স্ত্রীর যেসব গুণাবলীর কারণে স্বামীরা তাদেরকে ভালবাসেন
লিখেছেন লিখেছেন পবিত্র ০২ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৭:৫১:৪১ সন্ধ্যা
জীবন সঙ্গিনী একজন পুরুষের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। উত্তম স্ত্রী যিনি জীবনে পান, তিনি একজন ভাগ্যবান পুরুষ। তেমনি একজন স্ত্রীর কাছে যিনি ভালো স্বামী তিনিই প্রকৃত উত্তম চরিত্রের মানুষ। একজন সফল ব্যক্তির পাশে থাকেন তার সুযোগ্য সহযোদ্ধা,সহযাত্রী, বন্ধু হিসেবে তার স্ত্রী।
সৎ এবং চরিত্রবান স্ত্রী একজন পুরুষের জন্য এই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ। একজন অসাধারণ জীবনসঙ্গিনীর অনেক উত্তম গুণাবলী হতে পারে,
তার মধ্যে কয়েকটি হলো:
১) স্বামী বাইরে থেকে ফিরলে সম্ভব হলে দরজাটা নিজেই খুলে দেন, একটি হাসি উপহার দিয়ে দু’জনের মাঝে শান্তিময় পরিবেশ সৃষ্টির জন্য আল্লাহর কাছে দু’আ চেয়ে তাকে বলেন, “আসসালামু আলাইকুম।”
২) তার জীবনসঙ্গী কাজ শেষে বাসায় ফেরার পর তাকে ফ্রেশ হয়ে নিতে প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো এগিয়ে দিন। একটু কষ্ট করে তার জন্য সময়মত খাবারটি পরিবেশন করেন। সুসংবাদটি তাড়াতাড়ি জানান এবং খারাপ সংবাদ থাকলে একটু সময় নিয়ে তারপর বলেন।
৩) স্বামীর নির্দেশনাগুলো শোনেন এবং সাধ্যমত চেষ্টা করেন যেন তাকে সন্তুষ্ট রাখা যায়। কোন বিষয় নিয়ে স্বামীকে কখনো চাপে রাখেন না বরং তার মনে শান্তি দেয়ার চেষ্টা করেন।
৪) যদি তার জীবনসঙ্গী মানুষটা কখনো তাকে কষ্ট বা আঘাত দিয়ে ফেলে, তিনি নিজেকে শান্ত রাখেন। খেপে যান না কেননা তিনি ধরেই নেন হয়ত তাকে ইচ্ছাকৃতভাবে কষ্ট দিতে চাননি, অসতর্কতায় এমনটি হয়ে গেছে।
৫) জীবনসঙ্গীর ছোট ছোট ভুলগুলো তিনি এড়িয়ে যান এবং তার ভালো কাজগুলোকে উৎসাহিত করেন। তার পরিশ্রমের কাজগুলোর ব্যাপারে প্রশংসা করেন।
৬) নিজেকে পরিপাটি ও সুন্দর করে উপস্থাপন করেন স্বামীর সামনে যা তিনি অন্য কারো সামনে, কারো জন্য করেন না। সম্ভব হলে সুগন্ধি ব্যবহার করেন।
৭) সৌহার্দ্যপূর্ণ ভালোবাসার গলায় জীবনসঙ্গীর সাথে কথা বলেন। এই কোমল সুরে তিনি অন্য কোন পুরুষের সাথে কখনো কথা বলেন না। যাদের বিয়ে করা নিষিদ্ধ নয় এমন পুরুষদের সাথে যথাসম্ভব কোমলতাহীন কন্ঠে এবং সাধ্যমতন সংক্ষিপ্তভাবে কথা বলাই ইসলামের শিক্ষা।
৮) তার স্বামীর আয় থেকে অতিরিক্ত ব্যয় করেন না, অবর্তমানে তিনি তার সংসারের সবকিছু এমনভাবে দেখভাল করেন যেন স্বামীর অপছন্দের কিছু না ঘটে।
৯) জীবনসঙ্গী যখন খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যায়, তিনি তার পাশে থাকেন, ধৈর্যধারণ আর সদুপদেশ দিয়ে তাকে ধীরস্থির হয়ে সময় কাটিয়ে ওঠার পথে সাহায্য করেন।
১০) স্বামী তার প্রতি সঠিক আচরণ না করলেও ধৈর্য ধরেন, চেষ্টা করেন তাকে উত্তম উপায়ে তার প্রত্যুত্তর দিতে।
১১) শালীনতা রেখে উত্তম পোশাক পরেন যাতে কেননা পোশাকে রুচিবোধ ফুটে ওঠে। ঈমানের সাথে লজ্জার সম্পর্ক খুবই গভীর। যিনি যত বেশি ঈমানের অধিকারী/অধিকারিণী তার লজ্জাবোধ তত বেশি। একজন উত্তম মুসলিমাহ এসব বিষয়ে সচেতন দৃষ্টি রাখেন।
১২) সন্তানদের ইসলামিক জ্ঞানে বড় করে তুলতে সামর্থ্যের সর্বোচ্চটুকু করেন। নিজেও আন্তরিকভাবে ইসলাম সম্পর্কে শেখেন এবং স্বামী-স্ত্রী দু’জনে মিলে জীবনে ইসলামকে মেনে চলেন। বাবা-মায়ের আচরণ সন্তানদের প্রভাবিত করে, তাই বাবা-মায়েরা নিজেরাও সচেতন থাকেন নিজেদের ব্যক্তিগত চরিত্র, স্বভাব এবং আচরণ নিয়ে।
সংগৃহীত
স্বামীর যেসব গুণাবলীর কারণে স্ত্রীরা তাদেরকে ভালোবাসেন!
বিষয়: বিবিধ
২০৮৭ বার পঠিত, ৬৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সুতরাং নিজেকে যতটা ও যের্কোম ভালো করা যায় - তার চেয়েও ভালোই জুটবে আমাদের, ইনশাআল্লাহ! সুন্দর ও জীবনঘনিষ্ট আলোচনার জন্য ওন্নেক শুকরিয়া পবিত্রজ্বি আপনাকে...
সুন্দর নকলের জন্য জাজাকাল্লাহু খায়রান।
আমি ওকে খুব ভালোবাসি আল্লাহর জন্য।
আল্লাহ ওকে সুস্থ রাখুন আমীন।
তবে ওকে একটা বউ দিতে পারলে খুব উপকার হতো এই কমেন্টস দেখলেই হাতুড়ি নিয়ে আসবে
শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
সুতরাং নিজেকে যতটা ও যের্কোম ভালো করা যায় - তার চেয়েও ভালোই জুটবে আমাদের, ইনশাআল্লাহ!
সুতরাং নিজেকে যতটা ও যের্কোম ভালো করা যায় - তার চেয়েও ভালোই জুটবে আমাদের, ইনশাআল্লাহ!
আশা করি আপনারা এ পোষ্টের দিকেও একটু নজর দিবেন! স্বামীর যেসব গুণাবলীর কারণে স্ত্রীরা তাদেরকে ভালোবাসেন!
ফেরআউনের স্ত্রী ছিলেন আছিয়া (রাঃ) আর লুত (আঃ) এর স্ত্রী ছিলেন একজন কাফের। তাহলে কি বলবেন?
যেমন শ্বাশুড়ি/ননদিনি ইটিসি ইটিসি।
নাকি পোষ্টটি একান্তই আপুদের পড়ার জন্য।
বিশেষ করে ১৮- রা!!
মন্তব্য করতে লগইন করুন