[b] রমাদান সম্পর্কে সমাজে প্রচলিত কতিপয় জাল ও দূর্বল হাদীস[/b]
লিখেছেন লিখেছেন পবিত্র ১৯ জুন, ২০১৪, ০১:১১:৫৩ দুপুর
নবী কারীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কথা, কাজ ও সমর্থনকে বলা হয় ‘হাদীস’। আমাদের সমাজে অনেক কথা হাদীস হিসেবে প্রচলিত কিন্তু বাস্তবে সেগুলো হাদীস নয় অন্য কথায় সেগুলো জাল হাদীস।
রমাদান সম্পর্কে আমাদের সমাজে সচরাচর সবার মুখে শুনা যায়, এমন কিছু জাল ও দূর্বল হাদীস;
“তিন ব্যক্তি থেকে খানা পিনার নেয়ামত সমর্কে কোন প্রশ্ন করা হবেনা। প্রথম: ইফতার কারী, দ্বিতীয়: যে সাহরী খায়, তৃতীয়: মেজবান।
তিন ব্যক্তি থেকে কুচরিত্রের হিসাব নেয়া হবেনা। প্রথম: অসুস্থ, দ্বিতীয়: রোযাদার, তৃতীয়: ইনসাফগার বাদশাহ বা শাসক"।
এ হাদীসের সনদে এমন এক ব্যক্তি আছে, যে হাদীস জাল করত।
হে লোকেরা তোমাদের সামনে একটি বড় মোবারক মাস আসতেছে। এতে একটি রাত আছে যা হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। এ মাসের প্রথমে রহমত, মধ্যে মাগফিরাত এবং শেষে জাহান্নাম থেকে মুক্তি...... লম্বা হাদীস।
এ হাদীসের সনদ দূর্বল।
রমাদানের চাঁদ দেখার পর নবী করীম (সাঃ) বলেন: যদি লোকেরা রমাদানের ফজীলত জানত তাহলে সারা বৎসর রমাদান থাকার আশা প্রকাশ করত”।
এহাদীসটি জাল ও বানোয়াট।
"আল্লাহ তাআলা রমাদানের প্রত্যেক রাতে ইফতারের সময় দশ লক্ষ ব্যক্তিকে জাহান্নাম থেকে মুক্তিদান করেন"।
এ হাদীসটি জালও বানোয়াট।
“আল্লাহ তাআলা কেরামান কাতেবীন ফেরেশতাদেরকে আদেশ দিয়েছেন, যেন আছরের পর রোযাদার বান্দাদের কোন গুনাহ না লিখে"।
এ হাদীসের সনদে অনির্ভরযোগ্য একজন বর্ণনা কারী আছে।
"শাবান আমার মাস আর রমাদান আল্লাহর মাস"।
এ হাদীসটি নিতান্তই দূর্বল বা বানোয়াট।
“যখন রমাদানের প্রথম রাত আসে তখন আল্লাহ পাক বেহেশতের দায়িত্বশীল ফেরেস্তা ‘রিদওয়ান’ কে ডাকেন, তখন সে উত্তরে বলে: ইয়া আল্লাহ! আমি উপস্থিত। আল্লাহ তাআলা তাকে বেহেশত খুলে দেয়ার আদেশ দেন এবং জাহান্নামের দায়িত্বশীল ফেরেশতা মালেক কে আদেশ দেন যেন জাহান্নাম বন্ধ রাখে"।
এ হাদীসটি জাল ও বানোয়াট ।
"রমাদানের প্রথম তিন রাতে আল্লাহ তাআলা রোযাদারগণের দিকে দৃষ্টি দেন। আর যখন আল্লাহপাক কোন বান্দার দিকে দৃষ্টি করেন তাকে আযাব দেন না"।
এ হাদীসটি জাল ও বানোয়াট।
সকল মুসলমানের কাছে দ্বীন-ধর্ম তাই, যা আল্লাহ ও রাসূল বলেছেন, অথবা রাসূল (সাঃ) করে দেখিয়েছেন বা অনুমতি প্রদান করেছেন। শুধু মুখে শুনা কথার উপর ভিত্তি না করে হাদীসে রাসূলকেই আমলের ভিত্তি হিসেবে গ্রহণ করতে হবে।
তাই যে কোন হাদীস গ্রহণ করার আগে তা বিশুদ্ধ সূত্রে প্রমাণিত হওয়া অপরিহার্য।
আবু হুরাইরা (রাঃ) বলেন: রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: "মানুষ যা শুনে (যাচাই বাঁছাই ব্যতীত) তাই বর্ণনা করে দেয়া তার মিথ্যুক হওয়ার জন্য যথেষ্ট"। মুসলিম
বিষয়: বিবিধ
১৭৭২ বার পঠিত, ১৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনার ভালো লাগায় প্রীত হলাম! অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
জাযাকাল্লাহ খাইরান কাসীরা!
অথবা আপনার গবেষনা লব্দ কিনা?
সংগৃহীত হলে রেফারেন্স দিলে ভালো হয়।
জাজাকাল্লাহ ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন