স্বাধীন বাংলা পুলিশ সামলা।
লিখেছেন লিখেছেন তানজিমুল হাসান মায়াজ ০৮ মার্চ, ২০১৪, ০৪:০৪:২০ রাত
শুনেছি চির সবুজের দেশ বাংলাদেশ।সুজলা-সুফলা শস্য শ্যামলা এই দেশ এর সাধারণ মানুষ খুব সুখে শান্তিতে বাস করে।কিন্তু সময়ের সাথে সাথে যতই দেখছি ততই অবাক হচ্ছি এই কি সেই দেশ!যে দেশের মানুষ যুদ্ধ করে লক্ষ জীবনের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছে!মাঝে -মাঝে খুব অসহায় মনে হয় নিজেকে,যখন শুনি এদেশের পুলিশ জণগনের টাকা আত্মসাৎ করে কৌশলে।লালন পালন করে হাজারো সন্ত্রাসী।মুলত এদের লালন পালন করে কিছূ রাজনৈতিক নেতা।আর তাদের কে শেল্টার দেয় পুলিশ।পুলিশের সহযোগিতায় পার পেয়ে যায় সন্ত্রাসী রা।অপরাধী হয়ে ও বুক ফুলিয়ে চলে সর্বত্র।
গাইবান্দা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানা গ্রামটির নাম নাসিরাবাদ,এলাকা কুক্ষ্যাতি সম্পন্ন দাপুটে লোক সাইদুর মুন্সি, থানায় তার নামে মামলা রয়েছে ১৭ টি তার সাঙ্গ-পাঙ্গদের নামে যথাক্রমে মামলা রয়েছে ১৫,১২,৭ এবং সর্ব নিম্ন ৫ টি।এদের কাজহলো মানুষের জমি দখল করা,মহাসড়কে ডাকাতি করা,মাদক এবং চোরাচালানির ব্যবসা করা।এদের ভয়ে এলাকার অনেক মানুষ নিজ বাড়িতে যেতে পারেনা।হাত-পা কেটে দেয়,নানা ভাবে আহত করে।এদরে বিশেষ একটি গুণ আছে,এরা কখনো কাউকে একেবারে মেরে ফেলে না।তবে এরা যে খুব ভয়ংঙ্কর এটা খুব ভালো করেই বোঝা যায়।থানার ওসি খুব ভালো মানুষ,খুব যত্ন সহকারে এদের নিরাপত্তা প্রদান করে থাকে।অপরদিকে এলাকার নিরীহ মানুষ রাতে ও ঠিক মত ঘুমাতে পারেনা।থানায় মি দখলকে কেন্দ্র করে এক লোক সেই সাঈদুর মুন্সি এবং তার সাঙ্গ-পাঙ্গদের বিরুদ্ধে মামলা করে।মামলা ডায়রি করার জন্যে ওসি টাকা চেয়েছে ১৬ হাজার।ঠিক ১৬ হাজার টাকা তাকে দেয়া হয়েছে ।কিন্তু মামলার কোন প্রকার উন্নতি হয়নি।১ মাস পর আবার ওসি'র সাথে দেখা করা হলো।ওসি এবার বলল ১০ হাজার টাকা দিয়ে যান আমি মামলাটা দেখছি।এখনো কোন খবর নেই।তবে সেই সাঈদুর মুন্সীর বীরুদ্ধে মামলার ওয়ারেন্ট করা আছে ২ বছর ধরে।কিন্তু ,পুলিশ তাদের ধরছেনা।কারণ কি?জানা নেই কিংবা আছে প্রকাশ করছিনা কারণ সবাই জানে, আসল কারণ টা কি।
ঘটনা টা একটা উধাহরণ,তবে এমন হাজার-হাজার ঘটনা ঘটছে এইদেশে যেখানে সাধারণ মানুষ খুব ই অসহায়।আর প্রশাসণ আরামসে পায়ের উপর পা তুলে হাই তুলছে।এদেশে প্রকৃত মুক্তি যোদ্ধারা খাবার এর অভাবে ভিক্ষার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে আর যারা তখন জন্ম ই হয়নি তারা আজ মুক্তি যোদ্ধা খেতাব নিয়ে ইজি চেয়ারে দোল খাচ্ছে।
