একটি ভাবনার যবনিকা

লিখেছেন লিখেছেন আযাদ আলাউদ্দিন ১৮ জানুয়ারি, ২০১৪, ০১:১৩:৪৩ দুপুর

তবুও সে চলে গেল

সে পারল রাখতে তারে বন্দী করে

নিজের ঘরের চার দেয়ালের বন্দী শালায়

সে ছেড়ে দিল দায়ভার, তার নিজের অধিকার

যেমন বাংলাদেশে ঘটছে।

তার বয়সটা কিন্তু যে কুড়ি পার হয়েছে তা নয়

তার চলা ফেরায় সে যে উৎশৃঙ্খল তা নয়

তার জন্যে যে বংশের মুখ নীচু তা নয়

সে যে খুর ভারী বোঝা বিদেশে বাবা,

কর্মজীবী ভাইদের জন্যে তাও নয়

তার আশে পাশে বখাটেদের যন্ত্রণার পাত্র,

পথে ঘাটে ইভটিজিং এ কাতর তা নয়।

তার মায়ের অবাধ্য বা বেসামাল তাও না।

সে ছিল লেখাপড়ায় মধ্যস্তরের মেধাবী

আচরণেও ভদ্র যেমনটা থাকা জরুরী

মানসিকতা ও খুব ভাল, একান্ত নিজস্বী

বান্ধবী-মহলেও সে সবার উপর বিজয়ী।

তবে সে পরাজিত তার পরিবারের কাছে

তার লেখাপড়া বন্ধ হল অজানা কারণে

নয় দিনমজুরের মত টাকার অভাবে।

তার বাইরে যাওয়া বন্ধ হল অদৃশ্য প্রভাবে

তবুও সে আগ্রহী পুণরায় ফিরে যেতে স্কুলে

নিজের ভবিষ্যতকে শিক্ষা দিয়ে গড়তে।

কিন্তু না; সে বন্দী এখন ঘর দোর সামলাতে

রান্না-বান্না, বাসন-কোসন পরিস্কারে।

ভাইদের আগমন অপেক্ষার প্রহর গুণে

দারোয়ান কাম পরিচারিকার স্থানে বসে।

এভাবে শুরু হল ঘটক যোগাযোগ ঘন

পাত্রও ঘুরল ক'জন- দু বা তিন

এরই মাঝে পেল ইয়েস কার্ড একজন।

তবে সে দেয়নি; তাকে দিতে হল

কারণ সেতো পরিবারের হাতে বন্দী,

স্বাধীনতাহীন এক সতের বয়সের তরুণী।

এভাবেই হল শেষ তার পুরনো স্বপ্ন বটের

ফেলে দিল মুছে যা কিছু স্মৃতির পাতার।

স্পন্দিত এখন নতুন রিংয়ের ছোঁয়ায়

অপেক্ষা শুধু অনাগ্রহী সে যাত্রার।

এভাবেই শেষ হল একটি আশা একটি স্বপ্ন

বাল্য বিবাহ আর সামাজিক কু-সংস্কার।

বিষয়: বিয়ের গল্প

১২৩১ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

166066
২৩ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৩:৫৩
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : ভালো লাগলো
176092
১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৫:৩৩
181839
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০৩:০৩
নূর আয়েশা সিদ্দিকা জেদ্দা লিখেছেন : ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File