রমযান-আলোচনা: পবিত্রতা
লিখেছেন লিখেছেন পবিত্র ৩০ জুন, ২০১৪, ০২:১৮:১১ দুপুর
দ্বীন ইসলামের সর্ব প্রথম পাঠ হলো পবিত্রতার পাঠ। যখন কোন অমুসলিম ইসলামে দীক্ষিত হয়, তখন সর্ব প্রথম তাকে গোসল করে পবিত্র হতে হয় অতঃপর কালেমা শাহাদাৎ পড়ে মুসলমান হতে হয়।
পবিত্রতা ঈমানের অঙ্গ। ইসলাম পবিত্রতা ও পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার উপর খুব বেশী গুরুত্বারোপ করেছে।
ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রুকন নামাজের চাবি পবিত্রতা। নামাজের জন্য রাসূল (সাঃ) শরীর, পোষাক এবং স্থানের পবিত্রতাকে মৌলিক শর্ত নির্ধারণ করেছেন। কিন্তু তা সত্বেও প্রত্যেক নামাজের পূর্বে অযু করার বিধান, অযু অবস্থায় থাকলেও পূণরায় অযু করা এবং প্রত্যেক অযুর সাথে মিসওয়াক করার উৎসাহ প্রদান, বিভিন্ন কারণে অযু ভাঙ্গলে অযুর আদেশ ইত্যাদি সব বিধান মুসলিমকে পবিত্রতা সম্পর্কে সচেতন করে তুলে তা নয়, বরং প্রত্যেক মুসলিমের অন্তরে পবিত্রতার এমন একটি ধারণা সৃষ্টি করে, মুসলমানেরা অন্য অবস্থাপেক্ষা পাক-পবিত্র থাকাবস্থায় স্ব স্ব শরীর ও আত্মাকে অতুলনীয় ও সর্বোত্তম মনে করে।
পানি পাওয়া না গেলে মাটি দ্বারা তায়াম্মুম করার অনুমতি দিয়ে মানসিক ভাবে পাক-পবিত্রতার সেই ধ্যান-ধারণাকে অক্ষুন্ন রাখা হয়েছে যা আল্লাহর কাছে উপস্থিতির জন্য জরুরী।
প্রত্যেক নামাজের পূর্বে অযু করার প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেছেন: আল্লাহ তোমাদের অসুবিধায় ফেলতে চান না, কিন্তু তোমাদেরকে পবিত্র রাখতে চান এবং তোমাদের প্রতি স্বীয় নেয়ামত পূর্ণ করতে চান, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর। (মায়েদা:৬)
হাদীসে বর্ণিত আছে, মদীনা শরীফের নিকটবর্তী গ্রাম কুবার লোকজন নামাজের জন্য পবিত্রতাকে খুব গুরুত্ব দিতেন। ফলে আল্লাহ তাআলা কুরআন মজীদে তাদের প্রশংসা করেছেন এভাবে: সেখানে রয়েছে এমন লোক যারা পবিত্রতাকে ভালোবাসে। আর আল্লাহ পবিত্র লোকদের ভালোবাসেন।
রাসূল (সাঃ) এর কাছে দ্বিতীয়বার অহী নাযিল হলে, তখন নবুয়াতের দায়িত্বভার আদায়ের যে সকল উপদেশ দেয়া হয়েছিল, তার মধ্যে একটি ছিল;
আপন পোষাক পবিত্র করুন এবং অপবিত্রতা থেকে দুরে থাকুন। (আল-মুদ্দাস্সির: ৪,৫)
ইসলামের অধিকাংশ ইবাদত পবিত্রতার উপর সীমাবদ্ধ। আত্মার পবিত্রতা এবং শরীর ও পোষাকের পবিত্রতা উভয়ই আবশ্যকীয়। রাসূল (সাঃ) পবিত্রতা ও পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার এতটুকু গুরুত্ব প্রদান করতেন, সফরেও মৌলিক প্রয়োজনীয় বস্তুসমূহ যেমন; তৈল, চিরুনী, সুরমা, কাঁচি, মিসওয়াক ও আয়না ইত্যাদি সাথে সাথে রাখতেন।
প্রত্যেক নামাজের জন্য মিসওয়াক করা তাঁর পবিত্র অভ্যাস ছিল। আয়িশা (রাঃ) বলেন: রাসূল (সাঃ) যখন ঘুম থেকে উঠতেন তখন প্রথমে মিসওয়াক করতেন, যখন বাহির থেকে ঘরে প্রবেশ করতেন তখনও প্রথমে মিসওয়াক করতেন, এমনকি পবিত্র জীবনের শেষ কাজটুকুও ছিল মিসওয়াক করা।
মোদ্দা কথা হলো, পবিত্রতা ও পরিচ্ছন্নতার যে শিক্ষা ইসলাম দান করেছে, তা অনেক বড় একটি নেয়ামত। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন নিজেও পবিত্র এবং তাঁর জান্নাতও পবিত্রস্থান। অতএব তাঁর এ পবিত্রস্থানের উপযোগী হবেন শুধু তাঁরাই, যারা ভেতরে-বাহিরে উভয় দিক দিয়ে নিজেকে পবিত্র করতে সক্ষম হয়েছে। এ জন্যেই আল্লাহ তাআলা বলেছেন: নিশ্চয়ই আল্লাহ তাওবাকারী এবং যারা অপবিত্রতা থেকে বেঁচে থাকে তাদেরকে পছন্দ করেন। (সূরা-বাক্বারা: ২২২)
সবাইকে রমাদানের শুভেচ্ছা!!
সবার জন্য আমার পক্ষ থেকে সামান্য ইফতার:
বিষয়: বিবিধ
২৮৩০ বার পঠিত, ৬৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
একদল কুলুপের ব্যাপারে মাত্রাতিরিক্ত কঠোর,
আর আরেকদল এব্যাপারে প্রায় উদাসীনের মতোই!
অথচ শুধু পেশাব থেকে পবিত্র না থাকার কারণে কবরের আযাব হওয়ার সুস্পষ্ট এবং সহীহ হাদীস রয়েছে! এসব ক্ষেত্রে আমাদের সবারই মানসম্পন্ন আল্লাহভীতি প্লাস বাস্তবমুখী ও নিজস্ব পছন্দ কিংবা এক্সট্রিম চিন্তামুক্ত হওয়া উচিত!
রমাদান মোবারক!!
রমাদান মোবারক!!
অসংখ্য ধন্যবাদ! রমাদান মোবারক!!
সুন্দর মন্তব্যটির জন্য ধন্যবাদ।
আমাদের জন্য দোআ করবেন।
সফল হলো না ব্লগ মডারেটরদের খাম-খেয়ালির কারনে।
আলহামদুলিল্লাহ্!
ব্লগের এতো জ্ঞানী-গুণীদের ভিড়ে আমার নামটি দেখে ভয়ও হয়েছিল অনেক! আপনার মন্তব্যে তা কিছুটা কম হলো, যদিও উনাদের মান-সম্মত লিখার সামনে আমারটা কিছুই না!
ইসলাম পবিত্রতার উপর অনেক গুরুত্ব আরোপ করেছে। তবে আমাদের দেশে এটি নিয়ে বাড়াবাড়ি লক্ষ্যণীয়। যেমনঃ প্রস্রাব করে লজ্জাস্থানে ঢিলা নিয়ে দৃষ্টিকটুভাবে ৪০ কদম হাঁটাহাঁটি করা, ঢিলা কুলুখ নিয়ে বাড়াবাড়ি রকম কথাবার্তা- যেগুলো মোটেও ইসলামসম্মত নয়।
প্রকৃতপক্ষে পানিই উত্তম পরিষ্কারক।
রমাদান মোবারক!!
অনেক অনেক ধন্যবাদ!
রমাদান মোবারক!!
অনেক অনেক ধন্যবাদ!
রমাদান মোবারক!!
জাযাকাল্লাহ খাইরান
রমাদান মোবারক!!
রমাদান মোবারক!!
রমাদান মোবারক!!
আলহামদুলিল্লাহ্। চমৎকার আলোচনা হয়েছে। জাজাকাল্লাহু খাইরান।
রমাদান মোবারক!!
রমাদান মোবারক!!
রমাদান মোবারক!!
রমাদান মোবারক!!
রমাদান মোবারক!!
রমাদান মোবারক!!
খুব ভালো লাগলো পবিত্রাপু নাম যেমন পোষ্ট সেমন।
জাজাকাল্লাহ।
.
তা কবে আসবো
আপাতত ব্লগে ছবি দেখেই খেয়েছেন মনে করেন!
আপুমনি - আপনার টুডেব্লগর কয়েকটা পোস্ট লাইটহাউজে দিয়ে রাখলে সুন্দর হতো মনেহয়।
পবিত্র, এইটা খুব পছন্দ হইচৈ....রমযানতো শেষ একটা পাঠায়দেন পার্সেল করে...তবে হারিকেন যেন না জানে....সাবধান হারিকেন থেকে.
হারিকেন থেকে সাবধান হতে হপে না.... হারিকেন কারও ক্ষতি করে না।
মন্তব্য করতে লগইন করুন