গুরুত্বপূর্ণ দু'টি হাদীস।
লিখেছেন লিখেছেন নোমান২৯ ০৭ জুন, ২০১৪, ০৮:১৯:৩৫ রাত
আরো দু'টি হাদীস পড়তে চাইলে,আসুন এখানে-
অনুবাদঃ
হযরত হাসসান ইবনে সাবিত (রাঃ) হতে বর্ণত।তিনি বলেন,যখনই কোন জাতি তাদের দ্বীনের মধ্যে কোন বিদয়াত সৃষ্টি করেছে,তখনই আল্লাহ তায়ালা তাদের মধ্য হতে অনুরূপ একটি সুন্নাত উঠিয়ে নিয়েছেন।অতঃপর কেয়ামত পর্যন্ত সে সুন্নাত তাদের প্রতি ফিরিয়ে দেবেন না।(দারেমী)
_____________
সুন্নাতটি তাদের প্রতি ফিরিয়ে না দেয়ার কারণঃ
_____________
হাদীসে এসেছে বিদয়াত হলো গোমরাহী।তাই কোন সমাজে বিদয়াত চালু হলে সেখান থেকে অনুরূপ সুন্নাত প্রত্যাহার করা হয় এবং সে সুন্নাত তাদের প্রতি আর ফিরিয়ে দেয়া হয় না।কারণ বিদয়াত অন্ধকার সমতুল্য আর সুন্নাত আলো সমতুল্য।কোথাও অন্ধকার স্থান পেলে বুঝতে হবে যে আলো বিদূরিত হয়ে গেছে।কারণ অন্ধকার এবং আলো একসাথে থাকতে পারে না।আর বিদয়াত এমন প্রগাঢ় অন্ধকার,যা থেকে পুনরায় আলোর দিকে প্রত্যাবর্তন করা দুরুহ ব্যাপার।কারণ বিদয়াতীগণ তাকে দ্বীন মনে করেই প্রচলন করে থাকে।এটাই হলো সুন্নাতকে ফিরিয়ে না দেয়ার তাৎপর্য।
অনুবাদঃ
হযরত ইবরাহীম ইবনে মাইসারাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত।তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ (সা)ইরশাদ করেছেন,যে ব্যক্তি কোন বিদয়াতীকে সম্মান প্রদর্শন করে,সে অবশ্যই ইসলামের ধ্বংস সাধনে সহায়তা করে।(ইমাম বায়হাকী (র)একে মুরসাল হাদীস হিসেবে শোয়াবুল ঈমান অধ্যায়ে বর্ণনা করেন)।
______________
হাদীসের ব্যাখ্যাঃ
______________
রাসূল (স)-এর জীবদ্দশাতেই আল্লাহ তায়াল ইসলামকে পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধানরূপে ঘোষণা দিয়েছেন।তাই তিনি ইসলামে নবআবিষ্কারের বিরুদ্ধে ঘোষণা করেন,বিদয়াতীকে সম্মান করা প্রকারান্তরে দ্বীনকে ধ্বংস ও মূলোৎপাটন করার কাজে সহযোগিতা করা।কেননা,যে বিদয়াত সৃষ্টি করে ইসলামের মূলে কুঠারাঘাত করে,সে সম্মানের পাত্র হতে পারে না।এমতাবস্থায় তাকে সম্মান করা হলে বিদয়াতকে সমর্থন করা হয়।পক্ষান্তরে তাকে অসম্মান ও অসহযোগিতা করা হলে সে নিরুৎসাহিত হবে।সুতরাং প্রত্যেক মুমিনের ঈমানী দাবি হচ্ছে বিদয়াতীকে সম্পূর্ণরূপে বর্জন করা।
আরো দু'টি হাদীস পড়তে চাইলে,আসুন এখানে-
বিষয়: বিবিধ
১১৬১ বার পঠিত, ২৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।
আশা করি এরকম পোস্টে সাথে পাব । পাব তো ?
ধন্যবাদ আপু ।
ভাইয়া আপনাকেও অন্নেক ধন্যবাদ ।
আমীন । ধন্যবাদ ভাইয়া ।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া ।
আশা করি এরকম পোস্টে সাথে পাব ।
পাব তো ভাইয়া ?
খুব খুশী হলাম ভাইয়া ।
তবে হেডিংয়েপড়লে ভাল লাগতে পারে না দিলে আরো ভালো হতো।
কারণ পৃথিবীর শ্রেষ্টমানব আমাদের প্রিয় মহানবী (ছাঃ) এর বাণী প্রতিটা মুসলমানের কাছে সবচেয়ে প্রিয়!!
সুন্দর ।এডিট করে দিচ্ছি ।ধন্যবাদ ।
ধন্যবাদ ভাইয়া ।পড়ে মন্তব্য করার জন্য ।
অন্নেক ধন্যবাদ ।
অপনার পোস্ট অসাধারন।
আরোও পোস্ট করুন।
চেষ্টা করবো ।ধন্যবাদ ভাইয়া ।
অনেক শুকরিয়া।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
ধন্যবাদ ভাইয়া ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন