আঁচল.............................................

লিখেছেন লিখেছেন বিন হারুন ১৫ নভেম্বর, ২০১৪, ১০:২৬:৫৩ সকাল

আরফাত খুবই ভাল ছেলে. ভাল এ জন্যই যে, সে সকালে অফিসে যাওয়ার সময় তার মাকে না বলে যায় না. আর অফিস থেকে আসলে সবার আগে মা'র খোঁজ নেয়. তাই তার মা, ছেলে অফিস থেকে আসার সময় হলে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকেন. আরফাতের কাঁধ থেকে ব্যাগ নামিয়ে বলেন ছেলেটার মুখ শুকিয়ে কাঠ হয়ে আছে যাও ফ্রেশ হয়ে এসো খাবো. মা-ছেলে এক সাথে খায় এভাবেই দিন যায়.

এক সময় পরিবারের পছন্দে আরফাত বিয়ে করে. স্বামী-স্ত্রীর মধুময় প্রেমের মধ্য দিয়ে কাটছে দিন গুলো. স্ত্রীর প্রেমে বিভোর হয়ে মা-কে আগের মতো সময় দিতে পারে না. সে ভাবে 'স্ত্রীতো আমার মাকে কেয়ার করছে. খাওয়া-দাওয়ার ব্যপারে ৗষধ-পত্রের ব্যাপারে আমি না হয় কয়েকটা দিন স্ত্রীর সাথেই থাকি.

স্ত্রীর সাথে চলছে তুমুল প্রেম. রাত জাগা দশ ঘন্টার রাত যেন দশ মিনিটে শেষ হয়ে যাচ্ছে. মা তো মা, ছেলে যখন মাকে আগের মতো সময় দিচ্ছে না. মা মন খারাফ করে রখেন. আরফাত তার মায়ের মনের অবস্থা বুঝতে পারে না. কারন সে স্ত্রীর প্রেমে বিভোর. কারন এযে পবিত্র প্রেম. যতো ভাববে, যত ভালবাসবে ততই পূন্য. আরফাত বিশ্বাস করে ফেলল স্ত্রী তাকে মন থেকে একশোভাগ ভালবাসে.

রাত জাগার কারনে হঠাত একদিন আরফাত অসুস্থ হয়ে পড়ে. বমি আর পাতলা পায়খানা করে বসে রুমের ভেতর. সাথে-সাথে স্ত্রী গন্ধ সহ্য করতে না পেরে নাকে শাড়ীর আঁচল দিলেন. আর আরফাতের মা দৌড়ে এসে নিজের শাড়ির আঁচল দিয়ে আরফাতের শরীরের ঘাম মুছে দিলেন. স্ত্রী যখন স্বামীর বমি-পায়খানার গন্ধ সহ্য করতে না পেরে দূরে-দূরে সরে থাকছেন. তখন আরফাতের মা বমি-পায়খানা পরিষ্কার করেন কারন এখন আরফাতের চিকিত্সার জন্য ডাক্তার আসছেন.

কোন কোন আরফাত ধাক্কা না খেয়ে বউ আর মায়ের শাঁড়ির আঁচলের পার্থক্য বুঝেন. আর কোন-কোন আরাফাত ধাক্কা খেয়ে বুঝেন আঁচলের পরখ.

আর কোন কোন আরাফাত বউ আর মায়ের শাঁড়ির আঁচলের পার্থক্য বুঝে না, বুঝতেও চায় না. একদিন আরাফাতদের সন্তানরাও আরাফাতদের বুঝে না.

বিষয়: বিবিধ

১৭৬৯ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

284381
১৫ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:৩৬
কাহাফ লিখেছেন :
মায়ের মতন দরদী আপন কেউ হয় না!হতে পারে না!!
এই বিষয়টা বুঝতে না পারাই সন্তানদের সব চেয়ে বড়ো ব্যর্থতা!
শিক্ষণীয় সুন্দর উপস্হাপনার জন্যে অনেক ধন্যবাদ ও জাযাকাল্লাহ আপনাকে! Thumbs Up Thumbs Up
১৫ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:৫৬
227545
বিন হারুন লিখেছেন : মূল্যবান সময় ব্যয় করে লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ Good Luck
284398
১৫ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:৩১
অনেক পথ বাকি লিখেছেন : এই জন্যই মাকে খুব ভালোবাসি।
১৫ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:৪৭
227566
বিন হারুন লিখেছেন : মাকে ভাল না বাসলে মায়ের কোন ক্ষতি হয় না. কারন মা তার সন্তানকে যে কোন পরিস্থিতিতে ভালবাসতে পারেন. ক্ষতি নিজের. মাকে ভালবাসি আর ভালবেসে যাব. সহমত আপনার সাথে Happy
284437
১৫ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:২২
আফরা লিখেছেন : আমাদেরকে বালেন্সিং লাইফ গঠন করতে হবে আর এটার দয়িত্ব পুরুষের । মাকে মায়ের মর্যদা দিতে হবে আর স্ত্রীকেও দিতে হবে স্ত্রীর মর্যদা । কারো জন্য কেউ যেন উপেক্ষীত না হয় ।

ভাইয়া অল্প কথায় খুব সুন্দর করে বুঝিয়েন মায়ের অকৃত্রিম ও নিঃস্বার্থ ভালবাসা ।

২৭ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:২৫
232460
বিন হারুন লিখেছেন : অবশ্যই, সবাইকে যথাযোগ্য মর্যাদা দিতে ব্যর্থ হলে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে. ধন্যবাদ অনেক অনেক. Happy
288447
২৬ নভেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৪৬
ইশতিয়াক আহমেদ লিখেছেন : খুব সুন্দর লিখা ,পড়ে ভালো লাগলো
২৭ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:২৬
232461
বিন হারুন লিখেছেন : সাথে থাকার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ. ইশতিয়াক ভাই Good Luck

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File