ঈদের নামে আমরা যে পাপগুলোকে পূন্য মনে করি
লিখেছেন লিখেছেন বিন হারুন ০২ জুন, ২০১৬, ১০:৪৫:১৪ রাত
রমজান আসছে তাই ভাবছি কি দিয়ে খেলে বেশি করে সেহেরি খাওয়া যাবে, কি খেলে ইফতারটা মানানসই হবে, রমজান মানে আল্লাহ'র সন্তুষ্টির জন্য নির্দিষ্ট সময় পনাহার থেকে বিরত থাকা হলেও আমি বেশির ভাগ সময় ভাবি রমজানে কি খাওয়া যায়.
আমরা কেউ কেউ হয়তো এক সপ্তাহ বা ১০ দিনে তারাবিহ'র নামাজে কোরআন খতম দিয়ে দেব, তারপর কেউ কেউ আর নামাজের পাশেই আসব না, আর কেউ মার্কেটে কেনা কাটা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যাব, তারাবিহ'র নামাজের কথা ভুলেই যাব. আল্লাহ আমাদেরকে পুরো রমজানের তারাবিহ পড়ার শক্তি দিন. আমীন....
অনেকেতো এমন রোজা প্রেমিক প্রেমিকা আছি যে যুবতি মেয়েকে দিয়ে ইফতারের বিজ্ঞাপন দেবে.
দীর্ঘ একমাস রোজা রাখার পর রোজাদারদের জন্য ঈদ আসার কথা থাকলেও যারা নামাজ রোজা করেন না তারাই ঈদকে পুজো উত্সবে পরিনত করে, অতিরিক্ত কেনা-কাটা, টাকা না থাকলে ধার করে কাপড় ছোপড় ক্রয় করা, যুবতি মহিলাদের বেড়ানোর নামে বেপর্দা চলাফেরা, মার্কেটে গিয়ে পুরুষ মহিলাদের হুমড়ি খেয়ে পড়া. কোন মুর্তির গায়ে সুন্দর জামা সাজানো থাকবে আবার দোকানে লেখা থাকবে রমজান মোবারক বা ঈদ মোবারক এসব কাজকর্ম কিন্তু অতি কষ্টের রোজার সওয়াবগুলোকে ধ্বংস করতে যথেষ্ট.
তাই আমাদের উচিত নিজেকে এবং নিজের পরিবারকে রমজানের শেষে ঈদের নামে বেহায়াপনা থেকে বাঁচিয়ে রাখা.
আল্লাহ আমাদের সবাইকে পাপকাজ থেকে দূরে থাকার তা্ওফিক দিন. আমীন
বিষয়: বিবিধ
১৩৭৭ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ঈদ পূর্ববর্তী সতর্কতামূলক লিখাটি পড়ে অনেকেই অনুধাবন করবেন এবং সেইসাথে ইসলাম বিরুদ্ধ আপত্তিকর কাজকর্ম থেকে বিরত থাকতে সচেষ্ট থাকবেন এটাই প্রত্যাশ্যা রইলো।
অনেক ভালো লাগলো লিখাটি। জাজাকাল্লাহু খাইর।
২৬ রোজার পর আর বাঁধ যেন মানতে চায় না , জোয়ার গিয়ে আছড়ে পড়ে শপিংমলের সিড়িতে । মনে হয় যে এই দিনের অপেক্ষাতেই তো ছিলাম আমরা ।
আকাশচুম্বী দামের / অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রও মানুষ কেনে নিজেকে জাহির করার জন্য
খুব ভাল লাগল, আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ
ধন্যবাদ অনেক অনেক
মন্তব্য করতে লগইন করুন