ক্যাশ চাই, ক্যাশ
লিখেছেন লিখেছেন হাসান জামিল ০৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০৭:০৮:৪৯ সন্ধ্যা
এক.
আ.স. ম ফিরোজ স্বাধীনতার পর পটুয়াখালী-২ বাউফল আসনে বেশিরভাগ সময় তিনি সংসদ সদস্য ছিলেন। তার ও তার পরিবারের আলাদা একটি ইমেজ ছিল সাধারণ মানুষের মাঝে। ২০০৮ সালে বিতর্কিত নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর তিনি অনেকটা বেপরোয়া হয়ে উঠেন। যিনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সম্মানিত শিক্ষকদের এতো সম্মান করতো সেই আ.স. ম ফিরোজ-ই ২০০৮ সালের পর থেকে শিক্ষক নিয়োগে টাকা খাওয়ার জন্য একজন শিক্ষক নামধারী লোভী মানুষ মোশাররফ মাস্টারকে দালাল হিসাবে নিয়োগ প্রদান করে। স্মরন কালের ভয়াবহ দূর্নীতিতে জড়িয়ে পরেন জনাব ফিরোজ সাহেব। তার এ কু কর্মের কারনে অনেকে বলেছেন জনাব ফিরোজ মনে হয় আর নির্বাচন করবেনা। শেষ বয়সে জম্মের খাওয়া খাইয়া লইলেন। তার এই অপকর্মে আওয়ামীলীগের অনেক ত্যাগী নেতাও লজ্জা পেয়েছে। তার ভয়ে সাংবাদিক, পেশাজীবী ও তার দলীয় কেউ মুখ খুলতে রাজী হননি। কেননা তিনি এবার ছিল ভয়ংকর একজন আ.স. ম ফিরোজ।
দুই.
২০১৪ সালে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত হওয়ার কারনে তার অনেক টাকা খরচ হয়েছে এ জন্য তিনি ক্যাশ চাইছেন। মানুষ কোনো অন্যায় কাজ করে তখন আর তার হিতাহিত জ্ঞান থাকেনা। চোরে চুরির পর কোনো একটা চিহ্ন রেখে যায়। তার পুরানো চুরির স্বাক্ষর রাখলেন নতুনভাবে ক্যাশ চেয়ে। অন্যদের থেকে টাকা নেয়ার আর কোনো অবস্থা না থাকায় তিনি এখন দলীয় কর্মীদের থেকে নিচ্ছেন।
হাট-বাজার, লঞ্চঘাট সকল জায়গা থেকে কর্মীদের খাওয়ার যে সুজোগ করে দিয়েছিলেন তার ভাগ চাচ্ছেন এভাবে।
প্রধানমন্ত্রী হয়তো তার চলার জন্য এভাবে তার (১০-১৪০০ গুন পর্যন্ত সম্পদশালী হওয়া) এ সব এমপি মন্ত্রীদের থেকে কবে চেয়ে বসবেন তা দেখার জনগণকে বেশি দিন হয়তো অপেক্ষা করতে হবেনা।
বিষয়: বিবিধ
১২১০ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মামু আসলেই একটা চোর। ঐ সালার জন্য আমাদের আর ইজ্জত রইলনা।
যতদিন এদেশের মানুষ টাকার বিনিময়ে ভোট বিক্রি বন্ধ না করবে ততদিন আমাদের নেতারা মুখে না বললেও অন্তরে এগুলো থাকবে।
এগুলো এদেশের জনগনের অনৈতিকতার ফল।
এ ব্যাটা নির্বাচনে টাকা খরচ করেছে কেনো? যাতে পড়ে দিয়ে কামাতে পারে তাই।
মন্তব্য করতে লগইন করুন