গনতন্ত্রের মানসকন্যা ও গনতন্ত্রের ভাষা এবং আওয়ামীলীগ নেতাদের শিক্ষিত আচরন !

লিখেছেন লিখেছেন হাসান জামিল ১৬ এপ্রিল, ২০১৪, ০৫:২৫:১৮ সকাল

মানুষের অধিকার নিয়ে রাজনীতিবীদরা উপহাস করছে। দেশের মানুষ কীভাবে বাচঁবে, দেশ কীভাবে আগাবে তার কোনো চিন্তা ভাবনা কোনো দলের মধ্যে আছে বলে মনে হয়না। দেশের অর্থনীতি পঙ্গু হলেও তারা তাদের পরিবার ও দলকে সম্পদশালী করার চিরস্থায়ী বন্দোবস্থ করছে। বৈধ আর অবৈধের খেলায় জাতি মরতে বসেছে। প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও জাতীয় রাজনীতিবীদের কথা শুনলে লেবার-অশিক্ষিত ও মুর্খ লোকরাও লজ্জা পাবে।

দেশে কে থাকবে, কে পাকিস্তান যাবে আর কে ভারত যাবে এ গল্প এখনও শেষ হচ্ছেনা। একটি দেশ স্বাধীনতার ৪৩ বছর পার করলেও এই বিতর্ক থেকে রক্ষা পাচ্ছেনা। কত দিনে বাংলাদেশ আর পরাধীন থাকবে ? অনেক চড়াই উৎতাই পাড় করেও দেশ প্রেমিক নেতার অভাবে সবুজ সোনার বাংলাদেশ এখন তার স্বাধীনতা প্রশ্নে , জাতীয় ইস্যুতে ঐক্যমতে পৌঁছাতে পারে নাই ।

লাভ-লোকসানের হিসাব পরে হবে। রাজনীতিকরা যার যার মতো করে ফতোয়া দিচ্ছেন। এর মাঝে হারিয়ে যেতে বসেছে অনেক জাতীয় ইস্যু। ৫ জানুয়ারির ভোট কেলেঙ্কারি আর উপজেলা নির্বাচনের ভোট ডাকাতির ইস্যু কিছুটা হলেও চাপা পড়েছে ফতোয়ার ঝড়ে। এতে ফায়দা পাবে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের নামে তামাশার মাধ্যমে ক্ষমতায় আঁকড়ে থাকা গোষ্ঠী আওয়ামী লীগ । মানুষের মন থেকে মুছে দিতে চায় ৫ জানুয়ারি এবং ৫ দফায় উপজেলা নির্বাচনী পাগলামীর ঘটনা।

বিএনপি’র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্বাধীনতা দিবসের আলোচনায় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি সাথে সাথে শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক আন্দোলনের কথাও তিনি স্বীকার করেছিলেন সেদিনের আলোচনায়।

তারেক রহমানের তথ্যনির্ভর বক্তব্যে আওয়ামী লীগ তথ্য দিয়ে জবাব দিবে এটাই প্রত্যাশা করেছিলেন সবাই। তারেক রহমানের উপস্থাপিত তথ্য খন্ডন করে পাল্টা জবাব না দিয়ে আওয়ামীলীগের চিরাচরিত চিৎকার দলেন সবাই। খোদ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থেকে শুরু করে সবাই রাজপথের বক্তব্য রাখছেন। তারেক রহমান ও জিয়াউর রহমানের চৌদ্দ গোষ্ঠী উঠিয়ে গালিগালাজ করছেন তারা। খোদ শেখ হাসিনা বললেন ৪০০ টাকা বেতনের মেজরের কথায় দেশ স্বাধীন হয়নি। এসব গালিগালাজে কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। তারা বলতে পারতেন তারেক রহমানের এসব তথ্য সঠিক নয়। এই হলো সঠিক তথ্য। হাজির করতে পারতেন সঠিক তথ্য ভান্ডার। কিন্তু না। সেটা করছে না আওয়ামী লীগ।

তাদের জবাবের কিছু শিরোনাম তুলে ধরছি পাঠকের জ্ঞাতার্থে..

তোর বাপ আমাদের স্যার বলতে বলতে লালা ঝরাতো: তারেককে তোফায়েল

বঙ্গবন্ধুকে ‘অবৈধ প্রধানমন্ত্রী’ বলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ‘বাচ্চা ছেলে’, ‘আহাম্মক’ ও লেখাপড়া জানে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ তারেক রহমানকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘আরে আহাম্মক! লেখাপড়া জানো না। তোর বাপ কি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ছিল? তোর বাপ তো আমাদেরও স্যার স্যার বলতে বলতে মুখ দিয়ে লালা বের করে ফেলত।’

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা বলেছেন, রক্ষীবাহিনীর সমন্বয়ক হওয়া সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার পর এই তোফায়েল আহমেদ কোনো প্রতিবাদ করেননি।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ‘শয়তানের বংশধর’ এবং তারেক রহমানকে ‘শয়তানের বাছুর’ বলে আখ্যায়িত করেছেন ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। তিনি বলেছেন, ‘খালেদা শয়তানের বংশধর। তার মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত এদেশে শান্তি আসবে না। এখন তাকে সাংগঠনিকভাবে শায়েস্তা করতে হবে।

বিএনপির দেশে থাকার কোনো অধিকার নেই : মায়া

বিএনপিকে ইসলাম, গণতন্ত্র, মানবতা ও মুক্তিযুদ্ধের শত্রু হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জেল হোসেন চৌধুরী মায়া। তিনি বলেছেন, খালেদা জিয়ার বিভিন্ন সময়ের বক্তব্যে ভেবেছিলাম পাগলামি। কিন্তু এটা পাগলামি নয়, রাজনৈতিক শয়তানি। খালেদা জিয়ার এক কথাÑ আমি মিথ্যা বলব। তার কোনো রাজনীতি নেই, আছে মিথ্যা আর ষড়যন্ত্র। ওরা ইসলাম, গণতন্ত্র, মানবতা ও মুক্তিযুদ্ধের শত্রু। এদের এই দেশে থাকার কোনো অধিকার নেই।

জিয়া ‘মোনাফেক’ ,বিএনপি অবৈধ রাজনৈতিক দল : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, “যার একাডেমিক ক্যারিয়ার ইন্ডারমিডিয়েট পাস করেনি বলে শোনা যায়, যার মা অষ্টম শ্রেণি পাস, তারা যদি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, সংবিধান শিক্ষা দেয়, তাহলে এর চেয়ে দুর্ভাগ্যজনক আর কী হতে পারে!”

’সারাদেশে সুষ্ঠুভাবে উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে’ দাবি করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে বলেই জনগণ তাদের পছন্দমতো প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে পেরেছে।“

মাদরাসার ছাত্র কমানোর আন্দোলন শুরু করেছি : সজিব ওয়াজেদ জয় -

প্রধানমন্ত্রীর পুত্র ও তার তথ্য-প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, পঁচাত্তরের পর দেশে স্কুল তৈরি বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। এর ফলে প্রতি তিনজন স্কুলছাত্রের বিপরীতে এখন একজন মাদরাসার ছাত্র তৈরি হয়েছে। এটা কমিয়ে দিতে আমরা ইতোমধ্যে আন্দোলন শুরু করে দিয়েছি।

জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে ছাত্রলীগকে তুলনা করায় হাজি মোহাম্মদ সেলিম এমপিকে অশিক্ষিত টোকাই ও খুনি এরশাদ শিকদারের বন্ধু বলে আখ্যা দিয়েছে ছাত্রলীগ।

ছাত্রলীগের সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ এবং সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম আজ ছাত্রলীগের উপদপ্তর সম্পাদক খোন্দকার তারেক রায়হান স্বাক্ষরিত এক প্রতিবাদলিপিতে এ আখ্যা দেন।

ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে বলা হয়, হাজি মোহাম্মদ সেলিম জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে ছাত্রলীগের তুলনা করে প্রমাণ করেছেন, উনি একজন অশিক্ষিত ও মূর্খলোক। হাজি সেলিম ব্যক্তিগত জীবনে একজন অশিক্ষিত টোকাই, নাসিরউদ্দিন পিন্টুর এক সময়ের সহযোগী এবং পরবর্তী সময় খুলনার কুখ্যাত এরশাদ শিকদারের ঘনিষ্ঠ বন্ধু।

তখন শেখ হাসিনা বলেন আজকে জাসদের মুখ দিয়ে গণতন্ত্রের কথা শুনতে হচ্ছে? এ কথা বলেই উচ্চস্বরে হেসে উঠেন তিনি।

এ সময় ইনু প্রধানমন্ত্রীকে বলেন- টিভিগুলোর অন এয়ারে থাকার কথা। তখন প্রধানমন্ত্রী বলেন, তা আমি জানি। সেজন্যই তো বললামৃ.।

দুজনে বসে কূজনে কী কথা বলে: শেখ হাসিনা

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিকল্পধারার সভাপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বৈঠকের প্রতি ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আজ দেখি দুজনে বসে কূজনে কী কথা বলে।

অথচ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিনি ইনুর সাথে কূজনে কী কথা বলে ? তখন আওয়ামীলীগ নেতারা আবার কোন ভাষায় গালী দিবেন।

হায়রে গনতন্ত্র ! গনতন্ত্রের মানসকন্যা !! চমৎকার শিক্ষিত আচরন !!!

বিষয়: রাজনীতি

১৩১২ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

208686
১৬ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১০:৫৮
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ইহাই স্বাভাবিক!!!!!

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File