, ভয় পাওয়ার কিছু নেই, এটি “প্রাণীর মাংস”।

একটি ঘটনা না বল্লেই নয়, চীনের এক দম্পতির ইতোমধ্যেই একটি কন্যাসন্তান ছিল। মহিলাটি সন্তান-সম্ভবা ছিলেন ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে জানতে পারলেন তার দ্বিতীয় সন্তানটিও মেয়ে হতে যাচ্ছে। ততদিনে তার গর্ভস্থ সন্তানের বয়স ৫ মাস। তিনি ও তার স্বামী গর্ভপাত করানোর সিদ্ধান্ত নেন। স্বাভাবিকভাবে কোন শিশু যদি ভূমিষ্ঠ হওয়ার আগেই মারা যায় তবে তাতে ২০০০ ইউয়ান খরচ হয়, সেখানে গর্ভপাত করাতে খরচ হয় মাত্র কয়েকশো ইউয়ান। তবে যারা মৃত শিশু বিক্রি করতে চান না, তারা প্লাসেন্টা বা অমরা বিক্রি করতে পারেন ইচ্ছা করলে।

পরে তিনি সেটাকে ভ্রুন দিয়ে স্যুপ বানানোর কারখানায় বিক্রি করে দিলেন।

অনেক চীনাদের কাছে মানব ভ্রূণ ভক্ষণ করা নাকি এক ধরণের শিল্প!

কত নির্মম নিষ্ঠুর তারা!

চাইলেই কি মা বাবা হওয়া যায়?

অনেকে আছেন যারা সৃষ্টিকর্তার কাছে একটা বাচ্চার জন্য চীর জীবন মাথা ঠুকলেও একটা বাচ্চা পাননা,আবার অনেকে হত্যা করে ফেলে তার স্বাদ আহ্লাদের সন্তানটিকে!

যার ভ্রুন খুনি তারা একবার ও চিন্তা করেন না,তারাও একসময় তার গর্ভে থাকা ঐ ভ্রুনটির মত ছিল তখন যদি তার পিতা মাতা তাকেও হত্যা করে ফেলত ভ্রুন খুনি ডাক্তার নামক কসাইয়ের মাধ্যমে?

ভ্রুন হত্যা বন্ধ করতে হলে আগে বন্ধ করতে হবে অবৈধ যৌনকর্ম।অতঃপর দম্পতিদের বাচ্চা নেয়ার ব্যাপারে হতে হবে সচেতন।তাই আসুন আমরা ভ্রুন হত্যা বন্ধ করি এবং সকলকে বুঝিয়ে বলি"একটি ভ্রুন আগামীর ভবিষ্যত্‍,তাদের কে পৃথিবীর সুন্দর আলোটুকু দেখতে দিন।তাদেরকে হত্যা করা বন্ধ করে দিন।হতে পারে, আপনার বৃদ্ধ বয়সে সেই হবে আপনার হাতের লাঠি"।

বিষয়: বিবিধ

১২৪৮ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

231568
০৬ জুন ২০১৪ রাত ১১:৩৮
আব্দুল গাফফার লিখেছেন : আহ! কত মর্মান্তিক Sad Sad এই বিষয় নিয়ে লেখার জন্য অনেক ধন্যবাদ Rose Rose
231584
০৭ জুন ২০১৪ রাত ১২:১১
সন্ধাতারা লিখেছেন : সহমত। ভালো লাগল। অনেক অনেক ধন্যবাদ।
231586
০৭ জুন ২০১৪ রাত ১২:১৪
সজল আহমেদ লিখেছেন : যে ছবিটা দিয়েছিলাম ছবিটা শো করছেনা কেন বুঝতে পারছিনা!
231589
০৭ জুন ২০১৪ রাত ১২:২৫
নূর আল আমিন লিখেছেন : সজল ভাই ধন্যবাদ লিংকটা ফেইসবুকে শেয়ারিংয়ের জন্য@ মুল কথা হচ্ছে ধর্মী আচার আচরন ভুলার কারণেই আর শরিয়া আইন না থাকার কারণেই এই পৈচাশিক কাজ চলে
231622
০৭ জুন ২০১৪ সকাল ০৫:৫২
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : কত নির্মম,কত নিষ্টুর আমরা।
232401
০৮ জুন ২০১৪ বিকাল ০৪:৫৩
আমি মুসাফির লিখেছেন : এটা দুঃখজনক।
232473
০৮ জুন ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:২৫
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : এর চেয়ে বড় নির্মমতা আর কিছু আছে। এগুলো অতি প্রগতিশীলতার রূপ।
236705
২০ জুন ২০১৪ সকাল ০৮:৩৯
মু. মিজানুর রহমান মিজান (এম. আর. এম.) লিখেছেন : হায়রে! আমিও হয়তো পৃথিবীর এই রুপ না দেখতে পারতাম।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File