______জাফর ইকবাল সমাচার_________
লিখেছেন লিখেছেন তানজিমুল হাসান মায়াজ ০৭ ডিসেম্বর, ২০১৪, ০৫:০০:২৪ বিকাল
পাবলিক পরীক্ষা শেষ,ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র দিয়ে পরীক্ষা শেষ করল আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম।
অবশেষে আমাদের জাফর ইকবাল স্যার ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করলেন।
সম্প্রতি (০২/১২/২০১৪) ওনার লেখা কলামের শেষ থেকে আমার লেখাটি শুরু করছি। উনি লিখেছেন বাংলাদেশের প্রশ্নপত্র তৈরী করার কাঠামোটা সঠিক নয় কারন অনেক গুলো দলে বিভক্ত হয়ে অনেক গুলো মানুষ এই প্রশ্নপত্র গুলো তৈরী করেন। তাই প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যাচ্ছে।উনি সমাধান দিয়েছেন সোনারগা হোটেলে শিক্ষকদের কয়েক সপ্তাহ থাকার ব্যবস্থা করা হোক যেখানে থেকে শিক্ষকরা ঝামেলামুক্ত হয়ে প্রশ্নপত্র তৈরী করতে সক্ষম হবেন।আমার প্রশ্ন,সোনারগা হোটেল কি প্রশ্নপত্র ফাঁসরোধে উল্যেখযোগ্য ভুমিকা রাখতে সক্ষম হবে?তিনি বলেছেন,ভূরি-ভুরি গোল্ডেন জি পি এ দেয়া হচ্ছে এতে শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশ ঘটছেনা।তার সাথে আমি একমত।কিন্তু বাংলাদেশের একজন শিক্ষাবিদ হিসেবে সর্বস্তরে পরিচিতি লাভ করে এসব বিষয়ে ঘরে বসে কম্পিউটারে টুক-টাক না লিখে সচেতন মানুষদের সাথে নিয়ে মাঠে নেমে আসছেন না কেন? এবারের পি এস সি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার পর থেকে জাফর ইকবাল কোন শব্দ করেননি ।সামাজিক মাধ্যম গুলােতে সাধারণ মানুষ আর সচেতন পরিবারের কিছু সচেতন বাবা -মা এ ব্যপারে অনেক কিছুই লিখেছেন।সামাজিক মাধ্যম গুলোতে তারা আন্দলন করে গেছেন। কারণ,তাদের আন্দলনের মুক্তাঙ্গন শুধু মাত্র সামাজিক যোগাযোগ সাইট গুলোতেই সীমাবদ্ধ।কিন্তু জাফর ইকবাল তো পারতেন নিজের চেতনার একটি বাস্তব রূপ নিয়ে মাঠে নামতে।তিনি সেটা পারেননি,কখনো পারবেন কিনা জানিনা।কারণ যারা নরম তুলোর বিছানায় শোয়ার অভ্যেস করেছেন তারা কখনোই শক্ত বিছানায় শুয়ে থাকতে পরাবেননা।
## জাফর ইকবাল হুমকি ও দিয়েছেন। প্রশ্নপত্র নিয়ে সর্বস্তরে একটা ঝড় উঠেছে,এতে যদি কিছু না হয় তাহলে তিনি মাঠে নামতে বাধ্য হবেন।আমার প্রশ্ন হলো সর্বস্তরে ঝর উঠার আগে যেখানে আপনার মধ্যে ঝড় উঠার কথা ছিল সেখানে আপনি চুঁপ করে ছিলেন কেন?আর পরীক্ষা চলাকালিন সময়ে আপনি কোন প্রকার প্রতিবাদ না করে এখন কেন একটি স্টেটাস এ হুমকি দিচ্ছেন!! আপনি কেন তাৎক্ষনিক সংবাদ সম্মেলন করে প্রশ্ন ফাঁসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক দেননি? তাহলে আপনার উদ্দেশ্য কি ছিলো? আপনি সব কিছু ঘটে শেষ হয়ে যাওয়ার পর আপনার চেতনার হাজিরা দিতে এই স্টেটাস দিয়েছেন? অথচ গণজাগরণ মঞ্চের মত বেহায়াপনায় আপনি নিমিশেই হাজির হতে সক্ষম!
##আপনি সৃজনশিল প্রশ্ন নিয়ে লিখতে গিয়ে মেয়েদের বিয়ের বয়সে চলে এসেছেন।সৃজনশিল প্রশ্নের মান নিয়ে প্রশ্ন না তুলে মেয়েদের কেন ১৬ বছরে বিয়ে দেয়া হবে সেই আলোচনায় চলে এসছেন! আপনার চোঁখে সৃজনশীল পশ্নের যথার্থ মান না থাকলে ও সেটা কোন ব্যপার না কিন্তু মেয়েদের ১৬ বছরে বিয়ে দেয়ার ব্যপারটা খুব মারত্মক ভূল সিদ্ধান্ত মনে হেয়েছে। আপরি সরাসরী সেটা বলে দিয়েছেন।
মেয়েদের ১৬ বছরে বিয়ে হলে আপনার ভন্ডামিতো হ্রাস পেয়ে যাবে।আপনিতো আর পার্কে যেতে পারবেননা,সুইুমংপুলে সাতার কাটতে পারবেননা।এসব নিয়ে আপনার মাথা ব্যাথাটা খুব বেশী হওয়া টাই স্বাভাবিক।আর শিক্ষা নিয়ে যেসব ভাবনা সেটাতো নিতান্তই আপনার চেতনার বহিঃপ্রকাশ।
একটা মেয়ে ১৬ বছরে বিয়ে করলে সে একজন ১৮ থেকে ২০ বছরের যুবককে বর হিসেবে পাবে।এটার খারাপ দিক কোনটা হতে পারে?অথচ একজন ২৮/৩৫/৪০ বছরের একটা ছেলে যখন একটা ১৬/১৮ বছরের মেয়েকে বিয়ে করে সেটার পার্শ্বপতিক্রিয়া কি হতে পারে সেই ব্যপারটা নিয়ে আপনি কেন লিখছেননা?এতে করে আপনি আপনার সুবিধাটা ভোগ করতে পারবেননা,তাই?
অল্প বয়সে বিয়ে আর সন্তান ধারণ যদি মাতৃ সাস্থের অবনতি ঘটায় তাহলে এখনকার টেন এজার ছেলে মেয়েরা যখন লিভ টুগেদার করে,প্রেগনেন্ট হয়ে যায়,তখন টিভিতে দেয়া বিজ্ঞাপন দেখে জন্মনিয়ন্ত্রন পিল ব্যবহার করে।তখন আপনাদের চোঁখে মাতৃত্বহানির শঙ্কা ধরা পরেনা?একের পর এক পিল ব্যবহার করতে করতে এক সময় মা হওয়ার সৌভাগ্য হারিয়ে ফেলে একটি মেয়ে।তখন আপনার চোঁখে এগুলো শুধু আনন্দ মনে হয়!!আর বিয়ে টাকে মনে হয় মাতৃস্বাস্থের অবনতি!!
## জনাব জাফর ইকবাল,আপনি লিখেছেন এ দেশের হাজার হাজার শিক্ষার্থীর কথা ভাবতে গেলে আপনার উত্তেজনা বেড়ে যায়।কারণ এরা শিখবে,এদেশ কে উন্নতির শিখরে নিয়ে যাবে।আমাদের সোনার বাংলাদেশ পৃথিবির মানচিত্রে উন্নত দেশ হিসেবে স্থান পাবে।হ্যা আমরা সবাই এটাই আশা করি। কিন্তু আমাদের ছোট ছোট শিক্ষার্থীরা যখন তাদের জীবনটাই শুরু করে ভেজাল দিয়ে তারা আর কতটুকো আমাদের এনে দিবে? আর যখন ই লক্ষাধিক জীবন প্রশ্নপত্র ফাঁসের মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় আর আপনারা সেই জাতীর মৃত্যু দেখে অট্টহাসি হাসতে থাকেন আর মুখে মুখে পৃথিবী সমান শান্তনা আর সমুদ্র পরিমাণ আশা দিয়ে বাঁচিয়ে রাখার ব্যর্থচেষ্টা করেন তখন এ প্রজন্ম আর কতদূর এগিয়ে যাবে?
পাবলিক পরীক্ষা শেষ,ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র দিয়ে পরীক্ষা শেষ করল আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম।
অবশেষে আমাদের জাফর ইকবাল স্যার ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করলেন।
সম্প্রতি (০২/১২/২০১৪) ওনার লেখা কলামের শেষ থেকে আমার লেখাটি শুরু করছি। উনি লিখেছেন বাংলাদেশের প্রশ্নপত্র তৈরী করার কাঠামোটা সঠিক নয় কারন অনেক গুলো দলে বিভক্ত হয়ে অনেক গুলো মানুষ এই প্রশ্নপত্র গুলো তৈরী করেন। তাই প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যাচ্ছে।উনি সমাধান দিয়েছেন সোনারগা হোটেলে শিক্ষকদের কয়েক সপ্তাহ থাকার ব্যবস্থা করা হোক যেখানে থেকে শিক্ষকরা ঝামেলামুক্ত হয়ে প্রশ্নপত্র তৈরী করতে সক্ষম হবেন।আমার প্রশ্ন,সোনারগা হোটেল কি প্রশ্নপত্র ফাঁসরোধে উল্যেখযোগ্য ভুমিকা রাখতে সক্ষম হবে?তিনি বলেছেন,ভূরি-ভুরি গোল্ডেন জি পি এ দেয়া হচ্ছে এতে শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশ ঘটছেনা।তার সাথে আমি একমত।কিন্তু বাংলাদেশের একজন শিক্ষাবিদ হিসেবে সর্বস্তরে পরিচিতি লাভ করে এসব বিষয়ে ঘরে বসে কম্পিউটারে টুক-টাক না লিখে সচেতন মানুষদের সাথে নিয়ে মাঠে নেমে আসছেন না কেন? এবারের পি এস সি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার পর থেকে জাফর ইকবাল কোন শব্দ করেননি ।সামাজিক মাধ্যম গুলােতে সাধারণ মানুষ আর সচেতন পরিবারের কিছু সচেতন বাবা -মা এ ব্যপারে অনেক কিছুই লিখেছেন।সামাজিক মাধ্যম গুলোতে তারা আন্দলন করে গেছেন। কারণ,তাদের আন্দলনের মুক্তাঙ্গন শুধু মাত্র সামাজিক যোগাযোগ সাইট গুলোতেই সীমাবদ্ধ।কিন্তু জাফর ইকবাল তো পারতেন নিজের চেতনার একটি বাস্তব রূপ নিয়ে মাঠে নামতে।তিনি সেটা পারেননি,কখনো পারবেন কিনা জানিনা।কারণ যারা নরম তুলোর বিছানায় শোয়ার অভ্যেস করেছেন তারা কখনোই শক্ত বিছানায় শুয়ে থাকতে পরাবেননা।
## জাফর ইকবাল হুমকি ও দিয়েছেন। প্রশ্নপত্র নিয়ে সর্বস্তরে একটা ঝড় উঠেছে,এতে যদি কিছু না হয় তাহলে তিনি মাঠে নামতে বাধ্য হবেন।আমার প্রশ্ন হলো সর্বস্তরে ঝর উঠার আগে যেখানে আপনার মধ্যে ঝড় উঠার কথা ছিল সেখানে আপনি চুঁপ করে ছিলেন কেন?আর পরীক্ষা চলাকালিন সময়ে আপনি কোন প্রকার প্রতিবাদ না করে এখন কেন একটি স্টেটাস এ হুমকি দিচ্ছেন!! আপনি কেন তাৎক্ষনিক সংবাদ সম্মেলন করে প্রশ্ন ফাঁসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক দেননি? তাহলে আপনার উদ্দেশ্য কি ছিলো? আপনি সব কিছু ঘটে শেষ হয়ে যাওয়ার পর আপনার চেতনার হাজিরা দিতে এই স্টেটাস দিয়েছেন? অথচ গণজাগরণ মঞ্চের মত বেহায়াপনায় আপনি নিমিশেই হাজির হতে সক্ষম!
##আপনি সৃজনশিল প্রশ্ন নিয়ে লিখতে গিয়ে মেয়েদের বিয়ের বয়সে চলে এসেছেন।সৃজনশিল প্রশ্নের মান নিয়ে প্রশ্ন না তুলে মেয়েদের কেন ১৬ বছরে বিয়ে দেয়া হবে সেই আলোচনায় চলে এসছেন! আপনার চোঁখে সৃজনশীল পশ্নের যথার্থ মান না থাকলে ও সেটা কোন ব্যপার না কিন্তু মেয়েদের ১৬ বছরে বিয়ে দেয়ার ব্যপারটা খুব মারত্মক ভূল সিদ্ধান্ত মনে হেয়েছে। আপরি সরাসরী সেটা বলে দিয়েছেন।
মেয়েদের ১৬ বছরে বিয়ে হলে আপনার ভন্ডামিতো হ্রাস পেয়ে যাবে।আপনিতো আর পার্কে যেতে পারবেননা,সুইুমংপুলে সাতার কাটতে পারবেননা।এসব নিয়ে আপনার মাথা ব্যাথাটা খুব বেশী হওয়া টাই স্বাভাবিক।আর শিক্ষা নিয়ে যেসব ভাবনা সেটাতো নিতান্তই আপনার চেতনার বহিঃপ্রকাশ।
একটা মেয়ে ১৬ বছরে বিয়ে করলে সে একজন ১৮ থেকে ২০ বছরের যুবককে বর হিসেবে পাবে।এটার খারাপ দিক কোনটা হতে পারে?অথচ একজন ২৮/৩৫/৪০ বছরের একটা ছেলে যখন একটা ১৬/১৮ বছরের মেয়েকে বিয়ে করে সেটার পার্শ্বপতিক্রিয়া কি হতে পারে সেই ব্যপারটা নিয়ে আপনি কেন লিখছেননা?এতে করে আপনি আপনার সুবিধাটা ভোগ করতে পারবেননা,তাই?
অল্প বয়সে বিয়ে আর সন্তান ধারণ যদি মাতৃ সাস্থের অবনতি ঘটায় তাহলে এখনকার টেন এজার ছেলে মেয়েরা যখন লিভ টুগেদার করে,প্রেগনেন্ট হয়ে যায়,তখন টিভিতে দেয়া বিজ্ঞাপন দেখে জন্মনিয়ন্ত্রন পিল ব্যবহার করে।তখন আপনাদের চোঁখে মাতৃত্বহানির শঙ্কা ধরা পরেনা?একের পর এক পিল ব্যবহার করতে করতে এক সময় মা হওয়ার সৌভাগ্য হারিয়ে ফেলে একটি মেয়ে।তখন আপনার চোঁখে এগুলো শুধু আনন্দ মনে হয়!!আর বিয়ে টাকে মনে হয় মাতৃস্বাস্থের অবনতি!!
## জনাব জাফর ইকবাল,আপনি লিখেছেন এ দেশের হাজার হাজার শিক্ষার্থীর কথা ভাবতে গেলে আপনার উত্তেজনা বেড়ে যায়।কারণ এরা শিখবে,এদেশ কে উন্নতির শিখরে নিয়ে যাবে।আমাদের সোনার বাংলাদেশ পৃথিবির মানচিত্রে উন্নত দেশ হিসেবে স্থান পাবে।হ্যা আমরা সবাই এটাই আশা করি। কিন্তু আমাদের ছোট ছোট শিক্ষার্থীরা যখন তাদের জীবনটাই শুরু করে ভেজাল দিয়ে তারা আর কতটুকো আমাদের এনে দিবে? আর যখন ই লক্ষাধিক জীবন প্রশ্নপত্র ফাঁসের মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় আর আপনারা সেই জাতীর মৃত্যু দেখে অট্টহাসি হাসতে থাকেন আর মুখে মুখে পৃথিবী সমান শান্তনা আর সমুদ্র পরিমাণ আশা দিয়ে বাঁচিয়ে রাখার ব্যর্থচেষ্টা করেন তখন এ প্রজন্ম আর কতদূর এগিয়ে যাবে?
বিষয়: বিবিধ
১৪৪১ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বাল্য বিয়ে করলে সংসারের গ্লানি টানতে হয়, লিভ টুগেদার করলে কি আর এইসব করতে হয়, সুখে থাকলে ভুতের কিল খাওয়ার দরকার কি? তাইতো জাফর ইকবালরা বালক বালিকাদের জন্য ফ্রী ব্যবস্থা করতে উঠে পরে লেগেছেন।
ধন্যোবাদ অনেক ভাল লিখেছেন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন