জান্নাতে পুরুষরা এতো কিছু পাবে, নারীরা কেন নয়? কিন্তু আমার জন্য এটাই যথেষ্ট; আল্লাহ আমার সাথে অন্যায় করবেন না
লিখেছেন লিখেছেন পবিত্র ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৮:১৯:০৩ রাত
ব্লগে কাল থেকে বেশ কয়েকটি পোস্ট দেখে নিজের অজান্তেই মনে প্রশ্ন আসে, আরে হ্যাঁ! পুরুষদের এতো কিছু পাওয়ার কথা আছে কিন্তু নারীদের নেই কেন? একজনে ৭২টা হুর পাবে আর নারীরা? পরক্ষণেই খেয়াল আসল আল্লাহ আমার সাথে কক্ষনো অন্যায়, অবিচার করবেন না। “আর আপনার রব্ব বান্দাদের উপর সামান্যতমও যুলুম করেন না”। [সূরা ফুসসলিাত: ৪৬]
তাহলে আমার মনে কেন এ কথা আসল? আমি কেন কিছু শয়তানরুপী মানুষের কথা শুনে শয়তানকেই আমার মনে প্রবেশ করতে দিলাম? আমি তো এখনো জানিও না আমি কি আদৌ জান্নাতে যেতে পারবো কিনা। আমিতো জানিও না মুত্যু পরবর্তী জীবন আমার কেমন হবে? হাশরের ময়দানে কি অবস্থায় থাকবো?
আল্লাহর চেয়ে মঙ্গলকামী আমার জন্য আর কে হবে? আমাকে তো আমার মঙ্গলকামী আমার সৃষ্টিকর্তাকেই সবচেয়ে বেশী ভালোবাসতে হবে। স্বামী-সন্তান, মা-বাবা দুনিয়ার সবকিছু থেকেই বেশী। অনেক অনেক বেশী। আমার প্রভূকে ভালোবেসেই উনার সব আদেশ-নিষেধ মেনে চলতে হবে। তাহলেই প্রকৃত মুমিন হওয়া যাবে। তারপরই তো আমি জান্নাতে যাওয়ার আশা রাখতে পারি যদি আল্লাহ আমার উপর রহম করেন।
আর আমি এখন থেকেই হুরদের নিয়ে আলোচনায় মেতে আছি। এর অর্থ কি এটা নয়, আমি এখনো পুরোপুরি আল্লাহকে ভালোবাসতে পারিনি? যদি আল্লাহকে দুনিয়ার সব কিছু থেকে বেশী ভালোবাসি তাহলে কেনো এ চিন্তা নিয়ে থাকবো? আল্লাহ তো শ্রেষ্ট বিচারক। “আল্লাহ কী সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ বিচারক নন?”। [সূরা আত-তীন: ৮]
আমাকে আমার চিন্তা করতে হবে। স্বামী কি পাবে, পাবে না এ নিয়ে চিন্তা করে আমার কোন উপকার হবে না। আমাকে চিন্তা করতে হবে জান্নাতে যাওয়ার আগে যে দূর্গম পথ পাড়ি দিতে হবে তার জন্য কি আমি প্রস্তুত? কবরের প্রশ্নের জন্য কি আমি প্রস্তুত? কবরে অন্ধকার দুর করার জন্য কি আমি সেরকম আমল করে কি হয়েছি প্রস্তুত? পুলসিরাত পার হওয়ার জন্য কি আমি প্রস্তুত? কিয়ামতের দিনের হিসাব-নিকাষের জন্য কি আমি প্রস্তুত? প্রতিটা দিন, ঘন্টা, সেকেন্ড এর হিসাব দেয়ার জন্য কি আমি প্রস্তুত?
আমাকে প্রথমে প্রস্তুত করতে হবে জান্নাতের জন্য। তারপরেই দেখতে পাবো স্বামী কি পাচ্ছে, কি পাচ্ছে না। যদি আমি নিজেকেই তৈরী না করে এসব নিয়ে বসে পড়ি তাহলে আমি কি জান্নাতের জন্য প্রস্তুত হতে পারবো?
মনকে এটা বলে চুপ করালাম আমার জন্য এটাই যথেষ্ট: আল্লাহ আমার সাথে অন্যায় করবেন না!
