জামায়াত এর জনপ্রিয়তা এবং জনগণের ভোট
লিখেছেন লিখেছেন তানজিমুল হাসান মায়াজ ০৫ মার্চ, ২০১৪, ০৪:০৯:০৪ রাত
অনেকদিন পর আবার লিখতে বসলাম।কিছুটা সময়ের অভাব ছিলো তাই অনেক দিন আপনাদের সাথে যোগাযোগ হওয়ার আবার একটি সুযোগ আসলো।আশা করি সবাই আল্লাহ'র অশেষ রহমতে ভালো আছেন।পত্রিকার পাতা আর টিভি চ্যানেল এর সংবাদ এর দিকে তাকিয়ে এখন সাধারণ মানুষ উপলব্ধি করতে শিখেছে আসলে কোন দল বা কোন মানুষ টি জনগণের আসল বন্ধু।মানুষের সেই সঠিক চিন্তা ধারা ই প্রকাশ পেলো দালাল মিডিয়া এবং সুস্থ ধারার মিডিয়ার মাধ্যমে।তবে নিউটনের তৃতীয় সূত্র মতে আমি বলতে পারছি সমান ক্রিয়া'র পাশা-পাশি বিপরীত ক্রিয়া ও লক্ষ করছি।যেমন উপজেলা নির্বাচনে জামায়াতের জনপ্রিয়তা এবং সরকার এর মাথা ব্যাথা প্রকাশ পেয়েছে সর্ব মহলে।একটি ঘটনা আমার মগজে কিছুটা আচড় দিয়েছে।পাঠক এবং দর্শক সবাই জানেন কিছু দিন আগে বাংলাদেশর জঙ্গি সংগঠন হিসেবে পরিচিত [b]জে.এম,বি[b]'র তিন ফাসির আসামি কে ছিনতাই করে নিয়ে গিয়েছে অন্য জঙ্গিরা।আর সেই খবর দেশের সব মিডিয়াতে ফলাও করে ছাপা হয়েছে। তবে এখনো পুলিশকে জবাব দিতে বলা হয়নি আদালত থেকে।কি করে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে ও এরা এত বড় অপারেশন এর সাহস করতে পারে!!!তবে পরবর্তিতে জানা যায় আসামিরা জেল এর ভেতর থেকে বাহিরের সকল সহকর্মীদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন।আর তাতে সহযোগিতা করতেন কারাগারের নিরাপত্তা কর্মী এবং উর্ধতন কর্তারা।এসব ঘটনা জনগনের কানে গিয়েছে এবং নিজ চোখে তারা পত্রিকায় পড়েছেন।জনগণ বুঝে গিয়েছে এই ঘটনা সরকার ঘটিয়েছে।আর প্রকৃত পক্ষে সরকার ই জঙ্গিদের আসল মদদ দাতা।সরকার নিজেদের আসল ভাবমুর্তি নিজেদের অজান্তেই মানুষের মাঝে প্রকাশ করে দেন।পরবর্তীতে সেই ঘটনা কে ধামা-চাপা দেয়ার জন্যে শুরু করে দেন নানা রকম নাটক। সেই রেশমা নাটক দিয়ে শুরু হয় সরকার এর নাট্য উৎসব।এখন ও চলছে ।নাটক থেকে বাদ যায়নি গৃহপালিত এরশাদ।আমরা এই নাটকের সিরিয়াল দেখছি প্রতিনিয়ত।সাতক্ষিরার কিলিং মিশন এর কোনো স্বচিত্র প্রতিবেদন কোনো টিভি চ্যানেল এ প্রকাশ হয়নি।তবে এই ঘটনা সারা দেশের মানুষের নজরে এসেছে নানা ভাবে।ব্যাপক দুর্নিতির অভিযোগে অভিযুক্ত বি,এন পি, রাজনিতির নামে জনগণ কে ধোকা দিয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে।প্রতিনিয়ত আশায় বুক বেধে রাখা জনগণ এখন নিরাশ হয়েছে।জনগণের আশার আংশিক ও পুরণ করতে পারছেনা বি এন পি।এতে করে বি এন পি'র তৃণমুলে দেখা দিয়েছে চরম ক্ষোভ।বি এন পি'র আচার অাচরণ মানুষের ধৈর্যের সীমাকে ছাড়িয়ে গিয়েছে।তাই দিনে দিনে জনগণ জামায়াতের দিকে ঝুকছে।এর কারণ হিসেবে মানুষ অনেক কিছুই দেখছে।যেমন,ফখরুদ্দিন এর তত্তাবদায়ক সরকার এর সময় জামায়াতের একজন মন্ত্রী ও দুর্নিতির দায়ে অভিযুক্ত হননি।আর যুদ্ধাপরাধী বলে জামায়াতের যেসব নেতাদের কারাগারে বন্দি করে রেখেছে তারা কেউ ই আসলে প্রকৃত যুদ্ধাপরাধী নন।যদি তারা প্রকৃত যুদ্ধাপরাধী হয়ে ই থাকে তাহলে শেখ-মুজীবের শাসনামলে কেন তাদের নামে একটি মামলা ও হলো না!!যাদের নামে একটি ও জিডি নাই তারা কি করে ৪২ বছর পর যুদ্ধাপরাধী হয়!!!প্রতিদিন জামায়াত-শিবির এর নামে ধ্বংসযোগ্য এবং নাশকতার খবর প্রত্রিকার পাতায় অনেক বেশী ই দেখা যায়।দেখলে মনে হয় তাদের কেউ এসব আজগুবি খবর প্রকাশ এর জন্য স্পন্সর করে।যাতে কোনো সঠিক তথ্য থাকেনা।যেটা এক প্রকার বিজ্ঞাপন ই মনে হয়।আসলে ই যে এটা জামায়াত - শিবির এর হাজার কোটি টাকার বিজ্ঞাপনের সমমান ছিলো সেটা সরকার পক্ষ কিংবা জামায়াত বিরোধীরা বুঝতে পারেনি। খুব বেশীদিন আগের কথা নয় এইতো ২০০৬-৭ এ ও সব শ্রেনির মানুষের পক্ষে জামায়াত শিবির এর নাম ও শোনা যায়নি। আর এখন অজপারাগায়ের একজন কৃষক ও জামায়াত - শিবির কে চেনে।এটা আওমীলীগ এবং সরকারী দালাল মিডিয়ার প্রচার এর একমাত্র কারণ। আর তাদের ভাবনার বিপরীত টা ঘটেছে বলে তারা আজ পাগল প্রায়।অাগে একজন কৃষক জানতো জামায়াত মনে হয় একটা ছোট্ট দল।জখন এলাকার কেউ জামায়াত করতো তখন তাদের তেমন গুরুত্ব দিয়ে দেখতোনা।এখন মিডিয়ার কু প্রচারের কারণে জামায়াত - শিবির এর পরিচিতি সু প্রসারিত হয়েছে।মিডিয়ার খবরের সাথে জামায়াত এর কর্মীদের বাস্তব আচরনের সাথে সাধারণ মানুষ মিলিয়ে নিতে পারেনা।যখন জনগণ বুঝছে মিডিয়া ভূল প্রচার করছে।সরকার ভুল কথা বলছে।তখন মানুষ জামায়াতের প্রতি আরো বেশী আসক্ত হয়ে পরলো।মানুষ এখন বুঝতে পারছে জামায়াত -শিবির এর কেউ কখনো কোনো মানুষ কে ধোকা দেয়না।কথা দিয়ে কথার বরখেলাপ করেনা,কারো ২ পয়সার জিনিস মেরে খায়না।এটা জনগণ বুঝেছে,আর তাই মানুষ এখন ধীরে ধীরে জামায়াত শিবির এর প্রতি আসক্ত হচ্ছে।আরো একটি ব্যাপার অাছে যারা এতদিন ভাবতো জামায়াত একটি জঙ্গি সংগঠন এবং তারা হিংস্র।তারা এখন কৌতহল বসত জামায়াতের কাছে এসে বুঝে গেছে তারা আসলে হিংস্র নয়।তারা অমায়িক,আর মহান আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসি।আর তাই নাস্তিক সরকার জামায়াতের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে জনগণ কে বিভ্রান্ত করতে চেষ্টা করছে ।তবে সব শেষে পবিত্র কোরআনের একটি আয়াত এর উদ্ধিৃতি দিচ্ছি:আল্লাহ বলেন 'আর মানুষের মধ্যে কিছু লোক এমন রয়েছে যারা বলে, আমরা আল্লাহ ও পরকালের প্রতি ঈমান এনেছি অথচ আদৌ তারা ঈমানদার নয়।তারা আল্লাহ এবং ঈমানদারগণকে ধোঁকা দেয়। অথচ এতে তারা নিজেদেরকে ছাড়া অন্য কাউকে ধোঁকা দেয় না অথচ তারা তা অনুভব করতে পারে না।"সূরা-বাকারা-৭-৮
বিষয়: বিবিধ
১১৭৮ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন