তিনটি সুন্দর হাদীস
লিখেছেন লিখেছেন নোমান২৯ ০৯ জুন, ২০১৪, ০৫:৪৭:০২ বিকাল
For More..................
অনুবাদঃ
________
হযরত মুয়ায ইবনে জাবাল (রাঃ) হতে বর্ণিত।তিনি বলেন,রাসূলুল্লাহ (স) ইরশাদ করেছেন,নিশ্চয়ই শয়তান মেষপালের নেকড়ে বাঘের ন্যায় মানুষের জন্য নেকড়ে বাঘ স্বরূপ।বাঘ দলবিচ্ছিন্ন ও খাদ্যের সন্ধানে দূরে অবস্থানকারী মেষ ও যে মেষ অলসতাবশত এক প্রান্তে পড়ে থাকে তাকে ছোঁ মেরে উঠিয়ে নিয়ে যায়(অনুরূপ শয়তানও দলবিচ্ছিন্ন লোককে আচ্ছন্ন করে ফেলে)।সাবধান!তোমরা(দলের সাথে পথ পরিহার করে) বিচ্ছিন্নভাবে ভ্রষ্টতার পথে-পর্বত পথে যাবে না।আর তোমরা জামায়াত(ইসলামী দল) ও সাধারণ মুসলমানদের সাথে যুক্ত থাকবে।(আহমদ)
হাদীসের ব্যাখ্যাঃ
________
অত্র হাদীসে মহানবী(স) রূপকার্থে শয়তানকে নেকড়ে বাঘের সাথে এবং দলচ্যুত ব্যক্তিকে পাল হতে বিচ্ছিন্ন বকরির সাথে তুলনা করেছেন।এ উপমা দ্বারা তিনি বুঝাতে চেয়েছেন,নেকড়ে বাঘ যেভাবে পাল হতে বিচ্ছিন্ন বকরিকে অনায়াসে শিকার করে ফেলে,তেমনি জামায়াত বা দল তথা সংগঠন থেকে বিচ্ছিন্ন ব্যক্তিকেও শয়তান অনায়াসে বিপথগামী করে থাকে।অতএব,সর্বাবস্থায় ইসলামি দলের সাথে থাকতে হবে।আর এটাই হলো কলুষমুক্ত পথ।
অনুবাদঃ
________
হযরত আবু যর গিফারী (রাঃ) হতে বর্ণিত।তিনি বলেন,রাসূলুল্লাহ (স) ইরশাদ করেছেন,যে ব্যক্তি জামায়াত(ইসলামী সংগঠন) হতে(কিছুক্ষণের জন্য হলেও)এক বিঘত(সামান্য) পরিমাণ সরে পড়েছে,অবশ্যই সে ইসলামের রশি তার ঘাড় হতে খুলে ফেলেছে।(আহমদ ও আবু দাউদ)
হাদীসের ব্যাখ্যাঃ
________
হযরত আবু যর গিফারী (রাঃ) হতে বর্নিত এ হাদীসে জামায়াত হতে বিচ্ছিন্ন মুমিনের করুণ অবস্থার বর্ণনা দিয়ে নবী করীম(স)ইরশাদ করেছেন,রশিবিহীন প্রাণী যেমন স্বাধীন ও মুক্তভাবে যত্রতত্র ঘুরে বেড়ায় অবশেষে নেকরে,বাঘ ও অন্যান্য হিংস্র প্রাণীর খপ্পরে পতিত হয়,তেমনি দল বিচ্ছিন্ন মুমিন নিজের খেয়াল খুশীমত জীবন পরিচালনা করতে গিয়ে শয়তানের খপ্পরে পড়ে যায়।তাই আমাদের উচিত সর্বাবস্থায় ইসলামী দলের সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখা।
অনুবাদঃ
________
হযরত গুদাইফ ইবনে হারিস আস্ সুমালী (রাঃ) হতে বর্ণিত।তিনি বলেন,রাসূলুল্লাহ (স) ইরশাদ করেছেন,যখনই কোন জাতি একটি বিদয়াত সৃষ্টি করে,(পরিণামে)তখনই তার অনুরূপ একটি সুন্নাত উঠিয়ে নেয়া হয়।সুতরাং একটি সুন্নাতকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা একটি বিদয়াত সৃষ্টি করা হতে অতি উত্তম।(আহমদ)
হাদীসের ব্যাখ্যাঃ
________
রাসূল (স)আলোচ্য হাদীসে অসমর্থিত বিদয়াত সৃষ্টির অপকারিতা ও সুন্নাতের ওপর আমল করার উপকারিতা বর্ণনা করেছেন।তিনি বলেন,সমাজে যখনই কোন অসমর্থিত বিদয়াত সৃষ্টি করা হয়,তখনই অনিবার্যরূপে তথা হতে একটি সুন্নাত লুপ্ত হয়ে যায়।কেননা,সুন্নাত আলো সদৃশ,আর বিদয়াত অন্ধকার সদৃশ।আর দু’টি বিপরীতমুখী বস্তু একত্রিত হয় না।এতদ্ব্যতীত তিনি আরো উল্লেখ করেছেন,বিদয়াতে হাসানা যতই গুরুত্বপূর্ণ হোক না কেন তার ওপর আমল করার চেয়ে প্রতিষ্টিত ক্ষুদ্র সুন্নাতের ওপর আমল করা অতি উত্তম।অতএব,হাদীসের আলোচনার নিরিখে সর্বপ্রকার বিদয়াত বর্জন করে সুন্নাতের ওপর আমল করাই ঈমানের অপরিহার্য দাবি।
For More..................
বিষয়: বিবিধ
১৩৬৮ বার পঠিত, ১৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনাকেও অন্নেক ধন্যবাদ ভাইয়া ।
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া ।
ধন্যবাদ ভাইয়া ।
অন্নেক ধন্যবাদ আপু ।
ধন্যবাদ ।
ধন্যবাদ ।
তৈরি করার চেষ্টা করবো ।
ধন্যবাদ ।
ধন্যবাদ ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন