মেয়েটি নিভৃতেই চলে গেল………
লিখেছেন লিখেছেন নোমান২৯ ০২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০২:৪০:৫৩ দুপুর
মেয়েটি নিভৃতেই চলে গেল………
মেয়েটি আমার কেউ না।একই মহল্লায় থাকি এতটুকুই।মেয়েটির পরিবার বিষয়টি লুকাচ্ছে।তাই স্থান-কাল-চরিত্র সব গোপন রাখলাম।এইরকম ঘটনা হরহামেশাই ঘটছে।কিন্তু সমাজ বাস্তবতায় পরিবারগুলো মুখ খুলছেনা।অজানা এক লজ্জার ভয়ে তারা নিশ্চুপ।কিন্তু তারা কি কখনো ভেবেছে তাদের নিরবতায় অপরাধী উতসাহিত হচ্ছে,অপরাধ বাড়ছে এবং তারাও অপরাধে সহযোগিতা করছে?সত্যপ্রকাশ ও সচেতনতা বৃদ্ধির নিমিত্তেই বিষয়টি নিয়ে লিখছি।সহজ-সরল মেয়েটি তখন অনার্সের শেষ পর্যায়ে।পাড়ার একটি ছেলে তার পিছু নিয়েছে।ছেলেটি সবসময় মেয়েটিকে অনুসরণ করে।প্রায় ছয় মাস এভয়ড করলেও মেয়েটি ধীরে ধীরে ছেলেটির প্রেমে পড়ে যায়।ভালই যাচ্ছে।দেখা হচ্ছে,করছে।যোগাযোগও হচ্ছে নিয়মিত।কিন্তু দু’মাস যেতে না যেতে নানা বাহানায় ছেলেটি টাকা ধার চেয়ে বসল।মেয়েরা প্রেমে পড়লে পৃথিবী,লজ্জা ও পরিবার সব ভুলে যায়।তাদের পৃথিবীতে তখন কেবল এক জীব,‘প্রেমিকের’ বাস।সে মেয়ে হোক চালাক-চতুর কিংবা বোকা-সহজ-সরল।মেয়েটিও তার ব্যতিক্রম নয়।মেয়েটি কিছু না ভেবে সরল বিশ্বাসে কখনো নিজের,কখনোবা মায়ের গয়না বিক্রি করে টাকা জোগাড় করে দিত।কিন্তু বিক্রি করে খেলে সাত রাজার ধনও পুরিয়ে যায়।মেয়েটির টাকা জোগাড়ের সব অবলম্বন শেষ হয়ে গেল।ধীরে ধীরে মেয়েটির গুরুত্বও কমে গেল ছেলেটির কাছে।এবং মেয়েটিকে এভয়ড করা শুরু করল।আস্তে আস্তে মেয়েটি অনুধাবন করা শুরু করল যে,তার ভালবাসা হাওয়া মিঠাই খাওয়ার অনুভূতি বৈকি আর কিছুই নয়।মেয়েটি বেঁচে থাকার আকর্ষণ হারিয়ে ফেলল।এবং রাতে পরিবারের সবাইকে ফাঁকি দিয়ে আত্নহত্যা করল।কিন্তু পরিবার অদ্ভূত ভীতি,অজানা লজ্জায় সকালে প্রকাশ করল মেয়েটি স্ট্রোক করছে।এবং স্ট্রোকেই মেয়েটির মৃত্যু হয়েছে।হায়রে মানুষ!হায়রে সমাজ!হায়রে দেশ!
বিষয়: বিবিধ
৮৮৫ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন