ক্ষমা করো আমায়
লিখেছেন লিখেছেন নোমান২৯ ১৭ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৭:৩৪:১৬ সকাল
ক্ষমা করো আমায়
২০১৩। বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বে বিশ্বাসীদের জন্য ১৯৭১’র মতই।শুরুটা হয়েছিল বিশ্ববিখ্যাত আলেম আল্লামা দেলওয়ার হোসেন সাইদী’র রায় পরবর্তী গণহত্যার মধ্য দিয়ে।প্রায় ১৭০ জন নিরীহ জামাত-শিবির সমর্থক শহীদ হয় এই গণহত্যায়।তাদের অপরাধ তারা শুধু একটা অন্যায় রায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছিল।আর বছরের দ্বিতীয় গণহত্যা ঘটান হয় ৫ মে দিবাগত রাতে।এই গণহত্যায় শহীদ হয় ৬০জন হেফাজত সমর্থক।তাদের অপরাধ তারা নাস্তিকদের বিচারের দাবিতে আন্দোলন করেছিল।নিরস্র গুমন্ত মুসল্লিদের তাসবিহ,জায়নামাযের বিপরীতে বহিঃদেশীয় শকুনের পরিকল্পনায় স্বদেশীয় হায়েনারা অত্যাধুনিক যুদ্ধাস্র নিয়ে রাতের আঁধারে ঝাঁপিয়ে পড়ে।এই গনহত্যার শিকার আমার এক শ্রদ্ধেয় শিক্ষক।বুকে বিঁধেছিল হায়েনাদের বুলেট।রমযানের ঈদে উনার কবর যিয়ারতের সুযোগ তৈরী হয়েছিল।উনি আমাদের আশপাশের দু-চার গ্রামের যে কোন ইসলামিক আন্দোলনের প্রথম শহীদ।তাই উনার কবর যিয়ারতের সুযোগটা হাতছাড়া করতে চাইনি।উনার সহকর্মী এবং ছাত্ররা কবর যিয়ারত করতে যাবে।আমি শুনে বললাম,আমিও যাব।নামায(আসর) পড়ে সবাই বের হবে।আমিও নামায পড়ে বের হলাম।সবাই জড়ো হওয়ার জন্য কিছু সময়ের অপেক্ষা।এই সময়ে আমার মাথায় এসে বাসা বাঁধল নানা চিন্তা।যাদের সাথে যাব তাদের অধিকাংশই শিবিরের নেতা।আর আমার চলাফেরা শিবিরের মত হওয়ায় আমি লীগের বিশেষ সন্দেহের বস্তু।তাছাড়া যাওয়ার সময় বাজার পাড়ি দিতে হবে।যেখানে লীগের সবাই উপস্থিত।তার মানে সবাই আমাকে দেখবে।এই ভয়ে আমি হুজুরের কবর যিয়ারতে যেতে পারিনি।ছাত্রের উপর শিক্ষকের যে হক আছে তা আমি আদায় করতে পারিনি।হুজুর ক্ষমা করো আমায়।
বিষয়: বিবিধ
১০৪৭ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ওরা(হেফাযত) এখন পার হতে চায় দুর্ঘম দীর্ঘ পথ
শোনো ওরা বলে , রাত শেষ হয়ে এল
পূর্বাশার আলো ঐ দেখা যায় ।
........................
মন্তব্য করতে লগইন করুন