পুলিশ এর কাছে সাধারণ মানুষ এর কোন মুল্য নেই।পুলিশ গডফাদারদের সাহস দেয় আর আর গডফাদাররা মানুষের জন্য দিন-দিন আতঙ্কের কারণ হয়ে দাড়ায়।
খুব বেশী দুড় যেতে হবেনা,গত ৩ দিন আগে উত্তরার এক সাংবাদিককে থানার ছাদ থেকে ফেলে হত্যা করে পুলিশ সেই থানার ওসি নিজে এই ঘটনার সাথে জড়িত।সাংবাদিকটির অপরাধ ছিলো উত্তরার একটি কলেজের অধ্যক্ষের অপকর্ম তার পত্রিকায় প্রকাশ করেছিলেন। সেই সাংবাদিকককে থানায় ডেকে নিয়ে সন্ত্রাসীদের হাতে তুলে দেন পুলিশের ওসি।এভাবে সমাজের একটি বিবেককে পুলিশ খুন করলো।যেখানে পুলিশ জনগনের বন্ধু হওয়ার কথা সেখানে পুলিশ জনগনের শত্রু হয়ে দাড়িয়েছে।
এত কিছুর মাঝে আমি বাংলাদেশের স্বাধীনতা খুঁজে পাইনা।আমার মত আরো অনেকে ই হয়তো এই ব্যাপারটিতে একমত হবেন।
আমার দেশের সফলতা।
বিষয়: বিবিধ
১০৬২ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ফলে যারা এখানে আসে তাদেরকে তো এ টাকা উদ্ধার করতে হবে ! যাতে স্বল্প সময়ে এই টাকার ১০০ গুন উদ্ধার করা যায় তাতে তারা সবসময়ই সজাগ থাকে । কারণ বলা তো যায় না আরেকজন হয়ত তার চেয়েও বেশী টাকা ঘুষ দিয়ে তার জায়গায় আসতে চাচ্ছে ?!
দেশ ব্যাপী যখন গ্রেফতার অভিযান/পুলিশ সপ্তাহ শুরু হয় তখন তা পুলিশের জন্য ঈদের চাইতেও বড় কোন উতসব । তাদের পুলিশী জীবনের কামাইয়ের ২০% এখান থেকেই কামিয়ে নেয় ।
এসব কামাই একেবারে উপর লেভেল পর্যন্ত যায় । ফলে এ সিলসিলা কিয়ামত পর্যন্ত না থাকার কোন কারণ নেই ।
এসব তারা নিজেরা করে না , করায় সন্ত্রাসীদেরকে দিয়ে '' ধরি মাছ , না ছুঁই পানি '' টাইপের ।
সাধারণ মানুষ সন্ত্রাসীদের চেয়ে পুলিশদের বেশী ভয় করে । কারণ সন্ত্রাসীদের কাজের প্রতিবাদ করা যায় । কিন্তু পুলিশ যদি সে রকম কোন কাজ করে তাহলে তার প্রতিবাদ করতে গেলে '' রাষ্ট্রীয় কাজে বাঁধা দান'' এ ফাঁসিয়ে দেওয়া হয় ।
সন্ত্রাসীরা সাধারণত প্রকাশ্যে অস্ত্র দেখায় না যেটা পুলিশ হর হামেশা দেখায় । এই অস্ত্র যতটা না জনগনের নিরাপত্তার জন্য রাখা তার চেয়ে বেশী জনগনকে মারার জন্য রাখা ।
আমাদের দেশের মানুষের জন্য এটা খুবই দূর্ভাগ্যের বিষয় যে, আমাদের ট্যাক্সের টাকায় পোষা হচ্ছে এমন একটি বাহিনীকে যাদেরকে ব্যবহারই করা হয় আমাদেরকে মারার জন্য ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন