‘ক্যাশ চাই ক্যাশ’ ebvg wPd ûB‡ci wg_¨vPvi

লিখেছেন লিখেছেন হাসান জামিল ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০২:১৭:২৮ রাত

‘ক্যাশ চাই ক্যাশ’ খবরটি প্রকাশ করা ঠিক হয়নি-সাংবাদিকদের দুঃখ প্রকাশ করা উচিত চিফ হুইপ

চিফ হুইপের চাঞ্চল্যকর বক্তব্য গণতন্ত্র ও সুশাসনের জন্য অশনি সংকেত : টিআইবি

গত ৭ ফেব্রুয়ারি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা সদরে এক গণসংবর্ধনায় ‘ক্রেস্ট না, ক্যাশ চাই, ক্যাশ’ মর্মে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজের চাঞ্চল্যকর বক্তব্যকে গণতন্ত্র এবং সুশাসনের জন্য অশনি সংকেত চিহ্নিত করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে সংস্থাটি অনতিবিলম্বে উক্ত বক্তব্য প্রত্যাহারের জন্য আহ্বান জানিয়েছে। অন্যদিকে এরূপ লাগামহীন দুর্নীতি সহায়ক অবস্থান সংসদে চিফ হুইপের পদের মর্যাদার সঙ্গে কতটুকু সামঞ্জস্যপূর্ণ তা বিবেচনার জন্য সংসদ নেতার ও স্পিকারের প্রতি আবেদন জানিয়েছে টিআইবি। গতকাল এক বিবৃতিতে এ আবেদন জানানো হয়।

বিবৃতিতে টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘জাতীয় গণমাধ্যমে এবং স্থানীয় কেব্ল চ্যানেলে প্রচারিত চিফ হুইপের উক্ত বক্তব্য শুধু ন্যক্কারজনকই নয়, বরং তা দেশের গণতন্ত্র ও সুশাসনের জন্য এক অশনি সংকেতও বটে। সংবর্ধনার জন্য উপঢৌকন হিসেবে ক্রেস্টের পরিবর্তে নগদ অর্থ প্রদানের জন্য জাতীয় সংসদের একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তির প্রকাশ্য জনসভায় এ ধরনের নজিরবিহীন বক্তব্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দুর্নীতি নির্মূলের অবস্থানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। একইভাবে প্রকাশ্যে টাকা চাওয়া দুর্নীতিরই নামান্তর, যা অন্য দুর্নীতিবাজদের উত্সাহিত করবে। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার এবং জাতীয় সংসদ কি পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন তা দেশবাসীকে জানাবার জন্য আহ্বান করছি। সংবিধানের ২০(২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী অনুপার্জিত আয়কে পরিষ্কারভাবে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। অতএব জাতীয় সংসদের সদস্য, এমনকি চিফ হুইপ পদে আসীন একজন ব্যক্তির পক্ষে প্রকাশ্যে অবৈধভাবে অর্থ উপার্জনের ঘোষণা দিয়ে শুধু দুর্নীতি সহায়ক অবস্থানই নেননি, বরং সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন। আমরা আরো উদ্বিগ্ন এ কারণে যে, ইতিপূর্বে যারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন তাদের কাছে ১০ লাখ টাকা করে চাঁদা প্রদানের আহ্বান জানানো হয়েছিল। সরকারের এরূপ অবস্থান রাজনীতি ও সরকার পরিচালনায় নৈতিকতা বিবর্জিত অন্ধকার জগতে নিমজ্জিত করবে।’

‘নির্বাচন করতে অনেক (টাকা) লাগে’ মর্মে চিফ হুইপের বক্তব্যকে ঠাট্টা-তামাশা নয়, বরং অত্যন্ত তাত্পর্যপূর্ণ আখ্যায়িত করে নির্বাচনে কালো টাকা এবং রাজনীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের যে ধারা সাম্প্রতিক কালে হলফনামাসহ বিভিন্নভাবে প্রকাশিত হচ্ছে তারই এক লাগামহীন প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের ইঙ্গিত বলে ড. জামান অভিমত প্রকাশ করেন।

নিজের বক্তব্যের পক্ষে চিফ হুইপ গণমাধ্যমকে যে সাফাই যুক্তি দেখিয়েছেন তাও পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য বলে তিনি মন্তব্য করেন।

তিনি অনতিবিলম্বে উল্লিখিত আত্মঘাতী বক্তব্যের প্রেক্ষিতে সংসদ নেতার অবস্থান পরিষ্কার করার আহ্বান জানান এবং নবম সংসদে উত্থাপিত সংসদ সদস্যদের আচরণবিধি খসড়া আইনটি প্রণয়নের দাবি জানান।

‘ক্যাশ চাই ক্যাশ’ খবরটি প্রকাশ করা ঠিক হয়নি-সাংবাদিকদের দুঃখ প্রকাশ করা উচিত চিফ হুইপ

জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ বলেছেন, একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তার দেয়া বক্তব্য নেতিবাচকভাবে প্রচার করা সাংবাদিকদের উচিত হয়নি। এ কারণে সাংবাদিকদের দুঃখ প্রকাশ করা উচিত। গতকাল জাতীয় সংসদের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আ স ম ফিরোজ এই দাবি করেন। আসম ফিরোজ বলেন, ক্যাশ টাকা তিনি নিজের জন্য চাননি, দলের জন্য চেয়েছিলেন। এছাড়া তিনি সিরিয়াসলিও এটা বলেননি। হাস্যচ্ছলে বলেছিলেন। পত্রিকায় এটা না এলেও পারত। তার নগদ টাকা চাওয়া নিয়ে দুঃখ প্রকাশ না কলে তিনি উল্টো যেসব সাংবাদিক এ খবর প্রচার করেছেন তাদের দুঃখ প্রকাশ করতে বলেন। তিনি আরও বলেন, তার এ বক্তব্যের আগে পরে অনেক কথা ছিল। সেগুলো আসেনি। তিনি অভিযোগ করেন, এলাকায় দলের মধ্যে তার বিরুদ্ধে যারা রয়েছে তারা এ বক্তব্য প্রচার করেছে। তবে জড়িতদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেবেন না বলেও জানান তিনি। চিফ হুইপ বলেন, যারা নগদ টাকা চাওয়ার খবর প্রচার করেছে আল্লাহই যে তাদের হেদায়েত করেন।

গত শুক্রবার নিজ নির্বাচনী এলাকা পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা সদরের সরকারি পাবলিক মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে আ স ম ফিরোজকে গণসংবর্ধনা দেয়া হয়। ওই অনুষ্ঠানে তিনি প্রকাশ্যে মাইকে ঘোষণা দিয়ে বলেন, ‘আগামীকাল (শনিবার) দলীয় কার্যালয়ে সকাল নয়টা থেকে বেলা তিনটা পর্যন্ত বসব। যদি কেউর উপঢৌকন দেওয়ার ইচ্ছা থাকে, তবে আর এই ক্রেস্ট না। ক্যাশ (নগদ টাকা) চাই, ক্যাশ চাই।’

চিফ হুইপ আরও বলেছিলেন, ‘বোঝেন নাই? নির্বাচন করতে গেলে অনেক লাগে। কাজেই ক্যাশ দিয়েন, খুব ভালো হইবে। কাল (শনিবার) দেখা হবে সবার সঙ্গে। আজ আর কোনো ক্রেস্ট নেবো না। সমস্ত ক্রেস্ট আমি পরে নেবো।’

গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানটি স্থানীয় কেবল অপারেটরের মাধ্যমে শহরে সম্প্রচার করা হয়।

এ ব্যাপারে চিফ হুইপ শনিবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘ক্যাশের কথা বলেছি। তবে সেটা দলের জন্য।’

স্থানীয় কেবল অপারেটরে প্রচারিত গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানের ওই ভিডিও দেখার পরে বাউফলে আলোচনার ঝড় ওঠে। বাউফলের ব্যবসায়ী জাকির হোসেন বলেছেন, ‘এইডাও দেশ। চিফ হুইপেও মাইকে টাহা চায়।’

এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন ফরাজি বলেন, ‘প্রথমে বিশ্বাস করতে পারিনি। পরে ভিডিও দেখে হতবাক হয়েছি।’ পৌর নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক আহম্মেদ মিয়া বলেন, তার (চিফ হুইপ) ওই বক্তব্যে সবাই হতবাক হয়েছেন।

'গল্পের ছলে' কথাটি বলেছিলাম : চিফ হুইপ

দ্য বেঙ্গলি টাইমস ডটকম

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত ‘ক্যাশ চাই ক্যাশ’ শীর্ষক খবরের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ বলেছেন, এ ধরনের খবর প্রকাশ করা সংবাদমাধ্যমগুলোর উচিত হয়নি। যারা এ রকম খবর প্রকাশ করেছে, তাদের উচিত দুঃখ প্রকাশ করা। তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার বলে জানান। রোববার জাতীয় সংসদের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আ স ম ফিরোজ এই দাবি করেন।

সংবাদ সম্মেলনে আ স ম ফিরোজ বলেন, আমি লোভ-লালসার উর্ধ্বে থেকে রাজনীতি করি। আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতে গিয়ে আমি জেল-জুলুমের শিকার হয়েছি। এর পরও আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। কারণ, আমি আমার নির্বাচনী এলাকা থেকে বারবার নির্বাচত হয়েছি। এ কারণে সেখানে অনেকে মনোনয়ন পান না।

শুক্রবারের বক্তব্য প্রসঙ্গে চিফ হুইপ বলেন, সেদিন আমাকে সংবর্ধনা দেয়ার জন্য সেখানে প্রচুর লোক এসেছিলেন। তারা সবাই আমাকে শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানাতে এসেছিলেন। আমি দেখলাম, এত লোক আমাকে শুভেচ্ছা জানানোর সময় পাবে না। তাই আমি বলেছিলাম, আমি পরের দিন অফিসে থাকব, সেখানে শুভেচ্ছা জানাতে পারবে।

চিফ হুইপ দাবি করেন, আমি টাকা চেয়েছি দলের কর্মীদের কাছে। আমি তাদের বলেছি, সামনে উপজেলা নির্বাচন, সেখানে অনেক টাকা লাগবে। তাই দলের ফান্ড তৈরি করতে হবে।

আ স ম ফিরোজ বলেন, আমি আমার পাশে থাকা নেতাকর্মীদের বলেছি। সেখানে যদি মাইকের স্পিকার অন থাকে, সেখানে তো আমার কিছু করার নেই। আর সেটা কীভাবে গণমাধ্যমে আসতে পারে?

শুক্রবার নিজ নির্বাচনী এলাকা পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা সদরের সরকারি পাবলিক মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে আ স ম ফিরোজকে গণসংবর্ধনা দেওয়া হয়। ওই অনুষ্ঠানে তিনি প্রকাশ্যে মাইকে ঘোষণা দিয়ে বলেন, আগামীকাল (শনিবার) দলীয় কার্যালয়ে সকাল নয়টা থেকে বেলা তিনটা পর্যন্ত বসব। যদি কেউর উপঢৌকন দেওয়ার ইচ্ছা থাকে, তবে আর এই ক্রেস্ট না। ক্যাশ (নগদ টাকা) চাই, ক্যাশ চাই।

চিফ হুইপ আরও বলেছিলেন, বোঝেন নাই? নির্বাচন করতে গেলে অনেক লাগে। কাজেই ক্যাশ দিয়েন, খুব ভালো হইবে। কাল (শনিবার) দেখা হবে সবার সঙ্গে। আজ আর কোনো ক্রেস্ট নেব না। সমস্ত ক্রেস্ট আমি পরে নেব। গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানটি স্থানীয় কেবল অপারেটরের মাধ্যমে শহরে সম্প্রচার করা হয়।

K¨vk PvB, K¨vk

GK.

Av.m. g wd‡ivR ¯^vaxbZvi ci cUzqvLvjx-2 evDdj Avm‡b †ewkifvM mgq wZwb msm` m`m¨ wQ‡jb| Zvi I Zvi cwiev‡ii Avjv`v GKwU B‡gR wQj mvaviY gvby‡li gv‡S| 2008 mv‡j weZwK©Z wbe©vP‡b weRqx nIqvi ci wZwb A‡bKUv †ec‡ivqv n‡q D‡Vb| whwb wkÿv cÖwZôvb I m¤§vwbZ wkÿK‡`i G‡Zv m¤§vb Ki‡Zv †mB Av.m. g wd‡ivR-B 2008 mv‡ji ci †_‡K wkÿK wb‡qv‡M UvKv LvIqvi Rb¨ GKRb wkÿK bvgavix †jvfx gvbyl †gvkviid gv÷vi‡K `vjvj wnmv‡e wb‡qvM cÖ`vb K‡i| ¯§ib Kv‡ji fqven `~b©xwZ‡Z Rwo‡q c‡ib Rbve wd‡ivR mv‡ne| Zvi G Kz K‡g©i Kvi‡b A‡b‡K e‡j‡Qb Rbve wd‡ivR g‡b nq Avi wbe©vPb Ki‡ebv| †kl eq‡m R‡¤§i LvIqv LvBqv jB‡jb| Zvi GB AcK‡g© AvIqvgxjx‡Mi A‡bK Z¨vMx †bZvI j¾v †c‡q‡Q| Zvi f‡q mvsevw`K, †ckvRxex I Zvi `jxq †KD gyL Lyj‡Z ivRx nbwb| †Kbbv wZwb Gevi wQj fqsKi GKRb Av.m. g wd‡ivR|

`yB.

2014 mv‡j wZwb webv cÖwZØw›`Zvq wbe©vwPZ nIqvi Kvi‡b Zvi A‡bK UvKv LiP n‡q‡Q G Rb¨ wZwb K¨vk PvB‡Qb| gvbyl †Kv‡bv Ab¨vq KvR K‡i ZLb Avi Zvi wnZvwnZ Ávb _v‡Kbv| †Pv‡i Pzwii ci †Kv‡bv GKUv wPý †i‡L hvq| Zvi cyiv‡bv Pzwii ¯^vÿi ivL‡jb bZzbfv‡e K¨vk †P‡q| Ab¨‡`i †_‡K UvKv †bqvi Avi †Kv‡bv Ae¯’v bv _vKvq wZwb GLb `jxq Kg©x‡`i †_‡K wb‡”Qb|

nvU-evRvi, jÂNvU mKj RvqMv †_‡K Kg©x‡`i LvIqvi †h my‡RvM K‡i w`‡qwQ‡jb Zvi fvM Pv‡”Qb Gfv‡e|

cÖavbgš¿x nq‡Zv Zvi Pjvi Rb¨ Gfv‡e Zvi (10-1400 ¸b ch©šÍ m¤ú`kvjx nIqv) G me Ggwc gš¿x‡`i †_‡K K‡e †P‡q em‡eb Zv †`Lvi RbMY‡K †ewk w`b nq‡Zv A‡cÿv Ki‡Z n‡ebv|

cvVK ey‡Swbb AvIqvgxjxM Kx wRwbm ?

বিষয়: বিবিধ

১২৩৯ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

175348
১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৮:১২
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : চীপ হুইপকে অনেক ধন্যবাদ সত্য কথাগুলো প্রকাশ্যে বলার জন্য। কারন এমন বাস্তব সত্য সবাই বলার সাহস রাখেননা।
যতদিন এদেশের মানুষ টাকার বিনিময়ে ভোট বিক্রি বন্ধ না করবে ততদিন আমাদের নেতারা মুখে না বললেও অন্তরে এগুলো থাকবে।
এগুলো এদেশের জনগনের অনৈতিকতার ফল।
এ ব্যাটা নির্বাচনে টাকা খরচ করেছে কেনো? যাতে পড়ে দিয়ে কামাতে পারে তাই।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File