"সরল চাচার জটিল অঙ্ক"

লিখেছেন লিখেছেন নূর আল আমিন ০৭ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:৩৯:৪০ দুপুর



ঢাকা সিটি কর্পোরেশন দুই ভাগে ভাগ করা।

ক) দক্ষিন খ) উত্তর

দুই অঞ্চলে দুজন মেয়র।

ক) দক্ষিনে সাঈদ খোকন।

খ)উত্তরে আনিসুর রহমান।

দুজন নগর পিতার অধীনে ঢাকাবাসী সন্তানেরা।

পবিত্র ঈদুল আযহা উপোলক্ষে রাজধানীতে পশুর হাট বসেছে মোট ২৩ টি, এর মধ্যে দক্ষিনে ১০টি উত্তরে ৫টি,এবং জেলা প্রশাসনের পক্ষথেকে ৭ টি হাটের অনুমতি দেওয়া হয়েছিলো।

এর বাহিরে গাবতলী স্থায়ী পশুর হাট রয়েছে।

এখন আসুন একটু হিসাব কষে দেখি :-

কোরবানী উপলক্ষে সিটি কর্পোরেশন এর পক্ষ থেকে বিনা মূল্যে পলেথিন দেওয়া হয়,যাতে জবাই কৃত পশুর বর্জ্য ভরে নির্ধারিত স্থানে ফেলানো হয়।

যাতে পরিবেশ দূষিত না হয়।

এই খরচ বহন করে রাষ্ট্র।

আর দায়িত্বে থাকে সিটি কর্পোরেশনের দুই মেয়র।

এবং নানান ভাবে প্রচার প্রচারনা করতে থাকে পশুর বর্জ্য সিটি কর্পোরেশন এর দেওয়া পলিথিনে ভরুন।

বিনা মূল্যে পলিথিন নিন, রাজধানীর যত্ন নিন।

প্রশ্ন এটা না,

আমি গাবতলী হাট থেকে গরু কিনছি, আমার কাছে হাসিল বাবত ৩৫৫০ টাকা নিবে।

কিন্তুু তারা আমার কাছ থেকে ৩৫৭০ টাকা নিছে।

আমি কইলাম আমারে আরো বিশ টাকা দিবেনতো!

উত্তরে তারা আমারে একটা হলুদ পলেথিন ধরাই দিলো আর কইলো বিশ টাকা পলেথিন এর দাম।

পলেথিন টা চেগাইয়া ধইরা ভালোভাবে পড়লাম গায়ে কি লেখা।

দেখলাম বিক্রি জন্য নহে শুধু মাত্র বিনামূল্যে বিতরনের জন্য।

আমি কইলাম ভাই এইডাতো মাগনা দিতাছে সরকার, আপনি টেহা রাখলেন কেরে?

আমারে কয় বেশি প্যাচপ্যাচ না করে যানতো,বেশি কিছু জানতে হইলে দুই মেয়রের কাছে যান।

এবং দেখলাম সবাই ২০টাকা করে দিচ্ছে কি আর করার

আমি চুপচাপ চলে আসলাম।

আসুন আবার একটু হিসাব করি,

সিটি কর্পোরেশন এর হিসাব অনুযায়ী রাজধানীতে এবার মোট আনুমানিক পশু বিক্রি হয়েছে ৪ কোটি।

তাহলে ৪কোটি পলেথিনও বিক্রি হইছে ২০ টাকা দরে।

যার আনুমানিক মূল্য ৮০ কোটি টাকা।

আপনি হয়তো আমার মতন ভেবেছেন ৭০ হাজার টাকা দিয়া গরু কিনছি পলিথিন এর জন্য ২০ টাকা দিতে পারুম না কেনো?

২০ টাকা করে ৪ কোটি পশুর দামে দাড়ায় ৮০ কোটি টাকা।

এই ৮০ কোটি টাকা কার কাছে আছে?

মাননীয় অর্থমন্ত্রীকে আমি সম্মানে চোখে দেখি এবং মানি,তিনি আতিউর রহমানকে উষ্টাইয়া বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বিদায় করছে, কারন রিজার্ভ চুরির কথা না বলাতে।

আমি অর্থমন্ত্রীর কাছে আবেদন করি পলিথিন বেচা ৮০ কোটি টাকার হিসাব নেওয়ার জন্য দুই মেয়রের কাছ থেকে।

কেনো তারা পলিথিন বিতরন না করে বিক্রি করলো?

কেনো বাধ্য করলো বিশ টাকা দিতে?

তারা নগর পিতা হয়ে নগরবাসী সন্তানের উপর কি সঠিক কাজ করছে?

মাননীয় অর্থমন্ত্রী ৮০ কোটি টাকার সাথে ২০ কোটি টাকা যোগ করলে ১০০ কোটি টাকা হয়,যা দিয়া পদ্মা সেতুর শ্রমিক বিল পুরোটা পরিশোধ করা যায় ভালোভাবে।

মাননীয় অর্থমন্ত্রী এই প্রশ্ন বিএনপি পন্থি ইজ্জত আলী বলে করছি না, আমি দেশের একজন সাধারন নাগরিক হিসেবে করছি।

মাননীয় মন্ত্রী আমি শুধু ঢাকার হিসাবের কথা বলেছি, বাংলাদেশে মোট ৬৪ টি জেলা আছে তাদের হিসাব বাদ দিলাম।

ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে ৮০০ কোটি টাকা চুরি করার চাইতে,

বিনামূল্যে বিতরন করা পলিথিন বিক্রি করে ৮০ কোটি টাকা মেরে দেওয়াটা কম না।

৮০০ কোটি টাকা চুরির কথা না বলাতে গভর্নর এর চাকুরী যদি যায়, তাহলে ৮০ কোটি টাকার দুই মেয়রকে কি করা উচিত আপনার।

লেখাসুত্র "ইজ্জত আলী চাচা"

বিষয়: বিবিধ

২২৫৪ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

378407
০৭ অক্টোবর ২০১৬ বিকাল ০৫:৪৬
স্বপন২ লিখেছেন : ভালো লাগলো/
০৭ অক্টোবর ২০১৬ রাত ০৮:০১
313540
নূর আল আমিন লিখেছেন : ধন্যবাদ
378418
০৭ অক্টোবর ২০১৬ রাত ০৮:২৬
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : জনগণের টাকায় শুধু সরকার চলে তা নয়। জনগণের টাকায় গলাবাজিও করে। ধন্যবাদ
১০ অক্টোবর ২০১৬ দুপুর ০৩:২৬
313597
নূর আল আমিন লিখেছেন : "ধন্যবাদ ভাই, আমাদের গা সওয়া হয়ে গেছে
378446
০৮ অক্টোবর ২০১৬ দুপুর ১২:০৮
হতভাগা লিখেছেন : দল চালাতে পাতি খাতি নেতাদের জন্য দৈনিক ফুয়েলের দরকার হয়
১০ অক্টোবর ২০১৬ দুপুর ০৩:২৬
313598
নূর আল আমিন লিখেছেন : কথাসত্য ভাইজান, ধন্যবাদ ভাইজান
378651
১৩ অক্টোবর ২০১৬ দুপুর ১২:২২
আবু নাইম লিখেছেন : আসলেই জটিল হিসাব............. অনেক ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File