হাদীস আছে;
আবু হোরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: মহান আল্লাহ রাববুল আলামীন এরশাদ করেন,
“আমি আমার নেক বান্দাদের জন্য এমন নেয়ামত তৈরি করে রেখেছি, যা কোনো চক্ষু দেখে নি, কোনো কান শোনে নি এবং এমনকি কোনো মানুষ তা কল্পনাও করতে পারে না। এরপর তিনি বলেন, যদি তোমরা চাও, তাহলে নিম্নোক্ত আয়াতটি পড়ো। যার অর্থ হলো: “কেউ জানে না, তার জন্য কি কি নয়নাভিরাম বিনিময় লুকায়িত আছে।” (বুখারী,
এটা পোস্ট আকারে ব্লগে দেয়ার চিন্তা ছিলো না। পরে চিন্তা করলাম অনেকে এমন প্রশ্নের সম্মুখীন হতে পারে। এ অধমের পোস্ট থেকে যদি তাদের কোন কাজে আসে!
বিষয়: বিবিধ
৪৭১৩ বার পঠিত, ৬১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
তাই নাকি আপনি এমন লেখার ওয়েট করছিলেন! দোয়া করবেন যেন সঠিক পথে চলতে পারি। অনেক অনেক ধন্যবাদ!
ব্যাস, এই একটা কথা, এই একটা বিশ্বাস, এই একটা ধারণাই যথেষ্ট।
আমাকে যদি জিজ্ঞেস করা হয়, আমি বলবো, আমার সারা জীবনের যদি কোন ইবাদত কবুল হয়, তাহলে তার বদলে জান্নাত বা জান্নাতী নেয়ামত কিছুই চাই না, চাই শুধু মহান রবের সান্বিধ্য।
জাযাকাল্লাহ খইর
দোয়া করবেন যেন আখিরাত এবং দুনিয়া দু’টোতেই আমরা মুসলিমরা সুখী হতে পারি।
পোষ্ট ভালো লাগলো, পোলাপাইনগুলোকে এভাবে মাঝে মাঝে মাইর দিবেন, নয়তো জমে না! বাদ বাকী আপুগুলোকে তো দেখাই যায় না – ইদানীং!
দোয়া করবেন যেন সঠিক পথে চলতে পারি। অনেক অনেক ধন্যবাদ!
বুঝতে পারিনি এটা কি বললেন; "পোলাপাইনগুলোকে এভাবে মাঝে মাঝে মাইর দিবেন, নয়তো জমে না!"
আপনার পোষ্ট চমৎকার। ধন্যবাদ।
ব্যাস, এই একটা কথা, এই একটা বিশ্বাস, এই একটা ধারণাই যথেষ্ট।
আমাকে যদি জিজ্ঞেস করা হয়, আমি বলবো, আমার সারা জীবনের যদি কোন ইবাদত কবুল হয়, তাহলে তার বদলে জান্নাত বা জান্নাতী নেয়ামত কিছুই চাই না, চাই শুধু মহান রবের সান্বিধ্য।
জাযাকাল্লাহ খাইর
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 8870
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 764
কোরআনে উল্লেখ আছে মোতসাবিহাত নিয়ে পথভ্রষ্টরা বিভ্রান্ত করবে মানুষকে সচেতনতা অবশ্যই দরকার। ধন্যবাদ।
কিন্তু আজ কয়েকদিন হুর নিয়ে এতোটাই মাতামাতি, আমরা কি সবাই বেহেশতে যাবার আগাম নিশ্চয়তা পেয়ে গেছি নাকি?
আমার মন্তব্য অন্যভাবে নিবেন না।
আমাদের দরকার সর্বপ্রথম বেহেশতে যাবার নিশ্চয়তার জন্য ঈমান ও আমল। সে ব্যাপারে নিজেদেরকে কতটুকু প্রস্তুত করছি?
ধন্যবাদ আপনার সুন্দর পোষ্টটির জন্য।
আর এই লিটুয়ারাকে আমার গ্রামের পথে পথের আর একটি অবৈধ নিক মনে হচ্ছে।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
চমৎকার মন্তব্যটি রেখে যাওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
অথচ আল্লাহ্ মানুষকে সৃষ্টি করেছেন দুর্বল করে, মানুষের জ্ঞানও সীমিত। এসব বিষয়ে আল্লাহ্ মানুষকে যে অল্প জ্ঞানটুকু দিয়েছেন, মানুষ তার বাইরে কখনও ভাবতে পারে না, বুঝতে পারে না, কল্পনাও করতে পারে না। তবুও কেন আমরা আমাদের জ্ঞানের বাইরের বিষয়গুলোকে নিয়ে এত টানাটানি করি। অথচ আরো অনেক ফরজ/ওয়াজিব বিষয় আছে যেগুলোর ব্যাপারে স্পষ্ট দিক নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও কিন্তু আমরা সেগুলো বাস্তব জীবনে প্র্যাক্টিস করার ক্ষেত্রে অনেকটা শুন্যের কোটায়। জীবনের বর্তমান সময়ের করনীয় কাজ বাদ দিয়ে (নিজের জ্ঞানের আওতার বাইরে থাকা) ভবিষ্যত নিয়ে বিতর্ক!! এর কোন মানেহয়?
যথার্থই বলেছেন। আমরা কেনো এ সীমিত জ্ঞান নিয়ে বাড়াবাড়ি করছি?
আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়াতা'আলা আপনার বাস্তব জীবনকে কুর'আন ও হাদীসের দিক নির্দেশনার বাস্তব রুপ হিসেবে কবুল করে নিন। আমীন।
আপনার সুন্দর দোয়ায় আমীন!
আমার আজকে শুধু মনখারাপের ইমো আসছে আমার কিছু করার নাই
মন ভালো হলে আবার আসবো হেসে কমেন্ট করে যাবে ইনশাআল্লহা
তবে আমার মতে জ্ঞান অর্জন করা সকলের জরুরী কেননা সঠিক জ্ঞান থাকলে হয়তো অনেকে বিপথে পড়তো না।
যদি কেউ বলে যে, আল্লাহ যা দিবেন বলেছেন তা তো দিবেনই, কেননা আমি তো তাঁকে বিশ্বাস করি। মূলতঃ ইচ্ছায় হোক অনিচ্ছায় হোক বিশ্বাস করতে হবে কিন্তু তিনি যা দেবার তাতো দিবেনই, বলে যদি আমরা বসে থাকি। তাহলে সেক্ষেত্রে আল্লাহর ওয়াদা বাস্তবায়নে আমরা তাঁকে পরীক্ষা করলাম। সৃষ্টি কখনও স্রষ্টার পরীক্ষা নিতে পারেনা।
যদি বলি, আল্লাহর উপর আস্তা রেখে আমরা অপেক্ষায় থাকব, কোন ভেজালে যেতে চাইনা। তাহলে ইসলামের ভাষায় তাকেই বৈরাগ্যবাদ বলে। আর বৈরাগ্যবাদ বর্জনীয়।
আমাদেরকে অবশ্যই জানতে হবে:
আল্লাহ আমাদেরকে কি দেবেন? এবং
কেন দেবেন?
কি দেবেন সেটা নিয়েই এত ঝামেলা, যেটা আপনি উল্লেখ করেছেন। সেখানে ইসলাম নিয়ে কষে গালাগালি করা হল, অনেকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে, পোষ্টটি ব্যান করার আবদার করল। দরকার ছিল কোন বিজ্ঞ আলেম এসে সেখানে উত্তর দিক! উপায় না পেয়ে আমি আমার যৎসামান্য এলেম নিয়ে ঝাপিয়ে পড়েছি, যদিও আমি আলেম নই। আমার পোষ্টটি এখানে: জান্নাতের নারী, হুর ও গেলমান! এগারটি প্রশ্নের খোলা উত্তর
আল্লাহ কেন দিবেন এর উত্তর যদি দেখি তাহলে দেখব:
কেয়ামতের দিন আল্লাহ যদি সকল মানুষের উপর সুবিচার করেন, তাহলে পুরো মানবজাতিই জাহান্নামে যাবে। আর আল্লাহ যদি কারো উপর দয়া করেন তাহলে তিনি জান্নাতে যাবে। আর আল্লাহর দয়া পাবার মানদন্ড ইসলামের জ্ঞান, বুঝানোর দক্ষতা, এবাদতে পারদর্শীতার উপর নির্ভর করেনা। একজন ইমানদারের জন্য সেটা নির্ভর করে খোদায়ী গুণ অর্জনের মাধ্যমে। সে সব খোদায়ী গুন হল ক্ষমা, উদারতা, দয়া, উত্তম চরিত্র, খোঁটা না দেওয়া, গীবত না করা, উপহাস পরিত্যাগ করা, গর্ব-অহংকার না করা, লোভ না করা, কথা দিয়ে কষ্ট না দেওয়া, ইত্যাদি।
উপরোক্ত গুনাবলী না থাকলে সে দুনিয়া বিখ্যাত যত বড় আলেম আর ফকীহ হোক না কেন জান্নাতের ধারে কাছেও তার অবস্থান হবেনা।
আবু বকর (রাঃ) কে সকল মুমীনের চেয়ে সেরা ইমানদার বলার কারণ ছিল:
তাঁর সামনে কেউ আল্লাহর সমালোচনা তথা আল্লাহর ওয়াদা, বানী, উপদেশকে কটাক্ষ করে চলে যেতে পারত না। তিনি সেটার গঠনমূলক প্রতিবাদ করতেন এবং আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্বকে উপরে রাখার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতেন। তিনি আজীবন এই ব্যাপারে কঠোর ছিলেন। জাকাত পরিশোধ করবেন না বলে ঘোষনা দেওয়াতে তিনি শিশু ইসলামী রাষ্ট্রের শুরুতে, সবার অনিচ্ছা স্বত্বেও মরনঘাতি বাহিনী প্রেরণ করেছেন। এটা সেই ইমানী দৃঢ়তার কারণে হয়েছিল।
সুতরাং আল্লাহ সর্ম্পকে কোন কথা বললে সেটা শুনে চুপ মেরে থাকার সুযোগ নাই। যদি উত্তর দিতে না পারি চুপ থাকব কিন্তু এই কথা বলব না যে, এত কথায় মন দিয়ে কি লাভ কি আল্লাহ তো তাঁর কথা রাখবেন।
আল্লাহ জান্নাত দিবেন বলেছেন, তারপরও মানুষ জান্নাতের নাম ধরে মোনাজাত করে। জান্নাতের সুখ সাচ্ছন্দ্যের কথা জানতে পেরে নবীদের মত মহান মানুষেরাও জান্নাতের লোভ করেছেন। সুতরাং আল্লাহ দিবেন বলেছেন আমি আমি আমার আখাঙ্ক্ষা জানাব না এমন যেন না হয়। আবার আমার ইচ্ছাকে কেউ কটাক্ষ করলে তাকে কিনা তর্কে ছেড়ে দিব এমনও যাতে না হয়। তার সাথে দৃঢ়ভাবে তর্ক না করার অর্থই হল, আমি যে ইচ্ছাটি পোষণ করি সেটাতে দুদোল্যমানতা রয়েছে। তাছাড়া বান্দারা আল্লাহর ভাল বিষয় নিয়ে তর্কাতর্কি করলে আল্লাহ নিজেও খুশী হয়।
আমার মন্তব্য দ্বারা আপনাকে আক্রমণ করছিনা, আপনি আমি মুমীন তাই মুমীনের কামনা বাসনা এক। হয়ত প্রকাশভঙ্গী ভিন্ন। এটা লিখালিখির খোলা ময়দান বলে আমিও দুটি কথা যোগ করার সুযোগ নিলাম। আল্লাহ আপনাকে আমাকে সবাইকে জ্ঞান বাড়িয়ে দিক এবং সকল প্রশ্নের তথ্য ভিত্তিক উত্তর দেবার যোগ্যতা দিক। আমীন, অনেক ধন্যবাদ
হাদীসে আছে;
আবু হোরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: মহান আল্লাহ রাববুল আলামীন এরশাদ করেন,
"আমি আমার নেক বান্দাদের জন্য এমন নেয়ামত তৈরি করে রেখেছি, যা কোনো চক্ষু দেখে নি, কোনো কান শোনে নি এবং এমনকি কোনো মানুষ তা কল্পনাও করতে পারে না। এরপর তিনি বলেন, যদি তোমরা চাও, তাহলে নিম্নোক্ত আয়াতটি পড়ো। যার অর্থ হলো: "কেউ জানে না, তার জন্য কি কি নয়নাভিরাম বিনিময় লুকায়িত আছে"। বুখারী
জ্ঞানে-গুণে বয়সে আপনার চেয়ে আমি অনেক ছোট। আশা করি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
আমার ব্লগে এসে গঠনমূলক মন্তব্যটি রেখে যাওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
যিনি যা যারা ইসলামের নামে কুৎসা রটাচ্ছে, তারা সংখ্যায় কম তবে সংঘটিত। এদের কাছে কোন উত্তর নাই, আছে শুধু মুষ্টিমেয় কিছু প্রশ্ন। এসব প্রশ্নের উত্তর আমরা একটু চেষ্টা করলে পেতে পারি এবং যুতসই উত্তর দিতে পারি। আর সেটা দরকার এই কারণে যে, তারা আল্লাহকে গালাগালিতে যত পটু, আমরা আল্লাহকে ভালবাসায় তত উদাসীন। আল্লাকে ভালবাসার অন্যতম শর্ত হল, তাঁকে যাতে কেউ গালি দিয়ে আমার আপনার মত কলম যোদ্ধার আক্রমন থেকে নিস্তার না পায়।
আপনার বয়স যেহেতু আমার চেয়ে ছোট, তাহলে আপনার জন্য সোনালী দিন অপেক্ষা করছে, বেশী বেশী করে ইসলামী ইতিহাস, সাহিত্য ও সংস্কৃতি নিয়ে গবেষনা করুন। আপনি হয়ে উঠতে পারবেন আগামী দিনের ইসলামী মুল্যবোধের নকিব। আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ, আপনার জন্য প্রাণভরা দোয়া রইল।
আপনার দোয়ায় আমীন।
আপনার প্রাণভরা দুয়া পেয়ে অত্যন্ত খুশী হলাম। জাযাকাল্লাহু খাইরান।
তবুও বলি;-আল্লাহ মানুষকে তার উপাসণা করার জন্যই সৃষ্টি করেছেন আর তারই প্রতিনিধিত্ব অর্থাৎ তারই ইচ্ছার বাস্তবায়ণ করতে দুনিয়ায় পাঠিয়ছেন৷ তাহলে আমাদের মূল দায়ীত্ব কর্তব্য দুইটা, তার উপাসনা নবীর দেখানো পথে আর তার আইন নিয়ম তার দুনিয়ায় বাস্তবায়ণ করা৷ আমি আমার সাধ্যমত তা করে যাব, দিনের শেষে মালিক আমার ঘাম শুকানোর আগেই আমার প্রাপ্য মজুরী দেবেন৷ কেননা তিনি ওয়াদা খেলাফ করেন না৷ মনে রাখতে হবে আমাদের কাজ ফিক্স রেটে নয়, বরং যে যত বেশী প্রোডাক্শণ দেবে সে তত বেশী মজুরী পাবে৷
৷হজরত রাবেয়া বসরীর রঃ এর জীবনীতে পড়েছিলাম, তিনি একদিন এক হাতে পানির পাত্র অন্য হাতে আগুনের মশাল নিয়ে রাস্তায় হেঁটে বললেন; 'যারা জান্নাতের লোভে আল্লাহর ইবাদত করে, তাদের জান্নাতে আমি আগুন লাগিয়ে দেব আর যারা দোজখের ভয়ে আল্লাহর ইবাদত করে তাদের দোজখে আমি পানি ঢেলে দেব'৷ বাহ্যিক বিষয়টি যাইহোক তাঁর এ কাজের উদ্দেশ্য হল জান্নাতের লোভেও নয় আর দোজখের ভয়েও নয়, আল্লাহর ভয়ে আর তার আদেশেই তার ইবাদত করতে হবে৷ এটাই পবিত্র আপা ও বলেছেন৷ সকলকে ধন্যবাদ৷
আল্লাহ সকলকে বুঝে শুনে প্রকৃত আমল করে তাঁর সন্তুষ্টি লাভের ব্যবস্থা করে দিন এ দোয়া করি।
আপু এত্তোদিন পর আপনাকে দেখে ভীষণ খুশী হলাম। ভালো আছেন তো আপু? আশা করি আমাদেরকে আর ছেড়ে চলে যাবেন নাহ্!
কিছু জানতে পারলাম
মন্তব্য করতে লগইন করুন