পটকাবাজদের ধ্যান-ধারণা,আদর্শ ও চেতনাবিষ পৌঁছে যাচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের হাতে !!!
লিখেছেন লিখেছেন নোমান২৯ ৩০ মার্চ, ২০১৪, ০৫:০৩:১৮ বিকাল
***
কতটুকু হৃদয়ভর্তি চেতনা জন্মালে জাতীয় সংগীত গাইতে না পেরে আত্নহত্যা করতে পারে ভেবে দেখেছেন কি ?
***
নুসরাত স্কুলে পড়ে । ক্লাস নাইনে ।সেদিন রাতে নুসরাত পড়তেছিল ।কানে ভেসে আসল – বিধাতা সব কিছু সৃষ্টি করেছেন…… ।মাথায় রাগ চড়ে গেল । তবুও সংবরণ করে,বললাম শুধু,বিধাতা-র জায়গায় আল্লাহ পড়তে ।আর একগাদা ভাবনা হাজির হল।কি হবে অদূর ভবিষ্যতে ?এভাবে চললে তো আমাদের আরো হাজার-টা শাহবাগ আন্দোলন দেখতে হবে ।
***
নিশি ক্লাস সেভেনে পড়ে।ছাত্রী মোটামুটি ভাল।ক্লাস ফাইভে বৃত্তি পেয়েছিল।এখন ক্লাস সেভেনে ।রোল নং-৫ এর ভিতরে।একটু পটু প্রকৃতির।বছরের মাঝখানটায় ব্ই শেষ হয়ে যায়।তাই বার্ষিক পরীক্ষার সময় একটু নির্ভার থাকে।এজন্যে এখনো ক্লাসে এক হয়ে উঠা হইনি।ও ওর নানুমনির সাথে গল্প করে আমি স্কুলে গেলে মিনিমাম দশটি ধন্যবাদ পায়।মোটকথা,ক্লাসের সবার চোখেরমনি।ইদানিং দেখছি কি একটা বই নিয়ে ব্যস্ত।তাই আমিও কৌতূহলি হয়ে জানতে চাইলাম।ওমা দেখে তো হতবাক!দেখি ও কিশোর আলো পড়তেছে।যেখানে জাফরদের এলোমেলো ভাবনারা প্রকাশিত হয়।জানতে চাইলাম কিভাবে পেল বইটা ?কিনছে নাকি ও ? বলল,স্কুলের সিক্স থেকে ক্লাস টেন পর্যন্ত যাদের রোল দশের ভেতরে তাদের সবাইকে ফ্রি দিছে বইটা।প্রসংগত,ঐ স্কুলের প্রতি ক্লাসে চারটি শাখা।আর এ উপলক্ষে একটা অনুষ্ঠানও হয়েছে।যে অনুষ্ঠানে কবি বিশ্বজিত চৌধুরীও আসছে।কথাবার্তায় মনে হল,বিশ্বজিত চৌধুরীকে বিশেষভাবে উপস্থাপন করছে ঐ অনুষ্ঠান আয়োজনকারীরা।আর জাফইররা চোরার চোরা সায়েন্স ফিকশন পড়ে ভক্ত হয়ে পড়বে শিক্ষার্থীরা।অন্ধ অনুকরণ করবে তাকে।এবং এসব শিক্ষার্থীদের কেউ কেউ ঐ অদ্ভূত কল্পকাহিনী পড়তে পড়তে বিসর্জন দিবে ধর্ম।
***
যাই হোক,কিআ কোমলমতি শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে দেয়ার পেছনে সুদূরপ্রসারী উদ্দেশ্য নিহিত আছে।এতে কোন সন্দেহ নেই।
নোট-অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে।আপনার সন্তান পাঠ্যপুস্তকের বাইরে বই পড়তে চাই খুব ভাল কথা।তবে কার বই পড়তেছে,কিরুপ বই পড়তেছে সে ব্যাপারে অবশ্যই নজর রাখবেন।
বিষয়: বিবিধ
১৩৯৭ বার পঠিত, ২৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সো বাবা-মা দের যদি কিছু করতেই হয় তবে তা হল সরকারী কর্মকান্ডে ও সেন্টিমেন্টে পরিবর্তন আনার জন্য সক্রিয় হওয়া।
বুঝতে হবে ইন্ডিভিজ্যুয়ালী এক একটি সন্তানের পেছনে কাজ কর্মের পাশাপাশি একজন বাবা কিংবা মা দিনে ২ ঘন্টা সময় দিলেও গ্যারান্টি নেই - সে সন্তান সুশিক্ষা পাবে। অন্যদিকে যদি কোটি বাচ্চার বাবা মা - সরকারকে সংশোধনের নিমিত্তে যথাযথভাবে কয়েক ঘন্টা সময় দেন - তবে সন্তান সুশিক্ষা পাবার সম্ভাবনা অনেক বাড়বে।
ফুলেল শুভেচ্ছা ।
বাংলাদেশে আওয়ামীলীগের উপর সওয়ার হওয়া ১৩ জন ইনু সমর্থকই যথেস্ট।
মন্তব্য করতে লগইন করুন