দায়ভার
লিখেছেন লিখেছেন নোমান২৯ ২৬ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৭:০৫:১৯ সকাল
দাঁড়ান !একটা বিষয় পরিষ্কার করে নিই।একটা ক্ষেত্রে চন্দ্রবিন্দুর ব্যবহার নিয়ে আমার ও মাথাব্যাথা আছে।তবুও তারা যখন সম্মানের আসনে আসীন(যদিও যোগ্যতা রাখেনা)এবং তাদের প্রতিও সমাজের কিছু মানুষের শ্রদ্ধাবোধ আছে তাই দিলাম।আমরা মুসলমানরা কিন্তু উদার।আর উদারতার জন্যই ফিলিস্তিন,আফগানিস্তান,সিরিয়া,কাশ্মীর,বাংলাদেশ ও মিশরে আজ এই অবস্থা।মূল কথায় আসি।এখন দিন-রাত,এখানে আলো-অন্ধকার,ঐটা পশ্চিম-পূর্ব দিক ও পানিতে আগুন জ্বলছে।কি পাগল ভাবছেন আমাকে?ভাবারও কথা ।আমিও ভাবার সপক্ষে।কারণ পৃথিবীতে এমন কিছু ঘটনা আছে যেগুলো যুগপত ঘটেনা।এগুলির একটি ঘটলে অপরটি ঘটবেনা।আমাদের দেশে কোন নারী ধর্ষিত হলে দেখা যায় কিছু নারী(যদিও তারা টিপ সমাজের প্রতিনিধি)মানববন্ধন করেন।সাথে কিছু নারী স্বাধীনতায় বিশ্বাসী পুরুষ ও থাকে।আবার এই নারী ও পুরুষরা ধর্মের(ইসলাম) বিরুদ্ধে কথা বলেন।ধর্ম (ইসলাম) পালনে বাঁধার সৃষ্টি করে।বোরখাকে অবাঙগালিত্বের পরিচায়ক মনে করেন।তাঁরা ধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন।শুধুই প্রতিবাদ।তাছাড়া আর কি করার আছে এই অবলা সমাজের?না আমি ধর্ষকের হয়ে দালালি করছিনা।তাদেরকে আমি ঘৃণা করি।আসুন ধর্ষণের প্রতিবাদ না জানিয়ে প্রতিরোধ করি।ধর্ষণের পর না চেঁচিয়ে আগে থেকে সতর্ক হয়।ধর্ষণ কেন ঘটে তা খুঁজে বের করি।আসুন প্রত্যেকে নিজ নিজ ধর্ম মেনে চলি।ধর্ষণের হার অনেক কমে যাবে।ধর্ষণের জন্য শুধুই কি ধর্ষক দায়ী।না তা নয়।এর জন্য কিছু কিছু ক্ষেত্রে ধর্ষিতাও দায়ী।তাছাড়া এর জন্য ধর্ষণের পর ঐ মানববন্ধনকারীরাও দায়ী।তা নয় কি?তাঁরা ধর্মের বিরোধিতা করেন,ধর্ম পালনে বাঁধার সৃষ্টি করেন।আবার ধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদও করেন।বিষয়গুলি কি কন্ট্রাডিক্ট নয়?ধর্ম পালন(ইসলাম)ও ধর্ষণ পূর্বোক্ত ঘটনাগুলির মত একটির সাথে আর একটি সম্পর্কিত।ধর্ম পালন করলে ধর্ষণ হবে না(হবে তবে এর মাত্রা অনেক কমে যাবে)।আর ধর্ম পালন না করলে ধর্ষণ হবে(মাত্রা বেড়ে যাবে)।তাহলে ধর্ম পালনে বাঁধার সৃষ্টিকারী ঐ নারী ও পুরুষরা কি প্রতিটি ধর্ষণের দায়ভার এড়াতে পারবেন?
বিষয়: বিবিধ
১১২১ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন