একজন মীর কাসেম আলী ও মানব সেবা
লিখেছেন লিখেছেন হাসান জামিল ১১ এপ্রিল, ২০১৬, ০৫:২০:১৬ সকাল
এক.
আমার যতদূর মনে পরে ১৯৯৯-২০০০ তার সাথে কাছা কাছি যাওয়ার সুযোগ হয়েছিলো। এর আগে প্রতিষ্ঠাতা কেন্দ্রীয় সভাপতি হিসাবে অন্য রকম শ্রদ্ধার সাথে দেখতাম। তবে তার মতো বড় মাপের এই মানুষটির কাছাকাছি যাওয়ার উপযোগি হয়ে উঠেনি। একটি শিশু-কিশোর পত্রিকায় কাজ করার কারনে বিভিন্ন কাজে তার কাছে যেতাম। একবার আমাদের এলাকার একজন ক্যানসার রোগী ইবনে সিনা হাসপাতালে ভর্ত্তি হওয়ায় তার অনেক টাকা বিল হলো। আমাকে এলাকার মুরব্বিরা বললো তুমি কোনো হেলপ করতে পারবা কিনা, আমি বললাম দেখি একটু চেষ্টা করে। তারপর রাবেতা অফিসে ওনার কাছে গেলাম ও বিষয়টি খুলে বললাম। আমার কথা শুনে মুচকী হাসি দিয়ে বলল এখানে কেনো ভর্ত্তি করলা তুমিতো ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ভর্ত্তি করতে পারতা তাহলে অনেক বেশি হেলপ করতে পারতাম। আমি বললাম ভাইয়া যতটুকু সম্ভব করেন। তারপর তিনি বললেন তুমি ইবনে সিনায় সাইফুল আলম খান মিলনকে আমার কথা বলো-এরপর একটি ডিসকাউন্ট করলেন, তারপর ঐরোগি ছাড় নিয়ে খুশী মনে বাড়ীতে চলে গেলো যদিও রোগীটি শেষ পর্যন্ত বাঁচেনি, কিন্তু তাদের ফ্যামিলি অনেক দিন বিষয়টি কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণে রেখেছে।
দুই.
২০০২ সালে একটি লেখক সম্মেলনকে কেন্দ্রকরে অনেকবার ওনার সাথে অনেকগুলো মিটিং করেছি। মিটিংগুলো রাবেতা বা ইবনে সিনায় হতো যেখানে দেশীয় আমেজে বাহারী খাবারের আয়োজন। সম্মেলনকে বাস্তবায়ন করতে তার দিক নির্দেশনা সকলে অবাক করতো। কম সময়ে বেশি কাজ করা ছিলো ওনার অন্যতম বৈশিষ্ট্য। খাবারের তালেও অনেক কাজ হয়ে যেতো। যা অনুমান করাও অনেক কঠিন। আল্লাহর রাসূল সা. যেভাবে কবিদের ভালো বাসতেন সেই আদলে তিনি লেখক, সাহিত্যিক ও সংস্কৃতিক কর্মীদের মনে প্রাণে ভালো বাসতেন। তিনি খুবই আবেগ প্রবণ হতেন মাঝে মাঝে এমনকি কিছু গান কবিতা শুনে ও নিজে বলে কেঁদে দিতেন। এমন একজন মানুষকে কতিপয় হতচ্ছড়া নাস্তিক লেখকরা নানান অপবাদ দিতে বিবেক বাধা দিচ্ছেনা । অথচ এদের কতিপয়ও নানান সুবিধা আদায়ের জন্য ওনার চেম্বারের কাছে ভীড় জমাতো।
চলবে-------
বিষয়: বিবিধ
১২০৮ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন