পাচঁটি সুন্দর হাদীস
লিখেছেন লিখেছেন নোমান২৯ ১২ জুন, ২০১৪, ১১:৪২:৫৪ রাত
আসুন এখানে.................................।
অনুবাদ:
________
হযরত আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত।তিনি বলেন,রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন,যে ব্যক্তি আমার উম্মতের মধ্য হতে কারো প্রয়োজন পূরণ করবে,যাতে তার ইচ্ছা যে,সে তাকে সন্তুষ্ট করবে,তবে সে আমাকে সন্তুষ্ট করল। আর যে ব্যক্তি আমাকে সন্তুষ্ট করল,সে ব্যক্তি আল্লাহ তায়ালাকে সন্তুষ্ট করল।যে ব্যক্তি আল্লাহ তায়ালাকে সন্তুষ্ট করল, আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।(বায়হাকী)
ব্যাখ্যামূলক অনুবাদ:
________
মানবসেবা মানবতার ধর্ম ।যে ব্যক্তি মানবসেবা করল সে মহান আল্লাহ'র সেবক হিসেবে পরকালে মর্যাদাপূর্ণ সম্মানের অধিকারী হবে। আলোচ্য হাদীসে আনাস (রাঃ) বলেন,রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন, যে ব্যক্তি আমার উম্মতের যে কারো অভাব মোচন করবে, সে অভাব ইহকালীন হোক কিংবা পরকালীন এবং সে এ উদ্দেশ্যে তার অভাব পূরণ করে যে তাকে সে সন্তুষ্ট করবে,সে যেন আমাকেই সন্তুষ্ট করল।কেননা আমার একজন উম্মতকে সাহায্য করে খুশি করা আমার সমস্ত উম্মতকে খুশি করারই শামিল।সুতরাং তাদের খুশু করালে আমাকেই খুশি করা হয়। এবং আমার সন্তুষ্টিতে আল্লাহ সন্তুষ্ট হন।ফলে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টিই জান্নাতে প্রবেশের উসিলা হবে।তাই সর্বকালে সর্বযুগে মানুষের খেদমত করাই সকলের অবশ্য কর্তব্য।
অনুবাদ:
________
হযরত আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত।তিনি বলেন,রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন,যে ব্যক্তি কোন মযলুমের ফরিয়াদে সাহায্য করবে, আল্লাহ তায়ালা তার জন্য তিয়াত্তরটি মাগফিরাত অবধারিত করবেন।তন্মধ্যে একটি হলো তার পার্থিব সকল কাজের সংশোধনের দায়িত্ব গ্রহণ এবং বাহাত্তরটি দান হলো কেয়ামত দিবসে তার মর্যাদা বৃদ্ধির উপকরণ।(বায়হাকী)
হাদীসের ব্যাখ্যা:
________
মযলুমের সাহায্য করা মহা পুণ্যের কাজ। অপর এক হাদীসে বর্ণনা করা হয়েছে,মযলুম ও এতিমের ফরিয়াদ মহান আল্লাহর দরবারে কবুল হওয়ার মাঝখানে কোন অন্তরায় থাকে না।নির্যাতিত ব্যক্তি সাধারণত দুর্বল ও বিপদগ্রস্ত হয়। আর আল্লাহ তায়ালা দুর্বলের সাহায্য করেন। আলোচ্য হাদীসে আনাস (রাঃ)
বলেন,রাসূল (স) বলেছেন,যে ব্যক্তি নির্যাতিত ও দুর্বল ব্যক্তির
ফরিয়াদ শুনে তার সাহায্য করবে,তার জন্য মহান আল্লাহর
পক্ষ থেকে তিয়াত্তরটি দান অবধারিত রয়েছে।তন্মধ্যে একটি দান তাকে এ দুনিয়াতেই দেয়া হবে।তা হলো এ পার্থিব জগতে তার কাজকর্ম সুচারুরূপে সমধা করে দেবেন।সে নিজেও টের পাবে না যে ,তার এ কাজগুলো কিভাবে সমাধা হয়ে যাচ্ছে। আর অবশিষ্ট বাহাত্তরটি দান তাকে কেয়ামত দিবসে দেয়া হবে। এতে তার মর্যাদা বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে এবং তার জান্নাত লাভের আশা সুগম হবে।
অনুবাদ:
________
হযরত ওকবা ইবনে আমের (রাঃ) হতে বর্ণিত।তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন,কেয়ামত দিবসে সর্বপ্রথম আল্লাহ তায়ালার আদালতে যে ঝগড়ার বিচার হবে,তা হলো দু'জন প্রতিবেশীর ঝগড়ার মামলা।
ব্যাখ্যামূলক অনুবাদ:
________
কেয়ামত দিবসে আল্লাহ তায়ালার দরবারে বান্দাদের পারস্পরিক আচারাচরণ এবং অধিকার সম্পর্কে সর্বপ্রথম যে মামলা পেশ করা হবে ,তা হলো দু'প্রতিবেশীর ঝগড়া।মহান আল্লাহর কালাম এবং রাসূল (স)-এর হাদীসে প্রতিবেশীর সাথে অনুগ্রহ ও সদাচরণ করার তাগিদ করা হয়েছে।তাই অত্র হাদীসে মহানবী(স) বলেছেন,কেয়ামত দিবসে আল্লাহ তায়ালার আদালতে সর্বপ্রথম দু'প্রতিবেশীর ঝগড়ার বিচার করা হবে। অতএব পরকালে মুক্তির জন্য প্রতিবেশীর সাথে সর্বদা সদাচর করা আবশ্যক।
অনুবাদ:
________
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ)হতে বর্ণিত । এক ব্যক্তি নবী করীম (স)- এর কাছে স্বীয় কঠিন হৃদয় সম্পর্কে অভিযোগ করল।রাসূল (স) তাকে প্রতিকার হিসেবে বললেন যে, এতিমের মাথায় হাত বুলাও এবং নি:স্বদেরকে খাবার দাও।
ব্যাখ্যামূলক অনুবাদ:
________
মানুষের অন্তর কাঁচের মতো একটি তরল ও স্বচ্ছ পদার্থ। এটা ভাঙা-গড়া যেমন গ্রহণ করে,তেমনি এতে কঠোরতা এবং কোমলতাও প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।ঠিক এমন এক ব্যাপারে একদিন জনৈক ব্যক্তি এসে রাসূলুল্লাহ (স)-কে বলল, আমার অন্তর কঠিন হয়ে গেছে এবং আমার কারো প্রতি দয়া বা অনুগ্রহ জন্মে না। তার কথা শুনে রাসূল (স) বললেন, এতিম তথা অনাথ বাচ্চাদের মাথায় অনুগ্রহের হাত বুলাও এবং নি:স্বদেরকে খাবার দাও। এতে তোমার অন্তরের কঠোরতা দূর হয়ে যাবে।
অনুবাদ:
________
হযরত সুরাকা ইবনে মালেক (রাঃ) হতে বর্ণিত ।তিনি বলেন,নবী করীম (স) বলেছেন, আমি কি তোমাদেরকে উত্তম সদকা সম্পর্কে অবহিত করব না? এটা তোমার ঐ কন্যার প্রতি সদকা করা,যাকে তোমার দিকে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে, আর তুমি ছাড়া তার কোন উপার্জনশীল নেই।( ইবনে মাজাহ)
ব্যাখ্যামূলক অনুবাদ:
________
নিজের সন্তানের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া এবং তাদের ভরণপোষণের জন্য যা কিছু ব্যয় করা হয়,সেগুলোকে সদকা বলা হয়েছে।মেয়েরা পুরুষের তুলনায় খুব বেশী অসহায়।কারণ সে তার পিতামাতার প্রতি বেশী মুখাপেক্ষী। আলোচ্য হাদীসে হযরত মালেক ইবনে সুরাকা (রাঃ) বলেন,মহানবী (স) বলেছেন, আমি কি তোমাদেরকে উত্তম সদকা সম্পর্কে বলব না ? অবশ্যই বলব তা হলো তোমাদের সে কন্যার সাথে সদাচরণ কর,যার স্বামী মারা যাওয়ার পর সে তোমার নিকট ফিরে এসেছে। এখন সে অসহায় এবং তুমি ব্যতীত তার উপার্জনশীল কেউ নেই,তোমার মুখের দিকেই সে চেয়ে থাকে। এমন কন্যার প্রতি খরচ করা সর্বোত্তম সদকা।
আসুন এখানে.................................।
বিষয়: বিবিধ
১৪৬৩ বার পঠিত, ৩৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
Thanks .
ধন্যবাদ ভাইয়া ।
হাদিস সংকলনের সুত্র দিলে আরো ভাল হতো।
ভাইয়া আমার কাছে তো কোনো হাদীস গ্রন্থ নাই । এই হাদীসসমূহের উতস দাখিল ও আলিম মাদ্রাসা টেকস্টবুকস্ ।
ধন্যবাদ ভাইয়া ।
ধন্যবাদ ভাইয়া ।
অন্নেক ধন্যবাদ ভাইয়া ।
অন্নেক শুবরিয়া।
অন্নেক ধন্যবাদ ভাইয়া ।
তুমি যদি মন্তব্য এর ঘরে উপ্রে ফাঁকা রেখে নিচে মন্তব্য টাইপ করো আমি আর মন্তব্য করবো না...... কইলাম... আমার খুব অস্বস্তি লাগে ঐ স্টাইলটা দেখতে
হুমম.... আসলেই এটা অস্বস্তিকর ব্যাপার!! তবে ফাঁকার দূরত্বটা আগের চেয়ে কমে এসেছে মনে হয়!!!
একারণেই কি এই নিকের লেখাগুলোতে কম আসা হয়? @সুপাহা
কে ন?
এবার আমার এ লেখাটা আর ন্যাংটা লাগছে না ।
সবার জন্য আজকে দোয়া করবেন । করবেন কি ?
খুবই গুরুত্বপুর্ন কতগুলো হাদিস বললেন। ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন