হুজুরদের মতনৈক্যে অতিষ্ট কোন দিকে যাব?
লিখেছেন লিখেছেন বিন হারুন ২৪ এপ্রিল, ২০১৬, ০৭:৩৮:০৮ সন্ধ্যা
কোন দিকে যাব এই হুজুর বলে এক কথা ঐ হুজুর বলেন আরেক কথা. আমরা সাধারণ মানুষ কোনদিকে যাব? যারা এসব বলে ইসলামের বিধি বিধান থেকে দূরে থাকতে চান তাদেরকে বলছি.
আপনাকে কোন দিকে যেতে হবে না এদিকে আসেন
কারন এদিকে সবাই আসে এখানে কারো মতের ভিন্নতা নেই.
১. একটা টেবিল যেমন মিস্ত্রির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়, তেমনি এ বিশাল পৃথিবী, তারকা-রাজিও আল্লাহকে স্মরণ করিয়ে দেয়. অতএব আল্লাহ্ একজন এতে কোন নবী, রাসূল স., মাওলানা সূফিদের মত পার্থক্য নেই. সুতরাং কোন সন্দেহ না করেই আল্লাহ'র উপর ঈমান (আস্থা) রাখুন. তা্হলেই আপনি ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে প্রবেশ করলেন.
২. সময় মতো নামাজ পড়ুন অর্থাত ফজরের সময় ফজরের নামাজ, জোহরের সময় জোহরের নামায এতেও কোন আলেম ওলামার মত পার্থক্য নেই. শেষ বিচারে প্রথমে এই নামাজেরই হিসেব হবে. এবং বলা হয়েছে নামাজ বেহেস্তের চাবি.
৩. রমযান মাসে রোযা রাখুন এতেও কোন আলেমের মত-পার্থক্য নেই.
৪. ধনী হলে যাকাত দিন, বিশ্বের সব মুসলিমরা যদি তাদের যাকাতগুলো ঠিক ঠিক ভাবে দিত তাহলে পৃথিবীটা অনেক শান্তিময় হত. যাকাত আগে আপনার নিকট আত্মীয় (মা-বাবা, দাদা-দাদীকে ছাড়া, আপনার উপর এদের হক আছে এরা যাকাতের উর্ধ্বে) প্রতিবেশীকে দিন.
৫. আল্লাহ'র ঘরে যাওয়ার সমর্থ থাকলে হজ্ব করুন, নবীর স. রওজা মুবারক যেয়ারত করুন. দরূদ পড়ুন.
৬. প্রতিদিন নিয়মিত কুরআন তেলাওয়াত করুন. কুরআনকে বুঝার চেষ্টা করুন দেখবেন নিজের জীবন আলোকিত হয়ে যাবে.
মা-বাবার সেবা করাকে স্ত্রী-সন্তানের হক আদায় করতে কোন আলেম নিষেধ করেন না.
ছোটদের আদর করতে বড়দের সম্মান করতে কেউ নিষেধ করেন না.
প্রত্যেক সাহাবা র. শুদ্ধরূপে কুরআন তেলাওয়াত করতেন, নামায-রোজা করতেন. যেহেতু আমরা মুসলিমরা তাঁদের উত্তরসূরি সেহেতু আমাদের জীবনকে তাদের জীবনের মতো করার চেষ্টা করতে হবে.
আল্লাহ্ আমাদেরকে সঠিক পথে চলার তাওফীক দান করুন- আমীন
বিষয়: বিবিধ
১০৯৫ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ
(আপনার সুন্দর লেখনীর জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। যেন আমার মনের কথাগুলোই বলেছেন)
আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ
মন্তব্য করতে লগইন করুন