" এক ধর্মান্ধ চাষির স্বস্ত্রীক জ্যোৎস্না বিলাশ, বা প্রগতিশীল সেক্স মেশীনের "গল্প"
লিখেছেন লিখেছেন নূর আল আমিন ১৭ অক্টোবর, ২০১৬, ০১:০০:২৭ রাত
"-একদম চুপ থাকবা, কোনো কথা বলবানা।-দুধ রঙা শাড়িটা পড়ো, "আজ" বৃষ্টিতে ভিজবো,
-কি? মাথা নষ্ট? পাগল হইসেন? চাঁন্নিপশর রাইতে বৃষ্টি পাইসেন কই? ভূতে ধরসে?হুঃ হুঃ-করে হেসে জবাব দিল শিরীনে। আজ হাঁসিতে যেনো মাদকতার পরিমাণ বেশীই লাগতেছে। লাগার কথাও। "জোৎস্নায়-জোৎস্নায় একাকার, দর্শক শুধুই আমি, ভোবার মতো নিঃ-শব্দে জোৎস্না খাচ্ছি। আহ!! কত্ত মজাদার এ-পূর্ণ জোৎস্নার স্বাদ।- বিবাহিত মহা-পুরুষরাই স্বাদগুলো অনূভুত করতে পারে ;-)
"হু- পাগল হইসি, ভূতেও ধরসে, যাও শাড়িটা নিয়া আসো, সাবান আর তেল লইয়া আসবা, মাথা ধুইয়া তৈল দিমু হু আমার মাথায় না তোমার- প্যাঁচাল পারবা না, ঘাড় মটকাই দিমু, হ্যা শালটা আনবা-বলে ওকে দ্রুতে রুমে পাঠায়ে। আবার একা, একাই জোৎস্না খাচ্ছিলুম!!
"এখানে নাগরিক যান্ত্রিকতা নেই, পৃথীবী এখানে নিস্তব্দ।- নিঃশ্চুপ!! এখানে জনমানবশূন্য এক নতুন পৃথীবি,পৃথীবির মধ্যে শুধু ১-জোড়া মানব-মানবী দু-জনার মাথার উপর চাঁদ যেনো জোৎস্না হয়ে পাহারা দিচ্ছে। পৃথীবির মধ্যস্থলে দুইটা আসন।এক আসনে বসা রাঁণী, -(শিরীন)- অন্য আসনে বসে রাণীর "চুলে" বিলি কেটে মাথার সম্পুর্ণ চুল ধুয়ে দিচ্ছি। আর যেন হারিয়ে যাচ্ছি অদ্ভুত এক অজানা জগৎয়ে! আনন্দে শিহরিত হচ্ছি বিলিতে বিলিত। হয়তো অনেকেই বলে এগুলো আদ্যিখ্যেতা, নিকুঁচি করি নিন্দুকদের নিন্দার। এখানে আমাদের উঠোন আমাদের পৃথীবি। আমরা রাঁজা-রাঁণী।নিন্দুক দেখার সময় কই? যাক,গে সেসব কথা,ব্যাস! প্রেয়সীর কেশ ধুয়া শেষ-রাঁজা-রাণী জোৎস্না খাবে। রাঁণীর কেশ গুচ্ছে পরম "ভালাবাসাতে রাজা তৈল মাখাবে--হুম!! যাও শাড়িটা পইরা আসো- রাজার হুকুমে রাণী মুচকি হেসে দুধরঙা শাড়ি পরে হাজির! হাসি এখনো মুখে লেগে আছে রাণীর। যদিও রাণী ভয় পাচ্ছে।
-"যদি ভাই-ভাবী উঠে!! আমার খুব ভয় লাগতাছে, লন ঘরে যাইগাঃ-এটা ওর ভয় না লাজুকতা? বুঝতে ভিমড়ি খাচ্ছি। এত্ত কষ্টের পর শেষের ষ্টেজে এসে যদি বলে ভয়!- গ্রাম্য বধুদের যা থাকে আরকি!! লাজুকতা থাকা ভালো, এটাই নারীর মূল সম্পদ, জোৎস্না ছাড়া যেমন চাঁদ হয়না। "লজ্জা" ছাড়া "বেশ্যা" হয় নারী না!
"-কেউই আসবেনা, ভয় পাইওনা।ভাই ভাবী উঠুক, তারাও জোৎস্নার বৃষ্টিতে ভিজুক!! ওইসব বাদ দাও, ঊঠলে ইয়া দৌড়াইয়া ঘরে যামুগা। এখন ঝিম মাইরা বসোতোঃ--আমার "কড়া" জবাবে রাণীর লাজুকতা ভাব কিছুটা কমছে বলে মনে হচ্ছে।, ফ্যাল ফ্যাল দৃষ্টিতে এক নজর তাকিয়ে আসন (চেয়ার)গ্রহণ করল রাঁণী, রবের এক "অপরুপ" সৃষ্টি (চাঁদ)ঊপরে, আরেক সৃষ্টি (অর্ধাঙ্গিনী)-সামনে!! দুই সৃষ্টির তুলনা, দুই সৃষ্টি নিজেই!! দুজনের রুপ দুই হলেও। কম্বিনেশনটা যেন একই,মায়াবিনী! মনহরণী!
"এখানে যান্ত্রিকতা নেই। তাই পৃথীবি ঘুমন্ত। এখানে এক নতুন পৃথীবি (উঠোন) দুধরঙা শাড়িতে "আবৃত" অর্ধাঙ্গিনী যেনো পৃথীবীর জমিনে আমার শষ্যক্ষেত্র, শষ্যক্ষেত্রে আছড়ে পরছে জোৎস্নলোক! আমি তৈল মাখছিনা চুঁলের প্রতি ইঞ্চি ইঞ্চিতে আমি ভালবাসার চাষ করতেছি।-তাড়াতাড়ি বাসায় ফেরা আজ স্বার্থক হয়েছে। আজ জোস্না খাব, আর শষ্যক্ষেত্রে ভালবাসা চাষ করবো, আমিই চাষি, আমার শষ্যক্ষেত, আমার কথা নয়। মহান রবের কথা,
"-তোমাদের স্ত্রীরা হলো তোমাদের জন্য শষ্যক্ষেত্র-(সূরা-বাকারাঃ ২২৩) :-)
"মন ভরে জ্যোৎস্না খাচ্ছি আর ভাবতেছিঃ- ভাগ্যিস!! আমি ধর্মান্ধ। প্রগতিশীল (!) না তাই সময় মত বিয়ে করেছিলাম। হয়তোবা প্রগতিশীল হলে আমিও বলতাম নারীরা সেক্স মেশীন। মন ভরে জ্যোৎস্না খাওয়া হতোনা
বিষয়: বিবিধ
২৫২৬ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন