একটা ছবি নিয়ে যত কথা
লিখেছেন লিখেছেন বিন হারুন ১৭ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:১৮:১৮ দুপুর
এক ভাই ফেসবুকে এই ছবিটি পোস্টালেন. অন্যভাই এতে মন্তব্য মন্তব্য করলেন, "এই সিস্টেম অপমান জনক, এরা এসবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেনা কেন?"
আমার মনেহয় ভাইটি এসব মাদ্রাসায় যাননি,
কারন ক্বওমি মাদ্রাসায় শুধু বই পড়ান না বরং এসব মাদ্রাসায় ব্যবহারিক শিক্ষা দেওয়া হয়, শিক্ষা দেওয়া হয় মাতা-পিতা, স্ত্রী-সন্তান, শিক্ষক, প্রতিবেশীদের হক সম্পর্কে.
যে বয়সে অন্যান্য প্রতিষ্টানের শিক্ষার্থীরা নিজেদের ভাইদের রক্ত নিয়ে খেলা করে, ক্ষমতার জন্য নিজের শিক্ষকদের অপমানিত করে সেই বয়সে খাদ্যের জন্য লাইনে দাঁড়ানো এসব ছাত্ররা ধৈর্য্যের পরীক্ষায় পাশ করেন, নিজ উদ্যোগে শিক্ষকের জুতা সোজা করার চেষ্টা করেন, শিক্ষককে অজুর পানি এনে দিতে পারলে নিজেকে ধন্য মনে করেন.
আল্লাহ এসব ছাত্রদের পরিশ্রমকে কবুল করুন
বিষয়: বিবিধ
১২৮৫ বার পঠিত, ২০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সুদ এর মত জঘন্য পাপকে মোকাবিলায় ক্বওমী আলেমদের কোন উদ্যোগ নেই। অথচ যার উদ্যোগে এই দেশে সুদমুক্ত ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সেই মীর কাশেম আলীর ফাঁসির রায়ের বিরুদ্ধে কোন ক্বওমী ওলামা একটি বিবৃতি পর্যন্ত দেয় নি।
সার্বিক দৃষ্টিতে উম্মাহর বৃহত্তর স্বার্থ রক্ষায় কওমীরা ব্যর্থ।
আরে কওমী মাদরাসার ইতিহাস পড়ুন। যেখানে সত্যেন সেন ওলামায়ে দেওবন্দ এবং মুসলমানদের স্বীকৃতি দিয়ে গেছেন। সেখানে এরকম মন্তব্য নিতান্তই মূর্খতা।
এরা ক্ষমতার জন্য কখনো ধানে কখনো নৌকায় চড়ে না.
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য
এইভাবে লাইনে দাড়াতে হবে কেন?
আর এই ছবিই বা ফেসবুকে পোস্ট করার কি দরকার?
বিতর্ক না করলে এবং করার সুযোগ না দিলে বুঝি ভাল্লাগেনা?
কিছু একটা হলেই স্যোসাল মিডিয়ায় নিয়ে আসতে হবে কেন? পানির ক্রাইসিস মানবিক ব্যাপার, যেখানে হাসাহাসি হবে, সেখানে কেন উপস্থাপন করতে হবে।
আর কওমী মাদ্রাসা নিয়ে যেসব সমালোচনা করা হয়, সেসব সমালোচনা যাতে আর না হয়, সে ব্যবস্থা করে ফেললে ত লেটা চুকে যায়।
এমন একটি ছবি সোশাল মিডিয়াতে যে দিয়েছে তার পক্ষে যেই লোক সাফাই গাইছে সে লোক অনে্যর জ্ঞানের ব্যাপারে প্রশ্ন তুলছে কিন্তু নিজেরটা কি ?????
এ পদ্ধতিতে তালিবে ইলমের সময় অহেতুক নষ্ট হয়।
মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতেও একই সিস্টেম প্রচলিত আছে।
আমরা একটা সময় দীর্ঘ লাইনে অনেক সময় দাঁড়িয়ে খাবার নিতাম; পরে একটা সফটওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে সময়ের অপচয় অনেক হ্রাস হয়েছে।
বন্টনের পদ্ধতিতে কিছু পরিবর্তন আনলে মনে হয় ভালো হবে।
আরবদেশগুলোতে ইসলামের যে অধঃপতন দেখতেছি, তাতে মনে হয় আমাদের দেশের মানুষ অন্তত ধর্মীয় দিক থেকে অনেক ভালো আছে।
জাযাকাল্লাহ খাইর
মন্তব্য করতে লগইন করুন