মানুষ না আওমীলীগ
লিখেছেন লিখেছেন তানজিমুল হাসান মায়াজ ০৭ মে, ২০১৪, ০২:৩৪:২৭ রাত
“সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ”,“ঢেকি চাঁদে গেলে ও ধান ভানে”,“নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভালো”,“ছুঁচো যদি আতর মাখে, তাতে কী আর গন্ধ ঢাকে?”
এমন হাজারো প্রবাদ বাক্য’র মত আরো একটি আধুনিক এবং মুখরোচক প্রবাদ বাক্য হলো “মানুষ না আওমীলীগ”
সচারাচর ই শোনা যায় এই কথাটি ।এই বাক্যটি ব্যাবহার হয় যদি কেউ কোন অন্যায় মুলক আচরণ করে তাহলে, সেখানে অনেকে ই এই বাক্য টি ব্যাবহার করেন।
এই বাক্যটির জনপ্রিয়তা এবং এর ব্যাবহার ই বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর পরিচয় বহন করে।বাক্যটির ব্যবহার প্রতিটি সচেতন মানুষ কে চোঁখে আঙ্গুল দিয়ে বুঝিয়ে দেয় যে,আওয়ামীলীগ যখন ক্ষমতায় থাকে তখন অপরাধ এর মাত্রা বেড়ে যায়।হিন্দী সিনেমা আর সিরিয়ালের নানা রকম কাল্পনিক কাহীনি বাস্তবে রূপ নেয়।হয়ত প্রভু ভক্ত আওয়ামীলীগ তাদের দাদাদের খুশি করতেই এই পদক্ষেপ গুলো নিয়ে থাকে।
আওয়ামিলীগ এর কাছে কোন মানুষ ই যে নিরাপদ নয় সেটা বার বার স্পষ্ট হচ্ছে।যত ই দিন যাচ্ছে ততই মানুষের জীবন হুমকির মুখে পড়ছে।
Follow up এ যাচ্ছিঃ
সাংবাদিক লাঞ্চিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত,সে দিন ও কালের কন্ঠের ফটো গ্রাফার এক সাংবাদিক কে তার স্কুলগামি শিশু সহ লাঞ্চিত করেছে এক পুলিশ সার্জেন্ট।মুখে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা “ইনু” বললে ও মনে রাখা উচিৎ চোরের মনে পুলিশ-পুলিশ।তারা জানে একবার ক্ষমতার চেয়ার ভেঙ্গে পড়লে।শরীরের হাড়-গোড় এর অবস্থা ও খারাপ হয়ে যাবে।
২০০১ সালে চার দলীয় ঐক্য জোট বিশাল ভোটে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করে।র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব) নামে সন্ত্রাস নির্মুল বাহিনী গঠন করে।সেই বাহীনিতে কাদের নেয়া হয়েছিলো তা পাঠক জানেন।সকল বাহীনি থেকে বেছে-বেছে লোক নিয়ে এই বাহীনিটি গঠন করা হয়।চারদলীয় জোট বিজয়ী হওয়ার পর নারায়ণগঞ্জ এর আলোচিত ব্যাক্তি শামিম ওসমান বোরকা পড়ে ইন্ডিয়া চলে যায়।তাকে আর পাওয়া যায়নি সেই ৫ বছরে।
র্যাব এর কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক মহল।সন্ত্রাসীদের মনে ভয় এর সঞ্চার হলো।জঙ্গিদের ধরা হলো শায়খ আব্দুর রহমান,বাঙ্লা ভাই, সহ আরো অনেককে।আব্দুর রহমান ছিলো আওয়ামিলীগের এক প্রভাবশালি নেতার আত্মীয়।জঙ্গীরা কাদের ছত্র ছায়ায় থাকে একটু দেখুন পাঠক।শীর্ষ সন্ত্রাসী এরশাদ শিকদার কে ধরা হলো তার ও ফাঁসি কার্যকর করা হলো।
চলে যাই ২০০৯ সালের ১/১১ এর দিকে ,শান্তিপূর্ন সমাবেশে কারা হামলা করলো?শহীদ হলো শিবির এর তরুণ ছাত্ররা।হাফেজ মাসুম ভাইয়ের কথা মনে পড়ে গেলে আজ ও বুকের ভেতর টা কেঁপে উঠে,আর কিছু দিন পর ই তিনি অস্ট্রেলিয়াতে যেতেন পড়াশুনার জন্যে।কিন্তু তৎকালিন বিরোধী দলের নেত্রী [b]শেখ হাসিনা [/b ‘র লগি-বৈঠার তান্ডবে ঝড়ে গেলো তাজা প্রান গুলো।তখন জামায়াতের নায়েবে আমির ছাত্রশিবির কে বলেছিলো “তোমরা কেউ ছাত্রলীগের একটি কর্মী’র গায়ে ও হাত দিবেনা”।ছাত্রলীগ কে বলেছিলো,আপনারা নির্ভয়ে চলাচল করুন।আজ সেই জামায়াত এবং শিবির কোন যুক্তিতে সন্ত্রাসী সংগটন হয়ে গেলো!!!!
বাদ দিয়ে দিলাম সেই কথা,আমার টপিক হচ্ছে আমাদের আশে -পাশে কেউ খারাপ আচরণ করলে আমরা কেন তাদের কে আলোচ্য “মানুষ না আওমিলীগ” বাক্যটি বলি।কারণ আওয়ামিলীগ গণমানুষের দল নয়।তারা হায়েনাদের দল।তারা মানুষের প্রতিনিধিত্ব করার যোগ্যতা রাখেনা।শুধু আওয়ামিলীগ এর পরিচয় তুলে থরতে গিয়ে কিছু উদাহরণ তুলে ধরেছি।
আমি দেখেছি র্যাবকে সন্ত্রাসীরা কতটা ভয় পেতো।দেখেছি র্যাবের কৌশল।অপরাধ কমতে শুরু করছিলো।জণমনে আশার প্রদিপ জ্বলে উঠেছিলো।কিন্তু আজ সেই আশার গুড়েবালি।
সর্বশেষ,কবি বলেছিলেন, “সৎসঙ্গে স্বর্গবাস,অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ”।আওয়ামিলীগ এর সঙ্গ মারাত্বক।
যেন কাউকে আর “আওয়ামিলীগ” উপাধি পেতে না হয়,সে কে খেয়াল রাখুন।
বিষয়: বিবিধ
১৩৩৪ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এরা সাহসী ও শক্তিশালী । যা বলে তা করে দেখায় । এদের সাথে কথাতেও কেউ পেরে ওঠে না । দিনকে রাত এবং রাতকে দিন বানিয়ে ছাড়ে এরা । কথার মাধ্যমে তাদের চেয়ে নিচুস্তরের এই মানব প্রজাতিকে তারা মুগ্ধ করে রাখে সদা ।অন্যকে নিয়ন্ত্রনে রেখে বা দমিয়ে রেখে নিজেদের দাপট এরা ধরে রাখে এবং ছড়িয়ে দেয় ।
এদের সাথে লাগতে গেলে জীবনে নেমে আসে ঘোর অনামিশা । যারাই লাগতে গেছে তারাই নাই হয়ে গেছে/আছে ।
এদের সাথে অন্তত দুনিয়াতে পেরে ওঠা সম্ভব বলে মনে হয় না ।
পশুর অধঃপতন হলে তাকে ডাকা হয় আওয়ামীলীগ ।
আর আওয়ামীলীগের পরে আর কোন জানোয়ারের সন্ধান
পশু বিজ্ঞানীরা এ পর্যন্ত দিতে পারেনি ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন