ধর্মান্ধ জীবনব্যাবস্থা, বা একটি ফ্রি-সেক্সের গল্প
লিখেছেন লিখেছেন নূর আল আমিন ২১ আগস্ট, ২০১৬, ০১:২৯:৪৮ রাত
"-প্রচণ্ড শক্ত করে ধরেছিলাম শিরীনের হাত, শিকারী বাঁজ পাঁখির মতো, মেঘের বর্ষণের অপেক্ষারত চাতক পাঁখির মতো। যখন আলহামদুলিল্লাহ,,,, কবুল পড়লাম,তখন মনে হচ্ছিল বহু দোসর মরুপথ পেড়িয়ে মিঠা-পানির ঝর্ণা পেয়েছি,, তখন ,অর্ধাঙ্গীনীকে ধরিনি মনে হচ্ছিলো, "পিপাসার্ত" বেদূঈনের মতো "গোগ্রাসে" ঝর্ণার মিঠা-পানী গিলছি!! .
"ভণ্ডামী, দুষ্টুমি, ফাজলামো করে দিনগুলা ভালোই যেতো। রাত হলে একটা হাতের অভাব ফিল করতাম। গভীরভাবে ফিল করতাম একটা আদরমাখা পরশ বুলানো হাত- হয়তো প্রতিটা ব্যাচেলরই "প্রচণ্ড" মিস করে, করবেনা কেন? একাকীত্ব? তা-তো পশুরও পছন্দ না, আমরা মানুষ!!/
"-এখনো স্পষ্ট মনে আছেঃ-বাসরে প্রবেশের লাঁজুক মুখের কিশোরীর হাতটা, বাসরে দুই-রাকাত ,নফল, নামাজ শেষে রবের কাছে কৃতজ্ঞতা স্বীকারের হাত, হাতের স্পর্শে একটি ভণ্ড বাঊণ্ডুলে "জীবনের" সমাপ্তি, শুরু হলো একটি দায়ীত্বশীল জীবন, ,স্পর্শে, স্পর্শে, দিনগুলো ভালোই যাচ্ছিলো।- হঠাৎই চলে গেলো চাকরিটা। এত্ত চিন্তা কিসে? আল্লাহতো আছে- বলা শান্তির ,স্পর্শে, হাতটা অভয় দিলো। ইন্টারভিউর পর ইন্টারভিউ দিচ্ছি,নাহ চাকরি হচ্ছেনা-ঐযে মামা চাচা নাইঃ- দিনগুলা তবুও মন্দ যাচ্ছেনা। ক্লান্ত ভুলে যেতাম, যখন মাথায় ,হাত, রেখে বউ বলতোঃ-আল্লাহ আছে, একটা কিছু হবেই, কিন্তু না হচ্ছেনাঃ এ-যুগে চাকরি শুধু বিশেষ গোত্রের জন্য, আমাদের জন্য না!!/
"সেই ,চিরপরিচিত হাত, হাতে বেশকিছু টাকা,আর গহনা,-নিন ৫০,০০০ আর গহণা ২০,০০০, চলার মত ব্যাবসার "অভাব হবেনা"-বলে হাতটা এগিয়ে দিলো- এগুলা তোমার অর্থ সম্পদ, তোমার হক্ক, তোমার মতো রাখোঃ-, খানিক্ষণ নিশ্চুপ থেকে ওকে জবাব দিলাম!!
"আমার অর্থ! আমার সম্পদ!!, এগুলা ধুইয়া কি পানি খাবো? টাকা ,ফেলে, রাখলে কি ,ডিম, পারবে-? যেখানে আমার সুখ, দুঃখ, সব আপনার কাছে ,জমা, এগুলো এগুলো এমন কি-?
"এবারও প্রচণ্ড হাতটা ধরে, চক্ষুশীতল দৃষ্টিতে চেয়ে ছিলাম ওর চোঁখের দিকে,অধিক খুশীতে নাকি মানুষ স্তব্দ হয়, ভোবা হয়,! কাঁন্নাও আসে, ওর হাতের স্পর্শে তেমনই হয়েছিলাম, "অভয় দেওয়া অর্ধাঙ্গীনীর হাতের স্পর্শে,স্পর্শে স্পর্শে পথ চলা, জীবন চলিতছে ভালই।দিন,ও,রাত গুলোও যাচ্ছে মন্দ না,, :-)
"এখন চলছি, আর ভাবছি: আমিও পারতাম ,সমাজের, ট্রেন্ডেসি গা,য়ে মেখে ধর্মকে দুরে "ঠেলে" প্রেম নামক বিবাহবহির্ভুত ভ্যাবিচারে লিপ্ত হতে!!/ কিংবা সামাজিক ফ্যাশন মেনে পারতাম ,দেনমোহর, ৫০,০০০, না দিয়ে ৫০০,০০০ লিখিয়ে, স্ত্রীকে ,পরিশোধ, না করে ,মাফ চেয়ে, স্ত্রীর কাছে আজীবন নু-পংষক হয়ে থাকতে!!/
"আমাদের ধর্মীয় জীবনব্যাবস্থা আমাদেরকে শিখায়,
"আর তোমরা স্ত্রীদেরকে তাদের মোহর দিয়ে দাও খুশীমনে। তারা যদি খুশী হয়ে তা থেকে অংশ ছেড়ে দেয়, তবে তা তোমরা স্বাচ্ছন্দ্যে ভোগ কর। (সুরা নিসা, আয়াতঃ-৪)
“তোমাদের স্ত্রীরা হল তোমাদের জন্য শষ্যক্ষেত (সুরা বাকারা, ২২৩)
"আর বর্তমান সমাজ ব্যাবস্থা, রাষ্ট্র ব্যাবস্থা শিক্ষা দেয়- ওয়াইফ অনলি ফ্রি, ফ্রি, সেক্স মেশীন, লাভ ইজ নো ক্রাইম, কিশোরীর বিবাহ দন্ডনীয় ,"অপরাধ" তবে কিশোরীদের "ওপেন সেক্স" জৈবিক চাহিদা!!/
বিষয়: সাহিত্য
১৩৭২৬ বার পঠিত, ১৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
০ ফ্যান্টাসটিক ফ্যান্টাসি
অনেক অনেক ধন্যবাদ
মন্তব্য করতে লগইন করুন