পুলিশের অপরাধ এবং অপরাধী প্রিতী
লিখেছেন লিখেছেন তানজিমুল হাসান মায়াজ ২২ আগস্ট, ২০১৪, ১২:৫১:৪১ রাত
ঘটনা ১
বেলা ৩ টা গুলশান বাড্ডা লিংক রোডে অবস্থান করছিলাম।রাস্তায় বহুমাত্রিক যানঝট দেখে কারণ খুজছিলাম।বুঝতে পারলাম ট্রাফিক পুলিশ এর দায়িত্ব অবহেলা এবং সার্জেন্টে এর অনুপস্থিতি এই যানঝটের প্রধান কারন।এত গুরুত্ব পূর্ন একটা রাস্তায় এত অবহেলা কেন প্রশ্ন জাগলো।তাকিয়ে দেখলাম রাস্তার ঠিক মোরেই দাড়িয়ে আছে যত্রতত্র রিক্সা।বেশ কিছুক্ষণ পর মোবাইলে কথা বলা অবস্থায় সার্জেন্ট কে দেখা গেল।ফেনালাপ শেষ হওয়ার পর পরই পাশে থাকা ট্রাফিক পুলিশের এক কন্সটেবল কে নির্দেশ দিল রিক্সা গুলো সরিয়ে দিতে।রিক্সা সরিয়ে দিতেই মূহুর্তের মধ্যেই যানঝট শেষ হয়ে গেলো।বেশ কিছুক্ষণ দাড়িয়ে থেকে লক্ষ করলাম একটা লোক সার্জেন্ট এর আশে পাশে ঘুরছে।ভাবলাম হয়ত কোন গাড়ির কাগজ পত্রের ঝামেলা।সার্জেন্ট ও আমাদের দেখে খুব নিরব।পরবর্তীতে জানা গেল সেই লোকটি একজন ট্রাক ড্রাইভার।কাগজ পত্র ঠিক না থাকায় তাকে সার্জেন্ট আটকেছে এবং কিছু টাকা লেন-দেন করেই ছেড়ে দিত।কিন্তু আমাদের কারণে লেন-দেন করতে পারছিলোনা।অগত্যা বাধ্য হয়েই থানা থেকে রেকার আনা হলো। আমরা ও তাদের পিছু ছাড়িনি,টার্গেট ঘটনা কি ঘটে তা দেখা।খালি কাগজে কিছু একটা লিখে রেকারে থাকা পুলিশ অফিসারকে দিলেন এবং ট্রাক ড্রাইভারকে দেখিয়ে বললেন
“এটাই ড্রাইভার”।তার ট্রাক টি চলে গেল শাহজাহানপুর।পিছু নিল রেকার।একটু পর ট্রাক আগে এবং রেকার পিছনে।ভাবলাম রেকার বুঝি ট্রাক নিবেনা,ট্রাকই রেকার নিয়ে ছুটবে।ভাব দেখে এমনটাই মনে হচ্ছিল।আমরা পিছু ছাড়ছিনা দেখে অবশেষে নতুন বাজার পুলিশ বক্সে নিয়ে গিয়ে ট্রাকটির জরিমানা করা হলো এবং মামলা দেয়া হলো।জানা যায় ট্রাকটি সেনাবাহীনির মালামাল পরিবহন করছিলো
।মালামাল সেনানীবাস এ পৌছে দিয়ে ফেরার পথে সার্জেন্ট আটক করে।
ঘটনা ২
নতুন বাজার মোরে বসে চা খাচ্ছিলাম হঠাৎ রাস্তায় হইচই এর শব্দ শুনে ছুটেট যাই।দেকতে পাই দু’জন মেয়ে অন্য একটি মেয়ে কে আঘাত করছে।জানতে পারলাম যে মেয়েটি কে মারা হচ্ছে সে একজন পকেটমার।
পকেট মার মেয়েটির ছবি তুলতে গেলে সে আমার ক্যামেরা ছিনিয়ে নিতে চেষ্টা করে।ততক্ষনে কয়েকশ লোক জড়ো হয়ে গিয়েছে।তাদের সহযোগিতায় ভূক্তভোগিরা এই পকেট মার কে থানায় নিয়ে যায়।ডিউটি অফিসারের কক্ষে বসেই সেই পকেট মার ভুক্তভুগির সাথে তর্ক এবং হাতা হাতিতে লিপ্ত হয়।পুলিশ তখন নিরব ভুমিকায়।পকেটমার আমাকে দেখিয়ে দিয়ে ভাটারা থানার সেকেন্ড অফিসার কে অভিযোগ করেন আমি তার ছবি তুলেছি।এ নিয়ে সেকেন্ড অফিসার আব্দুল হামিদ এর সাথে আমার বেশ কিছক্ষন তর্কাতর্কি হয়।কিছুক্ষণ পর পুলিশ আমাদের জানায় ঘটনাটি রাস্তার অপর পাশে ঘটায় এটি গুলশান থানায় যাবে।আমরা গুলশান থানায় খোঁজ নেই।কিন্তু তারা জানায় এ ব্যাপারে কোন অভিযোগ ই গুলশান থানায় জানানো হয়নি।আবার চায়ের দোকানে বসি।সেখানে বসে থাকা কয়েকজন সি এন জি ড্রাইভার জানায় পুলিশ এদের থেকে মাসিক দান –সদকা পায়।
ঘটনা স্থল থেকে জানাযায় বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এক মেয়ের ভেনেটি ব্যাগ থেকে মোবাইল চুরি করার সময় হাতে নাতে সেই মেয়ে পকেটমার কে ধরা হয়।থানায় এই পকেট মারকে প্রবেশ করানোর পর সাংবাদিকদের ও থানায় পবেশ করতে বাধা দেয়া হয় ।
রাতে এ ব্যাপারে থনার ওসি সারোয়ার এর সাথে কথা বলা হলে তিনি বলেন এ ব্যাপারে তিনি কিছিই জানেননা।
ঘটনার কিছুক্ষন পর নারী কন্সটেবল সবনম ফোন দিয়ে ঘটনা স্থলে থাকা এক সাংবাদিককে তিনি বাংলাদেশের বড় মাপের কয়েক জন সাংবাদিকের বোন বলে পরিচয় দেন।এতে তার উদ্যেশ্য কি হতে পারে এটাই প্রশ্ন।
বিষয়: বিবিধ
২১৪০ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন