পার্বত্য বাচাও বাংলাদেশে বাচাও অখণ্ডতা রক্ষা করো (save cht save bangladesh)
লিখেছেন লিখেছেন নূর আল আমিন ২৩ অক্টোবর, ২০১৪, ১২:৫৭:৪০ দুপুর
ভাই পূর্ব তীমুরের
নাম শুনছেন.... ?
বিশ্বের বৃহত্তম
মুসলিম রাষ্ট্র
ইন্দোনেশিয়ার
যৌক্তিক
সার্বভৌম অঞ্চল
তিমুর দ্বীপের
পূর্বাঞ্চলকে (ইস্ট-
তিমুর) বিচ্ছিন্ন
করে দেয়া হয়।
ইস্ট-তিমুরের এই
বিচ্ছিন্নতার
পেছনে আসলে সাম্রাজ্যবাদী শক্তির
সূক্ষ্ম ষড়যন্ত্র
কাজ
করেছে এবং এখানেও
আদিবাসী,
উপজাতি ইত্যাদি বিষয়কে সামনে নিয়ে এসেছে সর্বনাশা খ্রিস্টবাদী এনজিও
চক্র,
মিশনারি গ্রুপ
এবং তথাকথিত
মানবাধিকার
সংরক্ষণ (Human
Rights Activists)
চক্র। এশিয়ার
উদীয়মান ব্যাঘ্র
(Emerging Tiger of
Asia) ২০
কোটি জনসংখ্যা অধ্যুষিত
মুসলিম রাষ্ট্র
ইন্দোনেশিয়ার
তিমুর দ্বীপের
কাছের দক্ষিণেই
হালকা জনসংখ্যা অধ্যুষিত
শ্বেতাঙ্গ ও
খ্রিস্টান
অধ্যুষিত
অস্ট্রেলিয়াসহ ভূ-
রাজনৈতিক
অবস্থান
এবং অস্ট্রেলিয়া এই
কৌশলগত ও
অবস্থানগত
দুর্বলতাকে চিরতরে দূর
করাতেই
খ্রিস্টবাদী পরাশক্তিসমূহ
জাতিসংঘকে ব্যবহার
করে অত্যন্ত
সুকৌশলে ইন্দোনেশিয়া থেকে পূর্ব
তিমুরকে স্বাধীন
করে দেয়।
রেড ইন্ডিয়ান
জাতির নাম
শুনেছেন.... ?
পৃথিবীর
সবচেয়ে সভ্য
জাতি (!)
মানবধীকারের
জন্য
যারা প্রতিদিন
কাইন্দা প্যান্ট
ভিজিয়ে ফেলে!!
এই
আমেরিকা প্রতিষ্ঠা করার
সময়
এখানে বসবাসরত
কিছু প্রাচীন
মানুষ দেখা যায়।
এইরাই
আমেরিকার
আদিবাসী ছিল।
এই সভ্য
আমেরিকা প্রতিষ্ঠা করতে রেড
ইন্ডিয়ান নামক
আদীবাসীদেরকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
বাকিদের
পিডাইয়া এলাকা ছাড়া করে।
এই রেড ইন্ডিয়ান
জাতি এখন
পৃথিবীতে নাই
বললেই চলে।
আমাদের
উপজাতিদের
নিয়ে নতুন খেলার
কথা শুনেছেন....?
পূর্ব তীমুরের মত
একই
দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বাংলাদেশেও
একই
খ্রিস্টবাদী সাবেক
ঔপনিবেশিক
শক্তিসমূহ তাদের
আধিপত্যবাদী ভূ-
রাজনৈতিক ও
কৌশলগত
স্বার্থকে (Geo-
Political and
Strategical
Interests)
সংরক্ষণ ও
চরিতার্থ করার
জন্য তাদের সেই
কৌশলকে বাস্তবায়িত
করতে চাচ্ছে। এ
জন্য
তারা বেছে নিয়েছে দেশের
এক-দশমাংশ
অঞ্চল পার্বত্য
চট্টগ্রামে বসবাসকারী চাকমা,
মার্মা, ত্রিপুরা,
মগসহ বিভিন্ন
বসতি স্থাপনকারী উপজাতীয়
ক্ষুদ্র
জনগোষ্ঠীগুলোকে।
একই সাথে এই
সাম্রাজ্যবাদী গোষ্ঠী ও
তাদের অর্থপুষ্ট
এনজিও চক্র
বাংলাদেশের
অন্যান্য
অঞ্চলে যেমন :
সিলেটের খাসিয়া,
মণিপুরী,
ময়মনসিংহ ও
টাঙ্গাইলের গারো,
রাজশাহী, রংপুর,
দিনাজপুরের
বনাঞ্চলের কুচ
রাজবংশীয়
বহিরাগত ক্ষুদ্র
জনগোষ্ঠীকে এদেশের
আদিবাসী বলে প্রচার-
প্রপাগাণ
্ডা চালাতে শুরু
করেছে এবং এর
মাধ্যমে এদের এসব
সংশ্লিষ্ট
বৃহদায়তনের
সীমান্তবর্তী অঞ্চলের
ভূমিপুত্র (Son of
the Soil)
বলে প্রতিষ্ঠিত
করার এক হীন
চক্রান্ত
চালিয়ে যাচ্ছে।
অথচ প্রকৃত
বিষয়টা কি....?
নৃতাত্ত্বিক ও
জাতিতাত্ত্বিক
ইতিহাস
বিশ্লেষণে দিবালোকের
মতো সুস্পষ্ট ও
প্রতিষ্ঠিত
যে বাংলাদেশে বসবাসরত
কোনো ক্ষুদ্র
জনগোষ্ঠী এদেশের
আদিবাসী নয়।
বরং তারা পার্শ্ববর্তী কিংবা বিভিন্ন
দূরবর্তী স্থান
থেকে দেশান্তরী হয়ে এদেশের
নানা স্থানে অভিবাসিত
হয়ে ক্রমে স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে বসবাস
করে আসছে।
কিন্তু
কোনোক্রমেই
বাংলাদেশে বসবাসকারী চাকমা,
মারমা, ত্রিপুরা,
গারো,
খাসিয়া কিংবা কুচ
রাজবংশীয়
সাঁওতালরা এদেশের
আদিবাসী হতে পারে না।
বিষয়: বিবিধ
১০৩৪ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
স্থানেই সরকার
অনেক
বাঙ্গালিকে স্থানান্তর
করে খাস
জমি দিয়েছে।
এটা প্রত্যেক সভ্য
দেশ তার নাগরিকদের
অধিকার
হিসেবে দিয়ে থাকে।
সমস্যা হল আপনাদের
কাছে মনে হয়-
পার্বত্য চট্টগ্রাম
বাংলাদেশের নয়,///
লেখাটি খুব
ভালো লাগলো। অনেক
ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা রইলো।/ধন্যবাদ মামুন ভাই শুভেচ্ছা রইলো
ভালো লাগলো পিলাচ/ধন্যবাদ
মন্তব্য করতে লগইন করুন