দায়মুক্তি না বিলুপ্তি?
লিখেছেন লিখেছেন নোমান২৯ ০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০১:৫৬:৪৯ দুপুর
দায়মুক্তি না বিলুপ্তি?
বাংলাদেশ জামাতে ইসলামী।বাংলাদেশের সর্ববৃহত ইসলামী রাজনৈতিক দল।তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা নাকি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বে বিশ্বাসী না।আমি বলি জামাতে ইসলামী-ই একমাত্র রাজনৈতিক দল যারা এখন বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বে কঠোরভাবে বিশ্বাসী।তবে এটাও ঠিক যে তারা ৭১সালে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল।যার কারণে তারা নিজেদের আদর্শকে টিকিয়ে রাখতে কিছু অপকর্ম করেছে।দলটি এখন যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত এবং এর নেতাদের বিচার চলছে।যদিও আমার মতে যুদ্ধাপরাধ(পৃথিবীর সর্বত্র)বিচারটাই হাস্যকর।কারণ তারা যে অপরাধের বিচার করছে তা যুদ্ধে সংঘটিত অপরাধ।তার মানে তাদের মতে যুদ্ধ-বিগ্রহ বৈধ।এটা অপরাধ নয়।কিন্তু যুদ্ধই তো অপরাধ।যুদ্ধ মানেই খুন,হানাহানি,রাহাজানি,ধর্ষণ,অন্যায়,অত্যাচার ও অবিচার কে স্বীকৃতি দেওয়া।যুদ্ধের ময়দানে দু’পক্ষই তা করে।সুতরাং যুদ্ধ কারোরই কামনা হওয়া উচিত নয়।কিন্তু বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধের নামে যা চলছে তা শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নির্মূলের হীন চক্রান্ত বৈ আর কিছু নয়।যদিও তা করতে গিয়ে তারা বড় বড় অপরাধ করে বসছে।কিন্তু এই অপরাধকে সায় দিয়ে কিছু বড় মাথাওয়ালা বুদ্ধিজীবী,আওয়ামী সমর্থক,রাম-বাম ও তরুণ-তরুণী বলে বেড়াচ্ছে এতে বাংলাদেশ কলঙ্কমুক্ত হবে এবং জামাতে ইসলামীও দায়মুক্ত হবে।আসলে কি তাই হবে?তাই যদি হত তাহলে শিবিরের সাথে কেন নিষিদ্ধ দলের মত আচরণ করছে সরকার।তাদেরকে কেন স্বাভাবিক কর্মকান্ড পরিচালনা করতে দিচ্ছে না।শিবির তো প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ১৯৭৭ সালে।নাকি আওয়ামী সংজ্ঞা মতে তারাও যুদ্ধাপরাধী?আর জামাত-শিবির সম্পর্ক হচ্ছে শুধু তাদের আদর্শ একই।আর কিছু তো নয়।পারতপক্ষে যুদ্ধাপরাধ বিচারের নামে তাদের মূল উদ্দেশ্য রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নিশ্চিহ্ন করা।বিলুপ্ত করা।তবে তা কখোনই সম্ভব নয়।কারণ প্রতিপক্ষটি আদর্শের উপর প্রতষ্ঠিত।আর এই আদর্শের বিলুপ্তি কখোনই হবে না।
বিষয়: বিবিধ
১০৪১ বার পঠিত, ২৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ধন্যবাদ।।
Click this link
মন্তব্য করতে লগইন করুন